With time, Lakhi’s age caught up with her, and she showed signs of slowing down, old injuries got inflamed and she seemed to prefer resting against the mud beds in her enclosure
With time, Lakhi’s age caught up with her, and she showed signs of slowing down, old injuries got inflamed and she seemed to prefer resting against the mud beds in her enclosure. Late Saturday evening on the 3rd of March, she seemed more weary than usual, and even as her knees buckled under her, Asha and Coco rushed to her side to support her. Asha appeared calm and strong, as if she knew in her own way that this was it – Coco panicked initially, rushing about and running circles around her fallen friend. The team rushed in, the crane was called in to lift her back to her feet and support her – the elephants moved aside and watched, Asha touching them gently as they huddled together. They stood back as the team tried to get her back to her feet, even the younger elephants seemed uncharacteristically calm. Maybe they knew, maybe they realised it was time to let go and had their chance to say their goodbyes, and wanted to let her pass in peace. Lakhi resisted being lifted, as if she too knew her time had come. She let out her final breath and slumped down against the mud bed, eyes shut looking like she was completely at peace. As the team moved away, heartbroken, Asha rumbled loudly from where she was standing, but none of the elephants moved – Coco let out a small wail, and from every enclosure elephants responded softly with rumbles, trumpets and huffs all the way from the bulls to the closerby females like Phoolkali like an orchestra of calm, reassuring solidarity for their fallen friend.
IVE 아이브 ‘XOXZ’ MV
Views 5.2M |
Likes 222.7K |
Dislikes |
Comments 16.4K |
STARSHIP SQUARE (Domestic) : https://bit.ly/3HtQ7GF STARSHIP SQUARE (Global) : https://bit.ly/4i5Dl1g IVE US EXCLUSIVE STORE : https://shop.ive-starship.com/ IVE X (Twitter) : https://twitter.com/IVEstarship : https://twitter.com/IVE_twt : https://twitter.com/IVEstarship_JP IVE Instagram : https://instagram.com/IVEstarship IVE Facebook: https://fb.me/IVEstarship IVE Berriz: https://berriz.in/ko/IVE IVE TikTok: https://www.tiktok.com/@ive.official IVE Weibo: https://weibo.com/ivestarship #IVE #아이브 #アイヴ
Prev56789Next
Prev3940414243Next
Prev1234Next
WhatsApp numbers with Administrator
WhatsApp numbers with Administrator Call: +916909981832 Call: +916909981832 Message: +916909981832
Surah Ghashiya Bangla Pronunciation
সূরা গাশিয়াহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:- ।সূরা গাশিয়াহ পবিত্র কোরআনের ৮৮ নম্বর সূরা। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ ও পবিত্র কোরআনের ৩০তম পারায় অবস্থিত। এর আয়াত সংখ্যা ২৬। সূরা গাশিয়াহ ہَلۡ اَتٰىکَ حَدِیۡثُ الۡغَاشِیَۃِ ؕ ١ وُجُوۡہٌ یَّوۡمَئِذٍ خَاشِعَۃٌ ۙ ٢ عَامِلَۃٌ نَّاصِبَۃٌ ۙ ٣ تَصۡلٰی نَارًا حَامِیَۃً ۙ ٤ تُسۡقٰی مِنۡ عَیۡنٍ اٰنِیَۃٍ ؕ ٥ لَیۡسَ لَہُمۡ طَعَامٌ اِلَّا مِنۡ ضَرِیۡعٍ ۙ ٦ لَّا یُسۡمِنُ وَلَا یُغۡنِیۡ مِنۡ جُوۡعٍ ؕ ٧ وُجُوۡہٌ یَّوۡمَئِذٍ نَّاعِمَۃٌ ۙ ٨ لِّسَعۡیِہَا رَاضِیَۃٌ ۙ ٩ فِیۡ جَنَّۃٍ عَالِیَۃٍ ۙ ١۰ لَّا تَسۡمَعُ فِیۡہَا لَاغِیَۃً ؕ ١١ فِیۡہَا عَیۡنٌ جَارِیَۃٌ ۘ ١٢ فِیۡہَا سُرُرٌ مَّرۡفُوۡعَۃٌ ۙ ١٣ وَّاَکۡوَابٌ مَّوۡضُوۡعَۃٌ ۙ ١٤ وَّنَمَارِقُ مَصۡفُوۡفَۃٌ ۙ ١٥ وَّزَرَابِیُّ مَبۡثُوۡثَۃٌ ؕ ١٦ اَفَلَا یَنۡظُرُوۡنَ اِلَی الۡاِبِلِ کَیۡفَ خُلِقَتۡ ٝ ١٧ وَاِلَی السَّمَآءِ کَیۡفَ رُفِعَتۡ ٝ ١٨ وَاِلَی الۡجِبَالِ کَیۡفَ نُصِبَتۡ ٝ ١٩ وَاِلَی الۡاَرۡضِ کَیۡفَ سُطِحَتۡ ٝ ٢۰ فَذَکِّرۡ ۟ؕ اِنَّمَاۤ اَنۡتَ مُذَکِّرٌ ؕ ٢١ لَسۡتَ عَلَیۡہِمۡ بِمُصَۜیۡطِرٍ ۙ ٢٢ اِلَّا مَنۡ تَوَلّٰی وَکَفَرَ ۙ ٢٣ فَیُعَذِّبُہُ اللّٰہُ الۡعَذَابَ الۡاَکۡبَرَ ؕ ٢٤ اِنَّ اِلَیۡنَاۤ اِیَابَہُمۡ ۙ ٢٥ ثُمَّ اِنَّ عَلَیۡنَا حِسَابَہُمۡ ٪ ٢٦ সূরা গাশিয়াহ বাংলা উচ্চারণ : ১. হাল আতা-কা হাদীছুল গা-শিয়াহ। ২. উজূহুইঁ ইয়াওমাইযিন খা-শি‘আহ। ৩. আ-মিলাতুন না-সিবাহ। ৪. তাসলা-না-রান হা-মিয়াহ। ৫. তুছকা-মিন ‘আইনিন আ-নিয়াহ। ৬.লাইছা লাহুম তা‘আ-মুন ইল্লা-মিন দারী‘ই। ৭. লা-ইউছমিনু-ওয়ালা-ইউগনী মিন জু‘ই। ৮. উজূহুইঁ ইয়াওমাইযিন না-‘ইমাহ। ৯. লিছা‘ইহা-রা-দিয়াহ। ১০. ফী জান্নাতিন ‘আ-লিয়াহ। ১১.লা-তাছমা‘উ ফীহা-লা-গিয়াহ। ১২. ফীহা-‘আইনুন জা-রিয়াহ। ১৩. ফীহা-ছুরুরুম-মারফূ‘আহ। ১৪.ওয়া আক-ওয়া-বুম মাওদূ‘আহ। ১৫.ওয়া-নামা-রিকুমাসফূফাহ। ১৬. ওয়া ঝারা-বিইয়ু-মাবছূছাহ। ১৭. আফালা-ইয়ান-জুরুনা ইলাল ইবিলি কাইফা খুলিকাত। ১৮.ওয়া ইলাছ ছামাই কাইফা রুফি‘আত। ১৯. ওয়া ইলাল জিবা-লি কাইফা নুসিবাত। ২০.ওয়া ইলাল আরদি কাইফা ছুতিহাত। ২১. ফাযাক্কির ইন্নামা-আনতা মুযাক্কির। ২২. লাছাতা ‘আলইহিম বিমুসাইতির। ২৩. ইল্লা-মান তাওয়াল্লা-ওয়া কাফার। ২৪. ফা-ইউ‘আযযিবুহুল্লা-হুল ‘আযা-বাল আকবার। ২৫.ইন্না ইলাইনাইয়া-বাহুম। ২৬. ছু ম্মা ইন্না ‘আলাইনা-হিছা-বাহুম। সূরা গাশিয়াহ বাংলা অর্থ : তোমার কাছে কি পৌঁছেছে সেই ঘটনার সংবাদ, যা সবকিছুকে আচ্ছন্ন করবে? সে দিন বহু চেহারা থাকবে অবনত। বিপর্যস্ত, ক্লান্ত। তারা প্রবেশ করবে জ্বলন্ত আগুনে। তাদেরকে টগবগে গরম প্রস্রবণ হতে পানি পান করানো হবে। তাদের জন্য কণ্টকিত গুল্ম ছাড়া কোন খাদ্য থাকবে না। যা তাদের পুষ্টি যোগাবে না এবং তাদের ক্ষুধাও মিটাবে না। সে দিন বহু চেহারা থাকবে সজীব। (দুনিয়ায়) নিজেদের কৃত শ্রমের কারণে সন্তুষ্ট।তারা থাকবে আলিশান জান্নাতে। যেখানে তারা কোন নিরর্থক কথা শুনবে না। সে জান্নাতে থাকবে বহমান প্রস্রবণ। তাতে উঁচু-উঁচু আসন থাকবে। সামনে রাখা থাকবে পান-পাত্র। এবং সারি-সারি নরম বালিশ। এবং বিছানো গালিচা। তবে কি তারা লক্ষ করে না উটের প্রতি, কিভাবে তা সৃষ্টি করা হয়েছে। এবং আকাশের প্রতি, কিভাবে তাকে উঁচু করা হয়েছে? এবং পাহাড়সমূহের প্রতি, কিভাবে তাকে প্রোথিত করা হয়েছে? এবং ভূমির প্রতি, কিভাবে তা বিছানো হয়েছে? সুতরাং (হে রাসূল!) তুমি উপদেশ দিতে থাক, তুমি তো একজন উপদেশদাতাই। তোমাকে তাদের উপর জবরদস্তি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তবে কেউ মুখ ফিরিয়ে নিলে ও কুফর অবলম্বন করলে, আল্লাহ তাকে মহা শাস্তি দান করবেন। নিশ্চয়ই তাদের সকলকে আমারই কাছে ফিরে আসতে হবে। অতঃপর তাদের হিসাব গ্রহণ অবশ্যই আমার দায়িত্ব। (১-২৬)
Surah Fajr Bangla Pronunciation
সূরা ফাজরের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:- সূরা ফাজর পবিত্র কোরআনের ৮৯ নম্বর সূরা। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ ও কোরআনের ত্রিশতম পারায় অবস্থিত। এর আয়াত সংখ্যা ৩০। এই সূরার শুরুতে আল্লাহ তায়ালা পাঁচটি জিনিসের শপথ গ্রহণ করেছেন। এরপর আল্লাহর সঙ্গে আদ, সামুদ জাতি ও ফেরাউনের অবাধ্যতা ও তার পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সূরা ফাজর وَالۡفَجۡرِ ۙ ١ وَلَیَالٍ عَشۡرٍ ۙ ٢ وَّالشَّفۡعِ وَالۡوَتۡرِ ۙ ٣ وَالَّیۡلِ اِذَا یَسۡرِ ۚ ٤ ہَلۡ فِیۡ ذٰلِکَ قَسَمٌ لِّذِیۡ حِجۡرٍ ؕ ٥ اَلَمۡ تَرَ کَیۡفَ فَعَلَ رَبُّکَ بِعَادٍ ۪ۙ ٦ اِرَمَ ذَاتِ الۡعِمَادِ ۪ۙ ٧ الَّتِیۡ لَمۡ یُخۡلَقۡ مِثۡلُہَا فِی الۡبِلَادِ ۪ۙ ٨ وَثَمُوۡدَ الَّذِیۡنَ جَابُوا الصَّخۡرَ بِالۡوَادِ ۪ۙ ٩ وَفِرۡعَوۡنَ ذِی الۡاَوۡتَادِ ۪ۙ ١۰ الَّذِیۡنَ طَغَوۡا فِی الۡبِلَادِ ۪ۙ ١١ فَاَکۡثَرُوۡا فِیۡہَا الۡفَسَادَ ۪ۙ ١٢ فَصَبَّ عَلَیۡہِمۡ رَبُّکَ سَوۡطَ عَذَابٍ ۚۙ ١٣ اِنَّ رَبَّکَ لَبِالۡمِرۡصَادِ ؕ ١٤ فَاَمَّا الۡاِنۡسَانُ اِذَا مَا ابۡتَلٰىہُ رَبُّہٗ فَاَکۡرَمَہٗ وَنَعَّمَہٗ ۬ۙ فَیَقُوۡلُ رَبِّیۡۤ اَکۡرَمَنِ ؕ ١٥ وَاَمَّاۤ اِذَا مَا ابۡتَلٰىہُ فَقَدَرَ عَلَیۡہِ رِزۡقَہٗ ۬ۙ فَیَقُوۡلُ رَبِّیۡۤ اَہَانَنِ ۚ ١٦ کَلَّا بَلۡ لَّا تُکۡرِمُوۡنَ الۡیَتِیۡمَ ۙ ١٧ وَلَا تَحٰٓضُّوۡنَ عَلٰی طَعَامِ الۡمِسۡکِیۡنِ ۙ ١٨ وَتَاۡکُلُوۡنَ التُّرَاثَ اَکۡلًا لَّمًّا ۙ ١٩ وَّتُحِبُّوۡنَ الۡمَالَ حُبًّا جَمًّا ؕ ٢۰ کَلَّاۤ اِذَا دُکَّتِ الۡاَرۡضُ دَکًّا دَکًّا ۙ ٢١ وَّجَآءَ رَبُّکَ وَالۡمَلَکُ صَفًّا صَفًّا ۚ ٢٢ وَجِایۡٓءَ یَوۡمَئِذٍۭ بِجَہَنَّمَ ۬ۙ یَوۡمَئِذٍ یَّتَذَکَّرُ الۡاِنۡسَانُ وَاَنّٰی لَہُ الذِّکۡرٰی ؕ ٢٣ یَقُوۡلُ یٰلَیۡتَنِیۡ قَدَّمۡتُ لِحَیَاتِیۡ ۚ ٢٤ فَیَوۡمَئِذٍ لَّا یُعَذِّبُ عَذَابَہٗۤ اَحَدٌ ۙ ٢٥ وَّلَا یُوۡثِقُ وَثَاقَہٗۤ اَحَدٌ ؕ ٢٦ یٰۤاَیَّتُہَا النَّفۡسُ الۡمُطۡمَئِنَّۃُ ٭ۖ ٢٧ ارۡجِعِیۡۤ اِلٰی رَبِّکِ رَاضِیَۃً مَّرۡضِیَّۃً ۚ ٢٨ فَادۡخُلِیۡ فِیۡ عِبٰدِیۡ ۙ ٢٩ وَادۡخُلِیۡ جَنَّتِیۡ ٪ ٣۰ সূরা ফাজরের বাংলা উচ্চারণ : ১. ওয়াল ফাজর। ২. ওয়া লায়া-লিন আশর। ৩. ওয়াশ-শাফা-ই ওয়াল ওয়াতর। ৪. ওয়াল্লাইলি ইযাইয়াছর। ৫. হাল ফী যা-লিকা কাছামুল লিযী হিজর। ৬.আলাম তারা কাইফা ফা‘আলা রাব্বুকা বি‘আ-দ। ৭. ইরামা যা-তিল ‘ইমা-দ। ৮.আল্লাতী লাম ইউখ-লাক-মিছলুহা-ফিল বিলা-দ। ৯. ওয়া ছামূদাল্লাযীনা জা-বুসসাখরা বিল ওয়া-দ। ১০. ওয়া ফির‘আউনা যীল আওতা-দ। ১১.আল্লাযীনা তাগাও ফিল বিলা-দ। ১২. ফা-আকছারূ ফীহাল ফাছা-দ। ১৩. ফাসাব্বা আলাইহিম রাব্বুকা ছাওতা ‘আযা-ব। ১৪. ইন্না রাব্বাকা লাবিলমিরসা-দ। ১৫. ফাআম্মাল ইনছা-নু-ইযা-মাবতালা-হু রাব্বুহু ফাআকরামাহূ-ওয়া না‘আমাহূ ফাইয়াকূলু রাববী-আকরামান। ১৬.ওয়া-আম্মা-ইযা-মাবতালা-হু ফাকাদারা ‘আলাইহি রিঝকাহূ ফা-ইয়াকূলু-রাববী আহা-নান। ১৭. কাল্লা-বাল্লা-তুকরিমূনাল ইয়াতীম। ১৮.ওয়া লা-তাহাদ্দূ না ‘আলা-তা‘আ-মিল মিছকীন। ১৯.ওয়া তা’কুলূনাত তুরা-ছা আকলাল্লাম্মা। ২০. ওয়া তুহিব্বুনাল মা-লা হুব্বান জাম্মা। ২১. কাল্লা-ইযা-দুক্কাতিল আরদু-দাক্কান দাক্কা। ২২. ওয়া জাআ রাব্বুকা ওয়াল মালাকু-সাফফান সাফফা। ২৩. ওয়া জীআ ইয়াওমাইযিম বিজাহান্নাম, ইয়াওমা-ইযিইঁ ইয়াতা-যাক্কারুল ইনছানু-ওয়া আন্না-লাহুযযিকরা। ২৪. ইয়া-কূলুইয়া-লাইতানী কাদ্দামতুলিহায়া-তী। ২৫. ফাইয়াওমা-ইযিল লা-ইউ‘আযযি বু‘আযা-বাহূ-আহাদ। ২৬.ওয়ালা-ইঊছিকু-ওয়াছা-কাহূআহাদ। ২৭. ইয়া-আইয়াতু-হান্নাফছুল মুতমাইন্নাহ। ২৮.ইর-জি‘ঈইলা-রাব্বিকি রা-দিয়াতাম মারদিইয়াহ। ২৯. ফাদখুলী ফী ‘ইবা-দী। ৩০. ওয়াদখুলী জান্নাতী। সূরা ফাজরের বাংলা অর্থ : শপথ ফজর-কালের। এবং দশ রাতের। এবং জোড় ও বেজোড়ের। এবং রাতের, যখন তা গত হতে শুরু করে (আখেরাতের শাস্তি ও পুরস্কার অবশ্যম্ভাবী)। একজন বোধসম্পন্ন ব্যক্তির (বিশ্বাস আনয়নের) জন্য এসব শপথ যথেষ্ট নয় কি? তুমি কি দেখনি তোমার প্রতিপালক আদ (জাতি)-এর প্রতি কী আচরণ করেছেন? ইরাম সম্প্রদায়ের প্রতি, যারা উঁচু উঁচু স্তম্ভের অধিকারী ছিল। যাদের সমান পৃথিবীতে আর কোন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়নি? এবং (কী আচরণ করেছেন) ছামুদ (জাতি)-এর প্রতি, যারা উপত্যকায় বড়-বড় পাথর কেটে ফেলেছিল? এবং (কী আচরণ করেছেন) পেরেকওয়ালা ফিরাউনের প্রতি? যারা দেশে-দেশে অবাধ্যতা প্রদর্শন করেছিল। এবং তাতে ব্যাপক অশান্তি বিস্তার করেছিল। ফলে তোমার প্রতিপালক তাদের উপর শাস্তির কষাঘাত হানলেন। নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক সকলের উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। কিন্তু মানুষের অবস্থা তো এই যে, যখন তার প্রতিপালক তাকে পরীক্ষা করেন এবং তাকে মর্যাদা ও অনুগ্রহ দান করেন তখন সে বলে, আমার প্রতিপালক আমাকে সম্মানিত করেছেন। এবং অপর দিকে যখন তাকে পরীক্ষা করেন এবং তার জীবিকা সঙ্কুচিত করে দেন, তখন সে বলে, আমার প্রতিপালক আমাকে অমর্যাদা করেছেন। কখনও এরূপ সমীচীন নয়। (কেবল এতটুকুই নয়;) বরং তোমরা ইয়াতীমকে সম্মান করো না। এবং মিসকীনদেরকে খাবার খাওয়ানোর জন্য একে অন্যকে উৎসাহিত করো না। এবং মীরাছের সম্পদ সম্পূর্ণরূপে গ্রাস করে থাক। এবং ধন-সম্পদকে সীমাতিরিক্ত ভালোবাস। কিছুতেই এরূপ সমীচীন নয়। যখন পৃথিবীকে পিষে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলা হবে। কিছুতেই এরূপ সমীচীন নয়। যখন পৃথিবীকে পিষে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলা হবে। সে দিন জাহান্নামকে সামনে আনা হবে। সে দিন মানুষ বুঝতে পারবে, কিন্তু সেই সময় বুঝে আসার দ্বারা তার কী ফায়দা? সে বলবে, হায়! আমি যদি আমার এই জীবনের জন্য কিছু অগ্রিম পাঠাতাম? সে দিন আল্লাহর শাস্তির মতো শাস্তি কেউ দিতে পারবে না। এবং তাঁর বাঁধার মত বাঁধতেও কেউ পারবে না। (অবশ্য নেককারদেরকে বলা হবে,) হে (আল্লাহর ইবাদতে) প্রশান্তি লাভকারী চিত্ত! নিজ প্রতিপালকের দিকে ফিরে আস সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে।এবং আমার (নেক) বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও। আর দাখিল হয়ে যাও আমার জান্নাতে। (সূরা ফাজর, আয়াত : ১-৩০)
Surah Balad Bangla Pronunciation
সূরা বালাদের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:- সূরা বালাদ পবিত্র কোরআনের ৯০ নম্বর সূরা। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ এবং পবিত্র কোরআনের ত্রিশতম পারায় অবস্থিত। এর আয়াত সংখ্যা ২০। সূরা বালাদ لَاۤ اُقۡسِمُ بِہٰذَا الۡبَلَدِ ۙ ١ وَاَنۡتَ حِلٌّۢ بِہٰذَا الۡبَلَدِ ۙ ٢ وَوَالِدٍ وَّمَا وَلَدَ ۙ ٣ لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ فِیۡ کَبَدٍ ؕ ٤ اَیَحۡسَبُ اَنۡ لَّنۡ یَّقۡدِرَ عَلَیۡہِ اَحَدٌ ۘ ٥ یَقُوۡلُ اَہۡلَکۡتُ مَالًا لُّبَدًا ؕ ٦ اَیَحۡسَبُ اَنۡ لَّمۡ یَرَہٗۤ اَحَدٌ ؕ ٧ اَلَمۡ نَجۡعَلۡ لَّہٗ عَیۡنَیۡنِ ۙ ٨ وَلِسَانًا وَّشَفَتَیۡنِ ۙ ٩ وَہَدَیۡنٰہُ النَّجۡدَیۡنِ ۚ ١۰ فَلَا اقۡتَحَمَ الۡعَقَبَۃَ ۫ۖ ١١ وَمَاۤ اَدۡرٰىکَ مَا الۡعَقَبَۃُ ؕ ١٢ فَکُّ رَقَبَۃٍ ۙ ١٣ اَوۡ اِطۡعٰمٌ فِیۡ یَوۡمٍ ذِیۡ مَسۡغَبَۃٍ ۙ ١٤ یَّتِیۡمًا ذَا مَقۡرَبَۃٍ ۙ ١٥ اَوۡ مِسۡکِیۡنًا ذَا مَتۡرَبَۃٍ ؕ ١٦ ثُمَّ کَانَ مِنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَتَوَاصَوۡا بِالصَّبۡرِ وَتَوَاصَوۡا بِالۡمَرۡحَمَۃِ ؕ ١٧ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ الۡمَیۡمَنَۃِ ؕ ١٨ وَالَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِاٰیٰتِنَا ہُمۡ اَصۡحٰبُ الۡمَشۡـَٔمَۃِ ؕ ١٩ عَلَیۡہِمۡ نَارٌ مُّؤۡصَدَۃٌ ٪ ٢۰ সূরা বালাদের বাংলা উচ্চারণ : ১. লা-উকছিমুবিহা-যাল বালাদ। ২.ওয়া আনতা হিল্লুম বিহা-যাল বালাদ। ৩. ওয়া ওয়া-লিদিওঁ ওয়ামা-ওয়ালাদ। ৪. লাকাদ খালাকনাল ইনছা-না ফী কাবাদ। ৫. আ-ইয়াহ-ছাবুআল্লাইঁ ইয়াকদিরা আলাইহি আহাদ। ৬.ইয়া-কূলু-আহলাকতু-মা-লাল লুবাদা। ৭. আইয়াহছাবু-আল্লাম ইয়া-রাহূআহাদ। ৮. আলাম নাজ-আল্লাহূ‘আইনাইন। ৯.ওয়া লিছা-নাওঁ ওয়া শাফাতাইন। ১০.ওয়া হাদাইনা-হুন্নাজদাঈন। ১১.ফালাক-তাহামাল ‘আকাবাহ। ১২.ওয়া-মা-আদরা-কা মাল আকাবাহ। ১৩.ফাক্কুরাকাবাহ। ১৪.আও ইত‘আ-মুন ফী ইয়াওমিন যী মাছগাবাহ। ১৫.ইয়াতীমান যা-মাকরাবাহ। ১৬. আও মিছকীনান যা-মাতরাবাহ। ১৭. ছুম্মা কা-না মিনাল্লাযীনা আ-মানূ-ওয়াতাওয়া-সাও বিসসাবরি ওয়াতাওয়া-সাও বিল মারহামাহ। ১৮. উলা-ইকা আসহা-বুল মাইমানাহ। ১৯. ওয়া-ল্লাযীনা কাফারূবিআ-য়া-তিনা-হুম আসহা-বুল মাশআমাহ। ২০.‘আলাইহিম না-রুম মু’সাদাহ। সূরা বালাদের বাংলা অর্থ : আমি শপথ করছি এই নগরের। যখন (হে নবী!) তুমি এই নগরের বাসিন্দা। এবং আমি শপথ করছি পিতার ও তার সন্তানের। আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি পরিশ্রমের ভেতর। সে কি মনে করে তার উপর কারও ক্ষমতা চলবে না? সে বলে, আমি অঢেল অর্থ-সম্পদ উড়িয়েছি। সে কি মনে করে তাকে কেউ দেখছে না? আমি কি তাকে দেইনি দু’টি চোখ? এবং একটি জিহ্বা ও দু’টি ঠোঁট? আমি তাকে দু’টো পথই দেখিয়েছি। তবুও সে প্রবেশ করতে পারেনি ঘাঁটিতে। তুমি কি জান সে ঘাঁটি কী? (তা হচ্ছে কারও) গর্দানকে (দাসত্ব থেকে) মুক্ত করা। অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে খাদ্য দান করা। কোন ইয়াতীম আত্মীয়কে। অথবা এমন কোন মিসকীনকে যে ধুলো মাটিতে গড়াগড়ি খায়। আর অন্তর্ভুক্ত হওয়া সেই সব লোকের, যারা ঈমান এনেছে, একে অন্যকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দিয়েছে এবং একে অন্যকে দয়ার উপদেশ দিয়েছে। তারাই সৌভাগ্যবান লোক। অপর দিকে যারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করেছে, তারাই হতভাগ্য। তাদের উপর চাপানো থাকবে আবদ্ধকৃত আগুন। (সূরা বালাদ, আয়াত : ১-২০)
Surah Ash Shams Bangla Pronunciation
সূরা শামসের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:- সূরা শামস পবিত্র কোরআনের ৯১ নম্বর সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ১৫। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ ও পবিত্র কোরআনের ৩০তম পারায় অবস্থিত। সূরা শামস وَالشَّمۡسِ وَضُحٰہَا ۪ۙ ١ وَالۡقَمَرِ اِذَا تَلٰىہَا ۪ۙ ٢ وَالنَّہَارِ اِذَا جَلّٰىہَا ۪ۙ ٣ وَالَّیۡلِ اِذَا یَغۡشٰىہَا ۪ۙ ٤ وَالسَّمَآءِ وَمَا بَنٰہَا ۪ۙ ٥ وَالۡاَرۡضِ وَمَا طَحٰہَا ۪ۙ ٦ وَنَفۡسٍ وَّمَا سَوّٰىہَا ۪ۙ ٧ فَاَلۡہَمَہَا فُجُوۡرَہَا وَتَقۡوٰىہَا ۪ۙ ٨ قَدۡ اَفۡلَحَ مَنۡ زَکّٰىہَا ۪ۙ ٩ وَقَدۡ خَابَ مَنۡ دَسّٰىہَا ؕ ١۰ کَذَّبَتۡ ثَمُوۡدُ بِطَغۡوٰىہَاۤ ۪ۙ ١١ اِذِ انۡۢبَعَثَ اَشۡقٰہَا ۪ۙ ١٢ فَقَالَ لَہُمۡ رَسُوۡلُ اللّٰہِ نَاقَۃَ اللّٰہِ وَسُقۡیٰہَا ؕ ١٣ فَکَذَّبُوۡہُ فَعَقَرُوۡہَا ۪۬ۙ فَدَمۡدَمَ عَلَیۡہِمۡ رَبُّہُمۡ بِذَنۡۢبِہِمۡ فَسَوّٰىہَا ۪ۙ ١٤ وَلَا یَخَافُ عُقۡبٰہَا ٪ ١٥ সূরা শামসের বাংলা উচ্চারণ : ১. ওয়াশ শামছি ওয়াদু হা-হা। ২. ওয়াল কামারি ইযা-তালা-হা। ৩. ওয়ান্নাহা-রি ইযা জাল্লা-হা। ৪.ওয়াল্লাইলি ইযা-ইয়াগশা-হা। ৫.ওয়াছ ছামাই ওয়ামা-বানা-হা। ৬. ওয়াল আরদিওয়ামা-তাহা-হা। ৭. ওয়া নাফছিওঁ ওয়া মা-ছাওওয়া-হা। ৮.ফা-আলহামাহা-ফুজূরাহা-ওয়া তাকওয়া-হা। ৯. কাদ আফলাহা মান ঝাক্কা-হা। ১০.ওয়া কাদ খা-বা মান দাছছা-হা। ১১. কাযযাবাত ছামূদুবিতাগ-ওয়াহা। ১২. ইযিম বা‘আছা আশকা-হা। ১৩. ফাকালা লাহুম রাছূলুল্লাহি না-কাতাল্লাহি ওয়া ছুকইয়া-হা। ১৪. ফাকাযযাবূহু ফা‘আকারূহা- ফাদামদামা ‘আলাইহিম রাব্বুহুম বিযামবিহিম ফাছাওওয়াহা। ১৫. ওয়ালা-ইয়াখাফু উকবা-হা। সূরা শামসের বাংলা অর্থ : শপথ সূর্যের ও তার বিস্তৃত রোদের। এবং চাদের, যখন তা সূর্যের পেছনে পেছনে আসে। এবং দিনের, যখন তা সূর্যকে প্রকাশ করে। এবং রাতের, যখন তা সূর্যকে আচ্ছাদিত করে। শপথ আকাশের ও তাঁর যিনি তা নির্মাণ করেছেন। এবং পৃথিবীর ও তাঁর যিনি তাকে বিস্তৃত করেছেন। এবং মানবাত্মার ও তাঁর, যিনি তাকে পরিপাটি করেছেন। অতঃপর তার জন্য যা পাপ এবং তার জন্য যা পরহেযগারী, তার ভেতর সেই বিষয়ক জ্ঞানোন্মেষ ঘটিয়েছেন। সে-ই সফলকাম হবে, যে নিজ আত্মাকে পরিশুদ্ধ করবে। আর ব্যর্থকাম হবে সেই, যে তাকে (গুনাহের মধ্যে) ধসিয়ে দেবে। ছামুদ জাতি অবাধ্যতাবশত (তাদের নবীকে) অস্বীকার করেছিল। যখন তাদের সর্বাপেক্ষা নিষ্ঠুর ব্যক্তি উঠে পড়ল। তথাপি তারা তাদের রাসূলকে প্রত্যাখ্যান করল এবং উটনীটিকে মেরে ফেলল। পরিণামে তাদের প্রতিপালক তাদের গুনাহের কারণে তাদেরকে ব্যাপকভাবে ধ্বংস করে সব একাকার করে ফেললেন। আর তিনি এর কোন মন্দ পরিণামের ভয় করেন না। (সূরা শামস, আয়াত : ১-১৫)
Surah Lail Bangla Pronunciation
সূরা লাইলের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:- সূরা লাইল পবিত্র কোরআনের ৯২ নম্বর সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ২১। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ এবং কোরআনের ৩০তম পারায় অবস্থিত। সূরা লাইল وَالَّیۡلِ اِذَا یَغۡشٰی ۙ ١ وَالنَّہَارِ اِذَا تَجَلّٰی ۙ ٢ وَمَا خَلَقَ الذَّکَرَ وَالۡاُنۡثٰۤی ۙ ٣ اِنَّ سَعۡیَکُمۡ لَشَتّٰی ؕ ٤ فَاَمَّا مَنۡ اَعۡطٰی وَاتَّقٰی ۙ ٥ وَصَدَّقَ بِالۡحُسۡنٰی ۙ ٦ فَسَنُیَسِّرُہٗ لِلۡیُسۡرٰی ؕ ٧ وَاَمَّا مَنۡۢ بَخِلَ وَاسۡتَغۡنٰی ۙ ٨ وَکَذَّبَ بِالۡحُسۡنٰی ۙ ٩ فَسَنُیَسِّرُہٗ لِلۡعُسۡرٰی ؕ ١۰ وَمَا یُغۡنِیۡ عَنۡہُ مَالُہٗۤ اِذَا تَرَدّٰی ؕ ١١ اِنَّ عَلَیۡنَا لَلۡہُدٰی ۫ۖ ١٢ وَاِنَّ لَنَا لَلۡاٰخِرَۃَ وَالۡاُوۡلٰی ١٣ فَاَنۡذَرۡتُکُمۡ نَارًا تَلَظّٰی ۚ ١٤ لَا یَصۡلٰىہَاۤ اِلَّا الۡاَشۡقَی ۙ ١٥ الَّذِیۡ کَذَّبَ وَتَوَلّٰی ؕ ١٦ وَسَیُجَنَّبُہَا الۡاَتۡقَی ۙ ١٧ الَّذِیۡ یُؤۡتِیۡ مَالَہٗ یَتَزَکّٰی ۚ ١٨ وَمَا لِاَحَدٍ عِنۡدَہٗ مِنۡ نِّعۡمَۃٍ تُجۡزٰۤی ۙ ١٩ اِلَّا ابۡتِغَآءَ وَجۡہِ رَبِّہِ الۡاَعۡلٰی ۚ ٢۰ وَلَسَوۡفَ یَرۡضٰی ٪ ٢١ সূরা লাইলের বাংলা উচ্চারণ : ১. ওয়াল্লাইলি ইযা-ইয়াগশা। ২. ওয়ান্নাহা-রি ইযা-তাজাল্লা। ৩. ওয়ান্নাহা-রি ইযা-তাজাল্লা। ৪. ইন্না ছা‘ইয়াকুম লাশাত্তা। ৫.ফাআম্মা-মান আ‘তা-ওয়াত্তাকা। ৬. ওয়া সাদ্দাকা বিলহুছনা। ৭. ফাছানুইয়াছছিরুহূলিল ইউছরা। ৮. ওয়া আম্মা-মাম বাখিলা ওয়াছতাগনা। ৯. ওয়া কাযযাবা বিল হুছনা। ১০. ফাছানুইয়াছছিরুহূলিল উছরা। ১১. ওয়ামা-ইউগনী ‘আনহু মা-লুহূ ইযা-তারাদ্দা। ১২. ইন্না ‘আলাইনা-লালহুদা। ১৩. ওয়া ইন্না লানা-লালআ-খিরাতা ওয়ালঊলা। ১৪. ফাআনযারতুকুম না-রান তালাজ্জা। ১৫. লা-ইয়াসলা-হাইল্লাল আশকা। ১৬. আল্লাযী কাযযাবা ওয়া তাওয়াল্লা। ১৭. ওয়া ছাইউ-জান্নাবুহাল আতকা। ১৮. আল্লাযী ইউ’তী মা-লাহূ-ইয়াতাঝাক্কা। ১৯.ওয়ামা-লিআহাদিন ‘ইনদাহূ-মিন নি‘মাতিন তুজঝা। ২০. ইল্লাবতিগাআ ওয়াজহি রাব্বিহিল আ‘লা। ২১. ওয়া লাছাওফা ইয়ারদা। সূরা লাইল বাংলা অর্থ : শপথ রাতের, যখন তা আচ্ছন্ন করে।এবং দিনের, যখন তা উদ্ভাসিত হয়। এবং সেই সত্তার, যিনি নর ও নারী সৃষ্টি করেছেন। বস্তুত তোমাদের প্রচেষ্টা বিভিন্ন রকমের। সুতরাং যে ব্যক্তি (আল্লাহর পথে অর্থ-সম্পদ) দান করেছে ও তাকওয়া অবলম্বন করেছে। সুতরাং যে ব্যক্তি (আল্লাহর পথে অর্থ-সম্পদ) দান করেছে ও তাকওয়া অবলম্বন করেছে। আমি তাকে স্বস্তিময় গন্তব্যে পৌঁছার ব্যবস্থা করে দেব। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি কৃপণতা করল এবং (আল্লাহর প্রতি) বেপরোয়াভাব দেখাল। এবং সর্বোত্তম বিষয়কে প্রত্যাখ্যান করল। আমি তার যাতনাময় স্থানে পৌঁছার ব্যবস্থা করে দেব। সে যখন ধ্বংস-গহ্বরে পতিত হবে, তখন তার সম্পদ তার কোন কাজে আসবে না। বস্তুত, পথ দেখিয়ে দেওয়া আমারই দায়িত্ব। এবং অবশ্যই, আখেরাত ও দুনিয়া আমারই কর্তৃত্বাধীন। অতএব আমি তোমাদেরকে সতর্ক করে দিলাম এক লেলিহান আগুন সম্পর্কে। তাতে প্রবেশ করবে কেবল সেই, যে নিতান্ত হতভাগ্য। যে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছে ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এবং তা থেকে দূরে রাখা হবে পরম মুত্তাকীকে। যে আত্মশুদ্ধি অর্জনের জন্য নিজ সম্পদ (আল্লাহর পথে) দান করে। অথচ তার উপর কারও অনুগ্রহ ছিল না, যার প্রতিদান দিতে হত। বরং সে (দান করে) কেবল তার মহান প্রতিপালকের সন্তুষ্টির প্রত্যাশায়।নিশ্চয়ই সে অচিরেই খুশী হয়ে যাবে। (সূরা লাইল, আয়াত : ১-২১)
Prev1112131415Next
WhatsApp numbers with Administrator
WhatsApp numbers with Administrator Call: +916909981832 Call: +916909981832 Message: +916909981832
Surah Ghashiya Bangla Pronunciation
সূরা গাশিয়াহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:- ।সূরা গাশিয়াহ পবিত্র কোরআনের ৮৮ নম্বর সূরা। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ ও পবিত্র কোরআনের ৩০তম পারায় অবস্থিত। এর আয়াত সংখ্যা ২৬। সূরা গাশিয়াহ ہَلۡ اَتٰىکَ حَدِیۡثُ الۡغَاشِیَۃِ ؕ ١ وُجُوۡہٌ یَّوۡمَئِذٍ خَاشِعَۃٌ ۙ ٢ عَامِلَۃٌ نَّاصِبَۃٌ ۙ ٣ تَصۡلٰی نَارًا حَامِیَۃً ۙ ٤ تُسۡقٰی مِنۡ عَیۡنٍ اٰنِیَۃٍ ؕ ٥ لَیۡسَ لَہُمۡ طَعَامٌ اِلَّا مِنۡ ضَرِیۡعٍ ۙ ٦ لَّا یُسۡمِنُ وَلَا یُغۡنِیۡ مِنۡ جُوۡعٍ ؕ ٧ وُجُوۡہٌ یَّوۡمَئِذٍ نَّاعِمَۃٌ ۙ ٨ لِّسَعۡیِہَا رَاضِیَۃٌ ۙ ٩ فِیۡ جَنَّۃٍ عَالِیَۃٍ ۙ ١۰ لَّا تَسۡمَعُ فِیۡہَا لَاغِیَۃً ؕ ١١ فِیۡہَا عَیۡنٌ جَارِیَۃٌ ۘ ١٢ فِیۡہَا سُرُرٌ مَّرۡفُوۡعَۃٌ ۙ ١٣ وَّاَکۡوَابٌ مَّوۡضُوۡعَۃٌ ۙ ١٤ وَّنَمَارِقُ مَصۡفُوۡفَۃٌ ۙ ١٥ وَّزَرَابِیُّ مَبۡثُوۡثَۃٌ ؕ ١٦ اَفَلَا یَنۡظُرُوۡنَ اِلَی الۡاِبِلِ کَیۡفَ خُلِقَتۡ ٝ ١٧ وَاِلَی السَّمَآءِ کَیۡفَ رُفِعَتۡ ٝ ١٨ وَاِلَی الۡجِبَالِ کَیۡفَ نُصِبَتۡ ٝ ١٩ وَاِلَی الۡاَرۡضِ کَیۡفَ سُطِحَتۡ ٝ ٢۰ فَذَکِّرۡ ۟ؕ اِنَّمَاۤ اَنۡتَ مُذَکِّرٌ ؕ ٢١ لَسۡتَ عَلَیۡہِمۡ بِمُصَۜیۡطِرٍ ۙ ٢٢ اِلَّا مَنۡ تَوَلّٰی وَکَفَرَ ۙ ٢٣ فَیُعَذِّبُہُ اللّٰہُ الۡعَذَابَ الۡاَکۡبَرَ ؕ ٢٤ اِنَّ اِلَیۡنَاۤ اِیَابَہُمۡ ۙ ٢٥ ثُمَّ اِنَّ عَلَیۡنَا حِسَابَہُمۡ ٪ ٢٦ সূরা গাশিয়াহ বাংলা উচ্চারণ : ১. হাল আতা-কা হাদীছুল গা-শিয়াহ। ২. উজূহুইঁ ইয়াওমাইযিন খা-শি‘আহ। ৩. আ-মিলাতুন না-সিবাহ। ৪. তাসলা-না-রান হা-মিয়াহ। ৫. তুছকা-মিন ‘আইনিন আ-নিয়াহ। ৬.লাইছা লাহুম তা‘আ-মুন ইল্লা-মিন দারী‘ই। ৭. লা-ইউছমিনু-ওয়ালা-ইউগনী মিন জু‘ই। ৮. উজূহুইঁ ইয়াওমাইযিন না-‘ইমাহ। ৯. লিছা‘ইহা-রা-দিয়াহ। ১০. ফী জান্নাতিন ‘আ-লিয়াহ। ১১.লা-তাছমা‘উ ফীহা-লা-গিয়াহ। ১২. ফীহা-‘আইনুন জা-রিয়াহ। ১৩. ফীহা-ছুরুরুম-মারফূ‘আহ। ১৪.ওয়া আক-ওয়া-বুম মাওদূ‘আহ। ১৫.ওয়া-নামা-রিকুমাসফূফাহ। ১৬. ওয়া ঝারা-বিইয়ু-মাবছূছাহ। ১৭. আফালা-ইয়ান-জুরুনা ইলাল ইবিলি কাইফা খুলিকাত। ১৮.ওয়া ইলাছ ছামাই কাইফা রুফি‘আত। ১৯. ওয়া ইলাল জিবা-লি কাইফা নুসিবাত। ২০.ওয়া ইলাল আরদি কাইফা ছুতিহাত। ২১. ফাযাক্কির ইন্নামা-আনতা মুযাক্কির। ২২. লাছাতা ‘আলইহিম বিমুসাইতির। ২৩. ইল্লা-মান তাওয়াল্লা-ওয়া কাফার। ২৪. ফা-ইউ‘আযযিবুহুল্লা-হুল ‘আযা-বাল আকবার। ২৫.ইন্না ইলাইনাইয়া-বাহুম। ২৬. ছু ম্মা ইন্না ‘আলাইনা-হিছা-বাহুম। সূরা গাশিয়াহ বাংলা অর্থ : তোমার কাছে কি পৌঁছেছে সেই ঘটনার সংবাদ, যা সবকিছুকে আচ্ছন্ন করবে? সে দিন বহু চেহারা থাকবে অবনত। বিপর্যস্ত, ক্লান্ত। তারা প্রবেশ করবে জ্বলন্ত আগুনে। তাদেরকে টগবগে গরম প্রস্রবণ হতে পানি পান করানো হবে। তাদের জন্য কণ্টকিত গুল্ম ছাড়া কোন খাদ্য থাকবে না। যা তাদের পুষ্টি যোগাবে না এবং তাদের ক্ষুধাও মিটাবে না। সে দিন বহু চেহারা থাকবে সজীব। (দুনিয়ায়) নিজেদের কৃত শ্রমের কারণে সন্তুষ্ট।তারা থাকবে আলিশান জান্নাতে। যেখানে তারা কোন নিরর্থক কথা শুনবে না। সে জান্নাতে থাকবে বহমান প্রস্রবণ। তাতে উঁচু-উঁচু আসন থাকবে। সামনে রাখা থাকবে পান-পাত্র। এবং সারি-সারি নরম বালিশ। এবং বিছানো গালিচা। তবে কি তারা লক্ষ করে না উটের প্রতি, কিভাবে তা সৃষ্টি করা হয়েছে। এবং আকাশের প্রতি, কিভাবে তাকে উঁচু করা হয়েছে? এবং পাহাড়সমূহের প্রতি, কিভাবে তাকে প্রোথিত করা হয়েছে? এবং ভূমির প্রতি, কিভাবে তা বিছানো হয়েছে? সুতরাং (হে রাসূল!) তুমি উপদেশ দিতে থাক, তুমি তো একজন উপদেশদাতাই। তোমাকে তাদের উপর জবরদস্তি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তবে কেউ মুখ ফিরিয়ে নিলে ও কুফর অবলম্বন করলে, আল্লাহ তাকে মহা শাস্তি দান করবেন। নিশ্চয়ই তাদের সকলকে আমারই কাছে ফিরে আসতে হবে। অতঃপর তাদের হিসাব গ্রহণ অবশ্যই আমার দায়িত্ব। (১-২৬)
Surah Fajr Bangla Pronunciation
সূরা ফাজরের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:- সূরা ফাজর পবিত্র কোরআনের ৮৯ নম্বর সূরা। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ ও কোরআনের ত্রিশতম পারায় অবস্থিত। এর আয়াত সংখ্যা ৩০। এই সূরার শুরুতে আল্লাহ তায়ালা পাঁচটি জিনিসের শপথ গ্রহণ করেছেন। এরপর আল্লাহর সঙ্গে আদ, সামুদ জাতি ও ফেরাউনের অবাধ্যতা ও তার পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সূরা ফাজর وَالۡفَجۡرِ ۙ ١ وَلَیَالٍ عَشۡرٍ ۙ ٢ وَّالشَّفۡعِ وَالۡوَتۡرِ ۙ ٣ وَالَّیۡلِ اِذَا یَسۡرِ ۚ ٤ ہَلۡ فِیۡ ذٰلِکَ قَسَمٌ لِّذِیۡ حِجۡرٍ ؕ ٥ اَلَمۡ تَرَ کَیۡفَ فَعَلَ رَبُّکَ بِعَادٍ ۪ۙ ٦ اِرَمَ ذَاتِ الۡعِمَادِ ۪ۙ ٧ الَّتِیۡ لَمۡ یُخۡلَقۡ مِثۡلُہَا فِی الۡبِلَادِ ۪ۙ ٨ وَثَمُوۡدَ الَّذِیۡنَ جَابُوا الصَّخۡرَ بِالۡوَادِ ۪ۙ ٩ وَفِرۡعَوۡنَ ذِی الۡاَوۡتَادِ ۪ۙ ١۰ الَّذِیۡنَ طَغَوۡا فِی الۡبِلَادِ ۪ۙ ١١ فَاَکۡثَرُوۡا فِیۡہَا الۡفَسَادَ ۪ۙ ١٢ فَصَبَّ عَلَیۡہِمۡ رَبُّکَ سَوۡطَ عَذَابٍ ۚۙ ١٣ اِنَّ رَبَّکَ لَبِالۡمِرۡصَادِ ؕ ١٤ فَاَمَّا الۡاِنۡسَانُ اِذَا مَا ابۡتَلٰىہُ رَبُّہٗ فَاَکۡرَمَہٗ وَنَعَّمَہٗ ۬ۙ فَیَقُوۡلُ رَبِّیۡۤ اَکۡرَمَنِ ؕ ١٥ وَاَمَّاۤ اِذَا مَا ابۡتَلٰىہُ فَقَدَرَ عَلَیۡہِ رِزۡقَہٗ ۬ۙ فَیَقُوۡلُ رَبِّیۡۤ اَہَانَنِ ۚ ١٦ کَلَّا بَلۡ لَّا تُکۡرِمُوۡنَ الۡیَتِیۡمَ ۙ ١٧ وَلَا تَحٰٓضُّوۡنَ عَلٰی طَعَامِ الۡمِسۡکِیۡنِ ۙ ١٨ وَتَاۡکُلُوۡنَ التُّرَاثَ اَکۡلًا لَّمًّا ۙ ١٩ وَّتُحِبُّوۡنَ الۡمَالَ حُبًّا جَمًّا ؕ ٢۰ کَلَّاۤ اِذَا دُکَّتِ الۡاَرۡضُ دَکًّا دَکًّا ۙ ٢١ وَّجَآءَ رَبُّکَ وَالۡمَلَکُ صَفًّا صَفًّا ۚ ٢٢ وَجِایۡٓءَ یَوۡمَئِذٍۭ بِجَہَنَّمَ ۬ۙ یَوۡمَئِذٍ یَّتَذَکَّرُ الۡاِنۡسَانُ وَاَنّٰی لَہُ الذِّکۡرٰی ؕ ٢٣ یَقُوۡلُ یٰلَیۡتَنِیۡ قَدَّمۡتُ لِحَیَاتِیۡ ۚ ٢٤ فَیَوۡمَئِذٍ لَّا یُعَذِّبُ عَذَابَہٗۤ اَحَدٌ ۙ ٢٥ وَّلَا یُوۡثِقُ وَثَاقَہٗۤ اَحَدٌ ؕ ٢٦ یٰۤاَیَّتُہَا النَّفۡسُ الۡمُطۡمَئِنَّۃُ ٭ۖ ٢٧ ارۡجِعِیۡۤ اِلٰی رَبِّکِ رَاضِیَۃً مَّرۡضِیَّۃً ۚ ٢٨ فَادۡخُلِیۡ فِیۡ عِبٰدِیۡ ۙ ٢٩ وَادۡخُلِیۡ جَنَّتِیۡ ٪ ٣۰ সূরা ফাজরের বাংলা উচ্চারণ : ১. ওয়াল ফাজর। ২. ওয়া লায়া-লিন আশর। ৩. ওয়াশ-শাফা-ই ওয়াল ওয়াতর। ৪. ওয়াল্লাইলি ইযাইয়াছর। ৫. হাল ফী যা-লিকা কাছামুল লিযী হিজর। ৬.আলাম তারা কাইফা ফা‘আলা রাব্বুকা বি‘আ-দ। ৭. ইরামা যা-তিল ‘ইমা-দ। ৮.আল্লাতী লাম ইউখ-লাক-মিছলুহা-ফিল বিলা-দ। ৯. ওয়া ছামূদাল্লাযীনা জা-বুসসাখরা বিল ওয়া-দ। ১০. ওয়া ফির‘আউনা যীল আওতা-দ। ১১.আল্লাযীনা তাগাও ফিল বিলা-দ। ১২. ফা-আকছারূ ফীহাল ফাছা-দ। ১৩. ফাসাব্বা আলাইহিম রাব্বুকা ছাওতা ‘আযা-ব। ১৪. ইন্না রাব্বাকা লাবিলমিরসা-দ। ১৫. ফাআম্মাল ইনছা-নু-ইযা-মাবতালা-হু রাব্বুহু ফাআকরামাহূ-ওয়া না‘আমাহূ ফাইয়াকূলু রাববী-আকরামান। ১৬.ওয়া-আম্মা-ইযা-মাবতালা-হু ফাকাদারা ‘আলাইহি রিঝকাহূ ফা-ইয়াকূলু-রাববী আহা-নান। ১৭. কাল্লা-বাল্লা-তুকরিমূনাল ইয়াতীম। ১৮.ওয়া লা-তাহাদ্দূ না ‘আলা-তা‘আ-মিল মিছকীন। ১৯.ওয়া তা’কুলূনাত তুরা-ছা আকলাল্লাম্মা। ২০. ওয়া তুহিব্বুনাল মা-লা হুব্বান জাম্মা। ২১. কাল্লা-ইযা-দুক্কাতিল আরদু-দাক্কান দাক্কা। ২২. ওয়া জাআ রাব্বুকা ওয়াল মালাকু-সাফফান সাফফা। ২৩. ওয়া জীআ ইয়াওমাইযিম বিজাহান্নাম, ইয়াওমা-ইযিইঁ ইয়াতা-যাক্কারুল ইনছানু-ওয়া আন্না-লাহুযযিকরা। ২৪. ইয়া-কূলুইয়া-লাইতানী কাদ্দামতুলিহায়া-তী। ২৫. ফাইয়াওমা-ইযিল লা-ইউ‘আযযি বু‘আযা-বাহূ-আহাদ। ২৬.ওয়ালা-ইঊছিকু-ওয়াছা-কাহূআহাদ। ২৭. ইয়া-আইয়াতু-হান্নাফছুল মুতমাইন্নাহ। ২৮.ইর-জি‘ঈইলা-রাব্বিকি রা-দিয়াতাম মারদিইয়াহ। ২৯. ফাদখুলী ফী ‘ইবা-দী। ৩০. ওয়াদখুলী জান্নাতী। সূরা ফাজরের বাংলা অর্থ : শপথ ফজর-কালের। এবং দশ রাতের। এবং জোড় ও বেজোড়ের। এবং রাতের, যখন তা গত হতে শুরু করে (আখেরাতের শাস্তি ও পুরস্কার অবশ্যম্ভাবী)। একজন বোধসম্পন্ন ব্যক্তির (বিশ্বাস আনয়নের) জন্য এসব শপথ যথেষ্ট নয় কি? তুমি কি দেখনি তোমার প্রতিপালক আদ (জাতি)-এর প্রতি কী আচরণ করেছেন? ইরাম সম্প্রদায়ের প্রতি, যারা উঁচু উঁচু স্তম্ভের অধিকারী ছিল। যাদের সমান পৃথিবীতে আর কোন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়নি? এবং (কী আচরণ করেছেন) ছামুদ (জাতি)-এর প্রতি, যারা উপত্যকায় বড়-বড় পাথর কেটে ফেলেছিল? এবং (কী আচরণ করেছেন) পেরেকওয়ালা ফিরাউনের প্রতি? যারা দেশে-দেশে অবাধ্যতা প্রদর্শন করেছিল। এবং তাতে ব্যাপক অশান্তি বিস্তার করেছিল। ফলে তোমার প্রতিপালক তাদের উপর শাস্তির কষাঘাত হানলেন। নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক সকলের উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। কিন্তু মানুষের অবস্থা তো এই যে, যখন তার প্রতিপালক তাকে পরীক্ষা করেন এবং তাকে মর্যাদা ও অনুগ্রহ দান করেন তখন সে বলে, আমার প্রতিপালক আমাকে সম্মানিত করেছেন। এবং অপর দিকে যখন তাকে পরীক্ষা করেন এবং তার জীবিকা সঙ্কুচিত করে দেন, তখন সে বলে, আমার প্রতিপালক আমাকে অমর্যাদা করেছেন। কখনও এরূপ সমীচীন নয়। (কেবল এতটুকুই নয়;) বরং তোমরা ইয়াতীমকে সম্মান করো না। এবং মিসকীনদেরকে খাবার খাওয়ানোর জন্য একে অন্যকে উৎসাহিত করো না। এবং মীরাছের সম্পদ সম্পূর্ণরূপে গ্রাস করে থাক। এবং ধন-সম্পদকে সীমাতিরিক্ত ভালোবাস। কিছুতেই এরূপ সমীচীন নয়। যখন পৃথিবীকে পিষে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলা হবে। কিছুতেই এরূপ সমীচীন নয়। যখন পৃথিবীকে পিষে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলা হবে। সে দিন জাহান্নামকে সামনে আনা হবে। সে দিন মানুষ বুঝতে পারবে, কিন্তু সেই সময় বুঝে আসার দ্বারা তার কী ফায়দা? সে বলবে, হায়! আমি যদি আমার এই জীবনের জন্য কিছু অগ্রিম পাঠাতাম? সে দিন আল্লাহর শাস্তির মতো শাস্তি কেউ দিতে পারবে না। এবং তাঁর বাঁধার মত বাঁধতেও কেউ পারবে না। (অবশ্য নেককারদেরকে বলা হবে,) হে (আল্লাহর ইবাদতে) প্রশান্তি লাভকারী চিত্ত! নিজ প্রতিপালকের দিকে ফিরে আস সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে।এবং আমার (নেক) বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও। আর দাখিল হয়ে যাও আমার জান্নাতে। (সূরা ফাজর, আয়াত : ১-৩০)
Surah Balad Bangla Pronunciation
সূরা বালাদের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:- সূরা বালাদ পবিত্র কোরআনের ৯০ নম্বর সূরা। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ এবং পবিত্র কোরআনের ত্রিশতম পারায় অবস্থিত। এর আয়াত সংখ্যা ২০। সূরা বালাদ لَاۤ اُقۡسِمُ بِہٰذَا الۡبَلَدِ ۙ ١ وَاَنۡتَ حِلٌّۢ بِہٰذَا الۡبَلَدِ ۙ ٢ وَوَالِدٍ وَّمَا وَلَدَ ۙ ٣ لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ فِیۡ کَبَدٍ ؕ ٤ اَیَحۡسَبُ اَنۡ لَّنۡ یَّقۡدِرَ عَلَیۡہِ اَحَدٌ ۘ ٥ یَقُوۡلُ اَہۡلَکۡتُ مَالًا لُّبَدًا ؕ ٦ اَیَحۡسَبُ اَنۡ لَّمۡ یَرَہٗۤ اَحَدٌ ؕ ٧ اَلَمۡ نَجۡعَلۡ لَّہٗ عَیۡنَیۡنِ ۙ ٨ وَلِسَانًا وَّشَفَتَیۡنِ ۙ ٩ وَہَدَیۡنٰہُ النَّجۡدَیۡنِ ۚ ١۰ فَلَا اقۡتَحَمَ الۡعَقَبَۃَ ۫ۖ ١١ وَمَاۤ اَدۡرٰىکَ مَا الۡعَقَبَۃُ ؕ ١٢ فَکُّ رَقَبَۃٍ ۙ ١٣ اَوۡ اِطۡعٰمٌ فِیۡ یَوۡمٍ ذِیۡ مَسۡغَبَۃٍ ۙ ١٤ یَّتِیۡمًا ذَا مَقۡرَبَۃٍ ۙ ١٥ اَوۡ مِسۡکِیۡنًا ذَا مَتۡرَبَۃٍ ؕ ١٦ ثُمَّ کَانَ مِنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَتَوَاصَوۡا بِالصَّبۡرِ وَتَوَاصَوۡا بِالۡمَرۡحَمَۃِ ؕ ١٧ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ الۡمَیۡمَنَۃِ ؕ ١٨ وَالَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِاٰیٰتِنَا ہُمۡ اَصۡحٰبُ الۡمَشۡـَٔمَۃِ ؕ ١٩ عَلَیۡہِمۡ نَارٌ مُّؤۡصَدَۃٌ ٪ ٢۰ সূরা বালাদের বাংলা উচ্চারণ : ১. লা-উকছিমুবিহা-যাল বালাদ। ২.ওয়া আনতা হিল্লুম বিহা-যাল বালাদ। ৩. ওয়া ওয়া-লিদিওঁ ওয়ামা-ওয়ালাদ। ৪. লাকাদ খালাকনাল ইনছা-না ফী কাবাদ। ৫. আ-ইয়াহ-ছাবুআল্লাইঁ ইয়াকদিরা আলাইহি আহাদ। ৬.ইয়া-কূলু-আহলাকতু-মা-লাল লুবাদা। ৭. আইয়াহছাবু-আল্লাম ইয়া-রাহূআহাদ। ৮. আলাম নাজ-আল্লাহূ‘আইনাইন। ৯.ওয়া লিছা-নাওঁ ওয়া শাফাতাইন। ১০.ওয়া হাদাইনা-হুন্নাজদাঈন। ১১.ফালাক-তাহামাল ‘আকাবাহ। ১২.ওয়া-মা-আদরা-কা মাল আকাবাহ। ১৩.ফাক্কুরাকাবাহ। ১৪.আও ইত‘আ-মুন ফী ইয়াওমিন যী মাছগাবাহ। ১৫.ইয়াতীমান যা-মাকরাবাহ। ১৬. আও মিছকীনান যা-মাতরাবাহ। ১৭. ছুম্মা কা-না মিনাল্লাযীনা আ-মানূ-ওয়াতাওয়া-সাও বিসসাবরি ওয়াতাওয়া-সাও বিল মারহামাহ। ১৮. উলা-ইকা আসহা-বুল মাইমানাহ। ১৯. ওয়া-ল্লাযীনা কাফারূবিআ-য়া-তিনা-হুম আসহা-বুল মাশআমাহ। ২০.‘আলাইহিম না-রুম মু’সাদাহ। সূরা বালাদের বাংলা অর্থ : আমি শপথ করছি এই নগরের। যখন (হে নবী!) তুমি এই নগরের বাসিন্দা। এবং আমি শপথ করছি পিতার ও তার সন্তানের। আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি পরিশ্রমের ভেতর। সে কি মনে করে তার উপর কারও ক্ষমতা চলবে না? সে বলে, আমি অঢেল অর্থ-সম্পদ উড়িয়েছি। সে কি মনে করে তাকে কেউ দেখছে না? আমি কি তাকে দেইনি দু’টি চোখ? এবং একটি জিহ্বা ও দু’টি ঠোঁট? আমি তাকে দু’টো পথই দেখিয়েছি। তবুও সে প্রবেশ করতে পারেনি ঘাঁটিতে। তুমি কি জান সে ঘাঁটি কী? (তা হচ্ছে কারও) গর্দানকে (দাসত্ব থেকে) মুক্ত করা। অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে খাদ্য দান করা। কোন ইয়াতীম আত্মীয়কে। অথবা এমন কোন মিসকীনকে যে ধুলো মাটিতে গড়াগড়ি খায়। আর অন্তর্ভুক্ত হওয়া সেই সব লোকের, যারা ঈমান এনেছে, একে অন্যকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দিয়েছে এবং একে অন্যকে দয়ার উপদেশ দিয়েছে। তারাই সৌভাগ্যবান লোক। অপর দিকে যারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করেছে, তারাই হতভাগ্য। তাদের উপর চাপানো থাকবে আবদ্ধকৃত আগুন। (সূরা বালাদ, আয়াত : ১-২০)
Surah Ash Shams Bangla Pronunciation
সূরা শামসের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:- সূরা শামস পবিত্র কোরআনের ৯১ নম্বর সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ১৫। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ ও পবিত্র কোরআনের ৩০তম পারায় অবস্থিত। সূরা শামস وَالشَّمۡسِ وَضُحٰہَا ۪ۙ ١ وَالۡقَمَرِ اِذَا تَلٰىہَا ۪ۙ ٢ وَالنَّہَارِ اِذَا جَلّٰىہَا ۪ۙ ٣ وَالَّیۡلِ اِذَا یَغۡشٰىہَا ۪ۙ ٤ وَالسَّمَآءِ وَمَا بَنٰہَا ۪ۙ ٥ وَالۡاَرۡضِ وَمَا طَحٰہَا ۪ۙ ٦ وَنَفۡسٍ وَّمَا سَوّٰىہَا ۪ۙ ٧ فَاَلۡہَمَہَا فُجُوۡرَہَا وَتَقۡوٰىہَا ۪ۙ ٨ قَدۡ اَفۡلَحَ مَنۡ زَکّٰىہَا ۪ۙ ٩ وَقَدۡ خَابَ مَنۡ دَسّٰىہَا ؕ ١۰ کَذَّبَتۡ ثَمُوۡدُ بِطَغۡوٰىہَاۤ ۪ۙ ١١ اِذِ انۡۢبَعَثَ اَشۡقٰہَا ۪ۙ ١٢ فَقَالَ لَہُمۡ رَسُوۡلُ اللّٰہِ نَاقَۃَ اللّٰہِ وَسُقۡیٰہَا ؕ ١٣ فَکَذَّبُوۡہُ فَعَقَرُوۡہَا ۪۬ۙ فَدَمۡدَمَ عَلَیۡہِمۡ رَبُّہُمۡ بِذَنۡۢبِہِمۡ فَسَوّٰىہَا ۪ۙ ١٤ وَلَا یَخَافُ عُقۡبٰہَا ٪ ١٥ সূরা শামসের বাংলা উচ্চারণ : ১. ওয়াশ শামছি ওয়াদু হা-হা। ২. ওয়াল কামারি ইযা-তালা-হা। ৩. ওয়ান্নাহা-রি ইযা জাল্লা-হা। ৪.ওয়াল্লাইলি ইযা-ইয়াগশা-হা। ৫.ওয়াছ ছামাই ওয়ামা-বানা-হা। ৬. ওয়াল আরদিওয়ামা-তাহা-হা। ৭. ওয়া নাফছিওঁ ওয়া মা-ছাওওয়া-হা। ৮.ফা-আলহামাহা-ফুজূরাহা-ওয়া তাকওয়া-হা। ৯. কাদ আফলাহা মান ঝাক্কা-হা। ১০.ওয়া কাদ খা-বা মান দাছছা-হা। ১১. কাযযাবাত ছামূদুবিতাগ-ওয়াহা। ১২. ইযিম বা‘আছা আশকা-হা। ১৩. ফাকালা লাহুম রাছূলুল্লাহি না-কাতাল্লাহি ওয়া ছুকইয়া-হা। ১৪. ফাকাযযাবূহু ফা‘আকারূহা- ফাদামদামা ‘আলাইহিম রাব্বুহুম বিযামবিহিম ফাছাওওয়াহা। ১৫. ওয়ালা-ইয়াখাফু উকবা-হা। সূরা শামসের বাংলা অর্থ : শপথ সূর্যের ও তার বিস্তৃত রোদের। এবং চাদের, যখন তা সূর্যের পেছনে পেছনে আসে। এবং দিনের, যখন তা সূর্যকে প্রকাশ করে। এবং রাতের, যখন তা সূর্যকে আচ্ছাদিত করে। শপথ আকাশের ও তাঁর যিনি তা নির্মাণ করেছেন। এবং পৃথিবীর ও তাঁর যিনি তাকে বিস্তৃত করেছেন। এবং মানবাত্মার ও তাঁর, যিনি তাকে পরিপাটি করেছেন। অতঃপর তার জন্য যা পাপ এবং তার জন্য যা পরহেযগারী, তার ভেতর সেই বিষয়ক জ্ঞানোন্মেষ ঘটিয়েছেন। সে-ই সফলকাম হবে, যে নিজ আত্মাকে পরিশুদ্ধ করবে। আর ব্যর্থকাম হবে সেই, যে তাকে (গুনাহের মধ্যে) ধসিয়ে দেবে। ছামুদ জাতি অবাধ্যতাবশত (তাদের নবীকে) অস্বীকার করেছিল। যখন তাদের সর্বাপেক্ষা নিষ্ঠুর ব্যক্তি উঠে পড়ল। তথাপি তারা তাদের রাসূলকে প্রত্যাখ্যান করল এবং উটনীটিকে মেরে ফেলল। পরিণামে তাদের প্রতিপালক তাদের গুনাহের কারণে তাদেরকে ব্যাপকভাবে ধ্বংস করে সব একাকার করে ফেললেন। আর তিনি এর কোন মন্দ পরিণামের ভয় করেন না। (সূরা শামস, আয়াত : ১-১৫)
Surah Lail Bangla Pronunciation
সূরা লাইলের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:- সূরা লাইল পবিত্র কোরআনের ৯২ নম্বর সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ২১। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ এবং কোরআনের ৩০তম পারায় অবস্থিত। সূরা লাইল وَالَّیۡلِ اِذَا یَغۡشٰی ۙ ١ وَالنَّہَارِ اِذَا تَجَلّٰی ۙ ٢ وَمَا خَلَقَ الذَّکَرَ وَالۡاُنۡثٰۤی ۙ ٣ اِنَّ سَعۡیَکُمۡ لَشَتّٰی ؕ ٤ فَاَمَّا مَنۡ اَعۡطٰی وَاتَّقٰی ۙ ٥ وَصَدَّقَ بِالۡحُسۡنٰی ۙ ٦ فَسَنُیَسِّرُہٗ لِلۡیُسۡرٰی ؕ ٧ وَاَمَّا مَنۡۢ بَخِلَ وَاسۡتَغۡنٰی ۙ ٨ وَکَذَّبَ بِالۡحُسۡنٰی ۙ ٩ فَسَنُیَسِّرُہٗ لِلۡعُسۡرٰی ؕ ١۰ وَمَا یُغۡنِیۡ عَنۡہُ مَالُہٗۤ اِذَا تَرَدّٰی ؕ ١١ اِنَّ عَلَیۡنَا لَلۡہُدٰی ۫ۖ ١٢ وَاِنَّ لَنَا لَلۡاٰخِرَۃَ وَالۡاُوۡلٰی ١٣ فَاَنۡذَرۡتُکُمۡ نَارًا تَلَظّٰی ۚ ١٤ لَا یَصۡلٰىہَاۤ اِلَّا الۡاَشۡقَی ۙ ١٥ الَّذِیۡ کَذَّبَ وَتَوَلّٰی ؕ ١٦ وَسَیُجَنَّبُہَا الۡاَتۡقَی ۙ ١٧ الَّذِیۡ یُؤۡتِیۡ مَالَہٗ یَتَزَکّٰی ۚ ١٨ وَمَا لِاَحَدٍ عِنۡدَہٗ مِنۡ نِّعۡمَۃٍ تُجۡزٰۤی ۙ ١٩ اِلَّا ابۡتِغَآءَ وَجۡہِ رَبِّہِ الۡاَعۡلٰی ۚ ٢۰ وَلَسَوۡفَ یَرۡضٰی ٪ ٢١ সূরা লাইলের বাংলা উচ্চারণ : ১. ওয়াল্লাইলি ইযা-ইয়াগশা। ২. ওয়ান্নাহা-রি ইযা-তাজাল্লা। ৩. ওয়ান্নাহা-রি ইযা-তাজাল্লা। ৪. ইন্না ছা‘ইয়াকুম লাশাত্তা। ৫.ফাআম্মা-মান আ‘তা-ওয়াত্তাকা। ৬. ওয়া সাদ্দাকা বিলহুছনা। ৭. ফাছানুইয়াছছিরুহূলিল ইউছরা। ৮. ওয়া আম্মা-মাম বাখিলা ওয়াছতাগনা। ৯. ওয়া কাযযাবা বিল হুছনা। ১০. ফাছানুইয়াছছিরুহূলিল উছরা। ১১. ওয়ামা-ইউগনী ‘আনহু মা-লুহূ ইযা-তারাদ্দা। ১২. ইন্না ‘আলাইনা-লালহুদা। ১৩. ওয়া ইন্না লানা-লালআ-খিরাতা ওয়ালঊলা। ১৪. ফাআনযারতুকুম না-রান তালাজ্জা। ১৫. লা-ইয়াসলা-হাইল্লাল আশকা। ১৬. আল্লাযী কাযযাবা ওয়া তাওয়াল্লা। ১৭. ওয়া ছাইউ-জান্নাবুহাল আতকা। ১৮. আল্লাযী ইউ’তী মা-লাহূ-ইয়াতাঝাক্কা। ১৯.ওয়ামা-লিআহাদিন ‘ইনদাহূ-মিন নি‘মাতিন তুজঝা। ২০. ইল্লাবতিগাআ ওয়াজহি রাব্বিহিল আ‘লা। ২১. ওয়া লাছাওফা ইয়ারদা। সূরা লাইল বাংলা অর্থ : শপথ রাতের, যখন তা আচ্ছন্ন করে।এবং দিনের, যখন তা উদ্ভাসিত হয়। এবং সেই সত্তার, যিনি নর ও নারী সৃষ্টি করেছেন। বস্তুত তোমাদের প্রচেষ্টা বিভিন্ন রকমের। সুতরাং যে ব্যক্তি (আল্লাহর পথে অর্থ-সম্পদ) দান করেছে ও তাকওয়া অবলম্বন করেছে। সুতরাং যে ব্যক্তি (আল্লাহর পথে অর্থ-সম্পদ) দান করেছে ও তাকওয়া অবলম্বন করেছে। আমি তাকে স্বস্তিময় গন্তব্যে পৌঁছার ব্যবস্থা করে দেব। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি কৃপণতা করল এবং (আল্লাহর প্রতি) বেপরোয়াভাব দেখাল। এবং সর্বোত্তম বিষয়কে প্রত্যাখ্যান করল। আমি তার যাতনাময় স্থানে পৌঁছার ব্যবস্থা করে দেব। সে যখন ধ্বংস-গহ্বরে পতিত হবে, তখন তার সম্পদ তার কোন কাজে আসবে না। বস্তুত, পথ দেখিয়ে দেওয়া আমারই দায়িত্ব। এবং অবশ্যই, আখেরাত ও দুনিয়া আমারই কর্তৃত্বাধীন। অতএব আমি তোমাদেরকে সতর্ক করে দিলাম এক লেলিহান আগুন সম্পর্কে। তাতে প্রবেশ করবে কেবল সেই, যে নিতান্ত হতভাগ্য। যে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছে ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এবং তা থেকে দূরে রাখা হবে পরম মুত্তাকীকে। যে আত্মশুদ্ধি অর্জনের জন্য নিজ সম্পদ (আল্লাহর পথে) দান করে। অথচ তার উপর কারও অনুগ্রহ ছিল না, যার প্রতিদান দিতে হত। বরং সে (দান করে) কেবল তার মহান প্রতিপালকের সন্তুষ্টির প্রত্যাশায়।নিশ্চয়ই সে অচিরেই খুশী হয়ে যাবে। (সূরা লাইল, আয়াত : ১-২১)
Prev213214215216217218219...448Next