প্রধান জনন অঙ্গ (Primary Sexual Organ) : ডিম্বাশয় বা ওভারি (Ovary) । ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু বা ডিম্ব তৈরি হয়। এই ডিম্বাণু পুরুষের শুক্রাণুর সাথে মিলিত হয়ে নতুন জীবন (Zygote) তৈরি করে ।
এখান থেকে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেসটেরন নামক হরমোন নিঃসরণ হয় ।
সহযোগী অঙ্গসমূহ : জরায়ু, ফেলোপিয়ান টিউব বা ডিম্ব নালী, যৌন পথ, ক্লাইটরিস, স্তন ইত্যাদি ।
স্ত্রী সেকেন্ডারি যৌন বিশিষ্টসমূহ : সাধারণত ১২ থেকে ১৪ বৎসর বয়স হতে দেখা যায়।
ক) মাসিক শুরু হবে,
(খ) স্তন স্ফীত হওয়া শুরু হবে,
(গ) যৌনাঙ্গে ও বগলে কেশ দেখা দেবে,
(ঘ) কোমর বড় হবে ও নিতম্বে মেদ জমবে,
(ঙ) বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ জন্মাবে,
(চ) সমস্ত শরীরের ত্বকের নীচে মেদ জমে এর উজ্জ্বলতা বাড়বে ও শরীরকে নমর করবে, ইত্যাদি।
ইস্ট্রোজেন হরমোনের কাজ (Function of Estrogen):
১) স্ত্রী জনন অঙ্গসমূহ আকারে বৃদ্ধি করে,
২) ডিম্বকে পরিপক্ব করে,
৩) মাসিকের পরে জরায়ুর আবরণীকে (Endometrium) পুরু করে এবং পূর্বের অবস্থায় নিয়ে আসে,
৪) জুনি পথের আকৃতি বৃদ্ধি করে,
৫) স্ত্রী লোকের মেয়েলী বৈশিষ্ট্যসমূহ প্রকাশে সাহায্য করে।
৫) স্তনের নালীর পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
৬) স্তনে মেদ বৃদ্ধির মাধ্যমে এর আকার বড় করে।
৭) জরায়ুতে প্রবিষ্ট শুক্রাণুকে ডিম্ব নালীর দিকে নিয়ে যায় ইত্যাদি।
Username: Dr_Saifar Published on 2024-12-19 03:34:19 ID NUMBER: 127442
প্রজননতন্ত্র (Reproductive System)
সংজ্ঞা : যে অঙ্গ সমূহের মাধ্যমে বংশ বিস্তারের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয় তাদেরকে একত্রে প্রজননতন্ত্র বলে। একজন পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ ও মহিলার যৌন মিলনের ফলে শুক্র ও ডিম্বের মিলনের থেকে একটি নতুন জীবনের জন্ম হয় ।
প্রধান যৌন অঙ্গ (Primary sex Organ):
১) পুরুষ – শুক্রাশয় বা টেস্টিস (Testis)
২) মহিলা ডিম্বাশয় বা ওভারি (Ovary)
এদের কাজ :
১) শুক্র (Sperm) ও ডিম্ব (Ovum) তৈরি করা,
২) হরমোন (Hormone) তৈরি করে,
৩) অতিরিক্ত বা সহযোগী (Accessory sexual Organ) যৌন অঙ্গসমূহের বৃদ্ধি ও কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।
পিউবার্টি বা যৌবন (Puberty) :
জীবনের যে সময় কালে মানুষের বংশ বৃদ্ধির ক্ষমতা লাভ করে অর্থাৎ যৌন সক্ষম হয় তাকে যৌবন বলে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি শুরু হয় ১২ থেকে ১৪ বৎসর বয়সে । আর মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি শুরু হয় ১০ থেকে ১২ বৎসর বয়সে
পুং প্রজননতন্ত্র (Male Reproductive System):
প্রধান যৌন অঙ্গ : শুক্রাশয়
কাজ :
ক) শুক্রাশয় শুক্র (Sperm) তৈরি করে,
খ) টেসটোস্টেরন (Testosterone) নামক হরমোন তৈরি করে যা পুরুষের পুরুষালী বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে।
সহযোগী যৌন অঙ্গসমূহ :
পুরুষাঙ্গ ও ক্রোটাম, প্রস্টেট গ্রন্থি, সেমিনাল, ভেসিক্যাল, ইপিডিডাইমিস, ভাসডেপারেন্স, মূত্রনালি ইত্যাদি ।
পুরুষের সেকেন্ডারি (পুরুষালী) যৌন বৈশিষ্ট্য (Secondary Sexual Characteristies):
নিন্মের বৈশিষ্ট্যসমূহের মাধ্যমে বাহ্যিক ভাবে পুরুষকে পুরুষ বলে চেনা যায়। টেসটোসটেরন, গ্রোথ, থাইরয়েড হরমোনসমূহ এই বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য দায়ী । সাধারণত ১২ থেকে ১৪ বৎসর বয়স থেকে এইগুলি প্রকাশিত হয়।
১) পুরুষাঙ্গ আকৃতিতে বৃদ্ধি পায় এবং উত্তেজিত হলে উত্থিত হয়
২) গলার স্বর গাঢ় ও মোটা হয়।
৩) বগলের নীচে, বুকে, যৌন অঙ্গে কেশ দেখা দেয়। এছাড়া দাড়ি, গোঁফ গজানো শুরু হয়। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ জন্মে।
৪) কাঁধ প্রশস্ত হয় এবং মাংসপেশী সুগঠিত ও শক্ত হয়।
৫) তৈল গ্রন্থিও নিঃসরণ বৃদ্ধি পায় ও ব্রণ হয়।
যৌন মিলনের সময় উত্থিত পুরুষাঙ্গ থেকে মূত্রনালি পথে যে সাদা বর্ণের তরল নিক্ষিপ্ত হয়, তাকে বীর্য বলে। বীর্য নিম্ন লিখিত দ্রব্যাদির সমন্বয়ে গঠিত।
ক) শুক্র (Sperm),
(খ) প্রোস্টেট গ্রন্থির রস (Prostatic Fluid)
(গ) সেমিনাল ভেসিক্যাল রস (Seminal Fluid),
(ঘ) বালবো ইউরেথ্রাল গ্রন্থির রস (Bulbo Urethral Fluid)
প্রতিবার যৌন সংগমের সময় ৩-৫ মিলিলিটার বীর্য স্খলন গয়। প্রতি মিলিলিটারে ৬-১০ কোটি শুক্র থাকে ।
বন্ধ্যাত্ব বা স্টেরিলিটি (Sterility) : বংশ বিস্তারের অর্থাৎ জন্ম দানের ক্ষমতা না থাকাকে বন্ধ্যত্ব বলে।
পুরুষের বন্ধ্যত্বের কারণসমূহ :
ক) পুরুষাঙ্গ উত্থিত না হওয়া,
খ) পর্যাপ্ত পরিমাণে বীর্য স্খলন না হলে,
গ) প্রতি মিলিলিটার বীর্যে ৪ কোটি ও কম শুক্র থাকলে,
ঘ) যৌনাঙ্গ সমূহে ইনফেকশন হলে ইত্যাদি।
অক্ষমতা (Impotence): যৌন সংগম করতে না পারাকে অক্ষমতা বলে। এতে পুরুষাঙ্গ উত্থিত হওয়ার ক্ষমতা লোপ পায়।
কারণসমূহ :
ক) অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষিক দুর্বলতা,
(খ) অপুষ্টি,
গ) যৌনাঙ্গে ইনফেকশন ইত্যাদি।
২টি, টেস্টিস স্ক্রোটামের (Scrotum) মধ্যে থাকে। এখান থেকে টেসটোস্টেরন (Testosterone) নামক হরমোন নিঃসৃত হয় ।
কাজ : এই হরমোন পুরুষের সেকেন্ডারি যৌন বৈশিষ্ট্য সমূহ শরীরে ফুটিয়ে তোলে ।
প্রধান জনন অঙ্গ (Primary Sexual Organ) : ডিম্বাশয় বা ওভারি (Ovary) । ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু বা ডিম্ব তৈরি হয়। এই ডিম্বাণু পুরুষের শুক্রাণুর সাথে মিলিত হয়ে নতুন জীবন (Zygote) তৈরি করে ।
এখান থেকে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেসটেরন নামক হরমোন নিঃসরণ হয় ।
সহযোগী অঙ্গসমূহ : জরায়ু, ফেলোপিয়ান টিউব বা ডিম্ব নালী, যৌন পথ, ক্লাইটরিস, স্তন ইত্যাদি ।
স্ত্রী সেকেন্ডারি যৌন বিশিষ্টসমূহ : সাধারণত ১২ থেকে ১৪ বৎসর বয়স হতে দেখা যায়।
ক) মাসিক শুরু হবে,
(খ) স্তন স্ফীত হওয়া শুরু হবে,
(গ) যৌনাঙ্গে ও বগলে কেশ দেখা দেবে,
(ঘ) কোমর বড় হবে ও নিতম্বে মেদ জমবে,
(ঙ) বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ জন্মাবে,
(চ) সমস্ত শরীরের ত্বকের নীচে মেদ জমে এর উজ্জ্বলতা বাড়বে ও শরীরকে নমর করবে, ইত্যাদি।
ইস্ট্রোজেন হরমোনের কাজ (Function of Estrogen):
১) স্ত্রী জনন অঙ্গসমূহ আকারে বৃদ্ধি করে,
২) ডিম্বকে পরিপক্ব করে,
৩) মাসিকের পরে জরায়ুর আবরণীকে (Endometrium) পুরু করে এবং পূর্বের অবস্থায় নিয়ে আসে,
৪) জুনি পথের আকৃতি বৃদ্ধি করে,
৫) স্ত্রী লোকের মেয়েলী বৈশিষ্ট্যসমূহ প্রকাশে সাহায্য করে।
৫) স্তনের নালীর পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
৬) স্তনে মেদ বৃদ্ধির মাধ্যমে এর আকার বড় করে।
৭) জরায়ুতে প্রবিষ্ট শুক্রাণুকে ডিম্ব নালীর দিকে নিয়ে যায় ইত্যাদি।
স্ত্রী প্রজনন অঙ্গ (Female Reproductive Organs)
প্রজনন অঙ্গ সমূহ মানুষের বংশবৃদ্ধিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। আলোচনার সুবিধার জন্য দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
১) স্ত্রী লোকের বহিঃ প্রজনন অঙ্গ সমূহ (External Female Gentialia)
২) স্ত্রী লোকের অন্তঃ প্রজনন অঙ্গ সমূহ (Internal Female Gentialia)
বহিঃ প্রজনন অঙ্গ সমূহ (External Gentialia):
১) মন্স পিউবিস (Mons Pubis ): তলপেটে সবচেয়ে নিচের নরম অংশ যাহা চুল দ্বারা (Pubic Hair) আবৃত থাকে।
২) ল্যাবিয়া মেজোরা (Labia Majora): মাংসল ঠোটের ন্যায় যাহা ভেষ্টিবিউল- তথা যোনীদ্বার ও প্রস্রাবের নালী মুখকে আবৃত রাখে।
৩) ল্যাবিয়া মাইনোরা (Labir Minora ): মেজোরার ভিতরে লাল মাংসের ন্যায় অংশ।
৪) ভেষ্টিবিউল (Vestibule): ল্যাবিয়া মাইনোরা দ্বয়ের মধ্যবর্তী অংশ। এর উপরিভাগে প্রস্রাবের নলী শেষ হয় এবং নিচে যোনীদ্বার অবস্থিত।
ক) যোনীদ্বার (Vaginal Orifice/Opening): ভেষ্টিবিউলের নিচের অংশে থাকে। কুমারী (Virgin) মেয়েদের ক্ষেত্রে পাতলা পর্দা (Hymen) দ্বারা আংশিক আবৃত থাকে। বাকী খোলা অংশ দিয়ে মাসিকের রক্ত বের হয়। যৌন মিলনের ফলে ও লাফ ঝাপ দিলে বা সাইকেল চালালে এই পর্দা আংশিক ছিন্ন হয়। সন্তান প্রসবের ফলে পুরোপুরি ছিন্ন হয়।
খ) মূত্রনালীর মুখ (Urethrsl Orifice): ক্লায়োটরিস এর নীচে ও যোনীমুখের উপরে অবস্থিত। এই ছিদ্র দিয়ে প্রস্রাব শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
৫) ভগাঙ্কুর বা ক্লায়োটরিস (Cliotoris): এটি ক্ষুদ্র মাংসল অঙ্গ। একে ম্পর্শ করলে তীব্র যৌনভাব হয়।
জরায়ু (Uterus):
এটি একটি মাংসল অঙ্গ। পেটের হাইপোকন্ডিয়াক অঞ্চলে, মূত্রাশয়ের পিছে ও রেক্টামের সম্মুখে অবস্থিত। গর্ভধারণের পর জরায়ু বিশাল আকার ধারণ করে ও পাতলা হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় এর আয়তন ৩ * ২ * ১ ইঞ্চি।
এর তিনটি অংশ:
১) ফান্ডাস (Fundus),
২) বডি (Body),
৩) সার্ভিক্স (Cervix )
জরায়ুর ভিতরের আবরণী কলাকে এন্ডোমেট্রিয়াম (Endometrium) বলে, যা মাসিকের সময় ধ্বংস হয় ও পরে পুনরুজ্জীবিত হয়।
কাজ:
১) বাচ্চা ধারণ করে,
২) মাসিকের সময় এন্ডোমেট্রিয়াম ধ্বংস করে রক্তের সাথে বের করে দেয়।
যোনী (Vegina):
এটি একটি মাংসল অঙ্গ যা প্রসারিত হতে পারে। এর গায়ে অনেক গ্রন্থি আছে যা থেকে রস নিঃসরণ হয়। সঙ্গমের সময় এতে পুরুষাঙ্গ প্রবিষ্ট হয়। এটি যোনিমুখ থেকে সার্ভিক্রা পর্যন্ত বিস্তৃত। এর পিছনে পায়ুপথ ও মলাশয় থাকে।
প্রথম অংশটা এখানে দেখুন স্ত্রী লোকের অন্তঃ প্রজনন অঙ্গ সমূহ (Internal Female Genitalia)
প্রধান জনন অঙ্গ (Primary Sexual Organ) : ডিম্বাশয় বা ওভারি (Ovary) । ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু বা ডিম্ব তৈরি হয়। এই ডিম্বাণু পুরুষের শুক্রাণুর সাথে মিলিত হয়ে নতুন জীবন (Zygote) তৈরি করে ।
এখান থেকে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেসটেরন নামক হরমোন নিঃসরণ হয় ।
সহযোগী অঙ্গসমূহ : জরায়ু, ফেলোপিয়ান টিউব বা ডিম্ব নালী, যৌন পথ, ক্লাইটরিস, স্তন ইত্যাদি ।
স্ত্রী সেকেন্ডারি যৌন বিশিষ্টসমূহ : সাধারণত ১২ থেকে ১৪ বৎসর বয়স হতে দেখা যায়।
ক) মাসিক শুরু হবে,
(খ) স্তন স্ফীত হওয়া শুরু হবে,
(গ) যৌনাঙ্গে ও বগলে কেশ দেখা দেবে,
(ঘ) কোমর বড় হবে ও নিতম্বে মেদ জমবে,
(ঙ) বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ জন্মাবে,
(চ) সমস্ত শরীরের ত্বকের নীচে মেদ জমে এর উজ্জ্বলতা বাড়বে ও শরীরকে নমর করবে, ইত্যাদি।
ইস্ট্রোজেন হরমোনের কাজ (Function of Estrogen):
১) স্ত্রী জনন অঙ্গসমূহ আকারে বৃদ্ধি করে,
২) ডিম্বকে পরিপক্ব করে,
৩) মাসিকের পরে জরায়ুর আবরণীকে (Endometrium) পুরু করে এবং পূর্বের অবস্থায় নিয়ে আসে,
৪) জুনি পথের আকৃতি বৃদ্ধি করে,
৫) স্ত্রী লোকের মেয়েলী বৈশিষ্ট্যসমূহ প্রকাশে সাহায্য করে।
৫) স্তনের নালীর পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
৬) স্তনে মেদ বৃদ্ধির মাধ্যমে এর আকার বড় করে।
৭) জরায়ুতে প্রবিষ্ট শুক্রাণুকে ডিম্ব নালীর দিকে নিয়ে যায় ইত্যাদি।
প্রধান জনন অঙ্গ (Primary Sexual Organ) : ডিম্বাশয় বা ওভারি (Ovary) । ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু বা ডিম্ব তৈরি হয়। এই ডিম্বাণু পুরুষের শুক্রাণুর সাথে মিলিত হয়ে নতুন জীবন (Zygote) তৈরি করে ।
এখান থেকে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেসটেরন নামক হরমোন নিঃসরণ হয় ।
সহযোগী অঙ্গসমূহ : জরায়ু, ফেলোপিয়ান টিউব বা ডিম্ব নালী, যৌন পথ, ক্লাইটরিস, স্তন ইত্যাদি ।
স্ত্রী সেকেন্ডারি যৌন বিশিষ্টসমূহ : সাধারণত ১২ থেকে ১৪ বৎসর বয়স হতে দেখা যায়।
ক) মাসিক শুরু হবে,
(খ) স্তন স্ফীত হওয়া শুরু হবে,
(গ) যৌনাঙ্গে ও বগলে কেশ দেখা দেবে,
(ঘ) কোমর বড় হবে ও নিতম্বে মেদ জমবে,
(ঙ) বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ জন্মাবে,
(চ) সমস্ত শরীরের ত্বকের নীচে মেদ জমে এর উজ্জ্বলতা বাড়বে ও শরীরকে নমর করবে, ইত্যাদি।
ইস্ট্রোজেন হরমোনের কাজ (Function of Estrogen):
১) স্ত্রী জনন অঙ্গসমূহ আকারে বৃদ্ধি করে,
২) ডিম্বকে পরিপক্ব করে,
৩) মাসিকের পরে জরায়ুর আবরণীকে (Endometrium) পুরু করে এবং পূর্বের অবস্থায় নিয়ে আসে,
৪) জুনি পথের আকৃতি বৃদ্ধি করে,
৫) স্ত্রী লোকের মেয়েলী বৈশিষ্ট্যসমূহ প্রকাশে সাহায্য করে।
৫) স্তনের নালীর পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
৬) স্তনে মেদ বৃদ্ধির মাধ্যমে এর আকার বড় করে।
৭) জরায়ুতে প্রবিষ্ট শুক্রাণুকে ডিম্ব নালীর দিকে নিয়ে যায় ইত্যাদি।
স্ত্রী প্রজনন অঙ্গ (Female Reproductive Organs)
প্রজনন অঙ্গ সমূহ মানুষের বংশবৃদ্ধিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। আলোচনার সুবিধার জন্য দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
১) স্ত্রী লোকের বহিঃ প্রজনন অঙ্গ সমূহ (External Female Gentialia)
২) স্ত্রী লোকের অন্তঃ প্রজনন অঙ্গ সমূহ (Internal Female Gentialia)
বহিঃ প্রজনন অঙ্গ সমূহ (External Gentialia):
১) মন্স পিউবিস (Mons Pubis ): তলপেটে সবচেয়ে নিচের নরম অংশ যাহা চুল দ্বারা (Pubic Hair) আবৃত থাকে।
২) ল্যাবিয়া মেজোরা (Labia Majora): মাংসল ঠোটের ন্যায় যাহা ভেষ্টিবিউল- তথা যোনীদ্বার ও প্রস্রাবের নালী মুখকে আবৃত রাখে।
৩) ল্যাবিয়া মাইনোরা (Labir Minora ): মেজোরার ভিতরে লাল মাংসের ন্যায় অংশ।
৪) ভেষ্টিবিউল (Vestibule): ল্যাবিয়া মাইনোরা দ্বয়ের মধ্যবর্তী অংশ। এর উপরিভাগে প্রস্রাবের নলী শেষ হয় এবং নিচে যোনীদ্বার অবস্থিত।
ক) যোনীদ্বার (Vaginal Orifice/Opening): ভেষ্টিবিউলের নিচের অংশে থাকে। কুমারী (Virgin) মেয়েদের ক্ষেত্রে পাতলা পর্দা (Hymen) দ্বারা আংশিক আবৃত থাকে। বাকী খোলা অংশ দিয়ে মাসিকের রক্ত বের হয়। যৌন মিলনের ফলে ও লাফ ঝাপ দিলে বা সাইকেল চালালে এই পর্দা আংশিক ছিন্ন হয়। সন্তান প্রসবের ফলে পুরোপুরি ছিন্ন হয়।
খ) মূত্রনালীর মুখ (Urethrsl Orifice): ক্লায়োটরিস এর নীচে ও যোনীমুখের উপরে অবস্থিত। এই ছিদ্র দিয়ে প্রস্রাব শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
৫) ভগাঙ্কুর বা ক্লায়োটরিস (Cliotoris): এটি ক্ষুদ্র মাংসল অঙ্গ। একে ম্পর্শ করলে তীব্র যৌনভাব হয়।
জরায়ু (Uterus):
এটি একটি মাংসল অঙ্গ। পেটের হাইপোকন্ডিয়াক অঞ্চলে, মূত্রাশয়ের পিছে ও রেক্টামের সম্মুখে অবস্থিত। গর্ভধারণের পর জরায়ু বিশাল আকার ধারণ করে ও পাতলা হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় এর আয়তন ৩ * ২ * ১ ইঞ্চি।
এর তিনটি অংশ:
১) ফান্ডাস (Fundus),
২) বডি (Body),
৩) সার্ভিক্স (Cervix )
জরায়ুর ভিতরের আবরণী কলাকে এন্ডোমেট্রিয়াম (Endometrium) বলে, যা মাসিকের সময় ধ্বংস হয় ও পরে পুনরুজ্জীবিত হয়।
কাজ:
১) বাচ্চা ধারণ করে,
২) মাসিকের সময় এন্ডোমেট্রিয়াম ধ্বংস করে রক্তের সাথে বের করে দেয়।
যোনী (Vegina):
এটি একটি মাংসল অঙ্গ যা প্রসারিত হতে পারে। এর গায়ে অনেক গ্রন্থি আছে যা থেকে রস নিঃসরণ হয়। সঙ্গমের সময় এতে পুরুষাঙ্গ প্রবিষ্ট হয়। এটি যোনিমুখ থেকে সার্ভিক্রা পর্যন্ত বিস্তৃত। এর পিছনে পায়ুপথ ও মলাশয় থাকে।
প্রথম অংশটা এখানে দেখুন স্ত্রী লোকের অন্তঃ প্রজনন অঙ্গ সমূহ (Internal Female Genitalia)
বয়স বাড়ার সঙ্গে নারীর সন্তান ধারণ ক্ষমতা প্রাকৃতিকভাবেই খানিকটা কমে আসে। শুধু তা-ই নয়, জীবনযাপনের আরো কিছু বিষয় সন্তান ধারণক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। চলুন বিস্তারিত জেনে নিন-
১. অতিরিক্ত ওজন
অতিরিক্ত ওজন সন্তান না হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। এটি শরীরের হরমোনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে এবং নারীর সন্তান ধারণ ক্ষমতাকে অত্যন্ত জটিল করে তোলে। এর ফলে নারীর জরায়ুর কার্যক্ষমতাও হ্রাস পায়। ২০০৯ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, ১৮ বছর বয়সের যেসব নারী ওজনাধিক্যের সমস্যায় রয়েছেন, তাঁরা জরায়ুর বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হন এবং তাঁদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমে যায়।
২. রুগ্ন শরীর
অতিরিক্ত ওজন যেমন সন্তান ধারণ ক্ষমতা হ্রাস করে, তেমনি খুব বেশি পাতলা হওয়াও ক্ষতিকর। বেশি চিকন হলে নারীর দেহে ল্যাপটিন হরমোনের অভাব হয়। এই হরমোন ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরে এই হরমোনের ঘাটতি হলে ঋতুচক্রের সমস্যা হয়। তাই গবেষকদের মতে, উচ্চতা এবং ওজনের সামঞ্জস্য বজায় রাখুন। সুষম খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন ঠিক রাখুন। এটি নারীর বন্ধ্যত্ব দূর করতে সাহায্য করে।
৩. বয়স বেশি হওয়া
যখন নারীর ঋতুচক্র স্বাভাবিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়, তখন সে আর সন্তান ধারণ Child capacity করতে পারে না। ঋতুচক্র একবারে বন্ধ হয়ে যাওয়াকে মেনোপজ বলে। তবে যদি মেনোপজের ঠিক আগের পর্যায়ে শরীরে ইসট্রোজেন বা প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যায় বা একদমই নিঃসৃত না হয়, তখন তাকে পেরিমেনোপজ বলা হয়। মেনোপজ হয় সাধারণত ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। ৪৫ বছরের আগেই পেরিমেনোপজ হতে পারে। তাই অধিকাংশ চিকিত্সকের মতে, ৩৫ বছরের আগে সন্তান নেওয়া উচিত। এর পরে সন্তান ধারণক্ষমতা কঠিন হয়ে পড়ে।
৪. বংশগত কারণ
যদি আপনার মায়ের মেনোপজ আগে হয়, তবে আপনারও আগে থেকেই মেনোপোজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। নারীরা জন্মায় কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক ডিম্বাণু নিয়ে এবং এই জিনিসটি বেশি হওয়া বা কম হওয়ার পেছনে জিনগত কারণও কাজ করে। এ রকম অনেক কিছুই নির্ভর করে বংশগত কারণে। গবেষকদের মতে, যদি পরিবারে দেরিতে সন্তান ধারণের ইতিহাস থাকে, তবে আপনারও দেরিতে সন্তান হতে পারে।
৬. মানসিক চাপ
গবেষণায় বলা হয়, যেসব নারী দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকেন, তাঁদের সন্তান ধারণ ক্ষমতা Child capacity অনেক কমে যায়। কারণ, চাপ শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটায়। তবে চাপই এর একমাত্র কারণ নয়। গবেষকদের পরামর্শ, যেসব নারী সন্তান নিতে চাইছেন, তাঁদের চাপ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি শেখা খুব জরুরি।
৫. মদ্যপান
মদ্যপানে অভ্যস্ত নারীদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি থাকে অনেক। ২০০৪ সালে সুইডিশ বিজ্ঞানীরা ১৮ বছর ধরে মদ্যপান করেন—এমন সাত হাজার নারীর ওপর গবেষণা করে দেখেন, তাঁদের সন্তান ধারণক্ষমতা অনেক কমে গেছে। তাই গবেষকদের পরামর্শ, যদি আপনি সন্তান নিতে চান, তবে অবশ্যই মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।
৬. বেশি ব্যায়াম
ব্যায়াম করা আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং শক্তি দেয়। যখন আপনি সন্তান নিতে চাইবেন, এটি খুব জরুরি। তবে আপনি যদি অতিরিক্ত ব্যায়াম করেন, এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যাঁরা দিনে পাঁচ ঘণ্টার বেশি ব্যায়াম করেন, তাঁদের এ আশঙ্কা থাকে।
৭. থাইরয়েড সমস্যা
থাইরয়েড সমস্যা গর্ভধারণকে ব্যাহত করে। থাইরয়েড হলো এমন একটি গ্রন্থি, যা ঘাড়ের সামনের দিকে নিচের অংশে থাকে। এই থাইরয়েড থেকে অনেক হরমোন নিঃসৃত হয়। থাইরয়েডজনিত কোনো সমস্যা হলেও সন্তান ধারণ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
৮. ক্যাফেইন
আপনি যদি প্রচুর পরিমাণ ক্যাফেইন জাতীয় জিনিস খান, এটি আপনার গর্ভধারণকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। গবেষণায় বলা হয়, যাঁরা দিনে পাঁচ কাপের বেশি কফি পান করেন, তাঁদের এ সমস্যা হয়। তাই সন্তান নিতে চাইলে কফিপান কমিয়ে দেওয়ার পক্ষেই মতামত গবেষকদের।
৯. যৌন সমস্যা
যৌন বাহিত রোগের কারণেও সন্তান ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। যেমন : সিফিলিস, গনোরিয়া, প্রদাহ ইত্যাদি।
১০. স্বাস্থ্যগত সমস্যা
বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যার ফলে বন্ধ্যত্ব হতে পারে। পলিসাইটিক ওভারি সিনড্রোম, সিস্ট, এনডোমিটট্রিওসিস—এসব বিষয় অনেক সময় নারীর বন্ধ্যত্বের জন্য দায়ী। এছাড়া রিউমাটোয়েড আর্থ্রাইটিস অনেক সময় এর কারণ হয়। তাই এসব সমস্যা হলে আগে থেকে চিকিত্সা করাতে হবে, নয়তো সন্তান ধারণ করতে সমস্যা হতে পারে।