The site tips.wapka.site
TIPS Forums Folders Messages ||||
 
High resolution photo of landscape, water, nature, forest, wilderness, mountain, dock, cloud, sky, sunrise, countryside
Bongsong · 10 months ago
The free high-resolution photo of landscape, water, nature, forest, wilderness, mountain, dock, cloud, sky, sunrise, countryside, morning, lake, dawn, pier, valley, mountain range, country, vacation, idyllic, reflection, cottage, holiday, boathouse, italy, fjord, trees, outdoors, woods, hdr, clouds, mountains, alps, ravine, reflections, daybreak, beautiful, landform, aerial photography, pragser wildsee, mountainous landforms, computer wallpaper
, taken with an unknown camera 01/26 2017 The picture taken with
The image is released free of copyrights under Creative Commons CC0.
You may download, modify, distribute, and use them royalty free for anything you like, even in commercial applications. Attribution is not required.
Username: Bongsong
Published on 2024-10-17 15:21:15
ID NUMBER: 123539
Edit Report Send Share
News Feed 2019 2020 (0)
 Prev6061626364Next  
 Prev56789Next  
 Prev3940414243Next  
 Prev1234Next  
রোমিও এবং জুলিয়েট
Tumake_Chai · 8 months ago
রোমিও এবং জুলিয়েটঃ"Never was a story of love nor woe that of Juliet and her Romeo." সবাই-ই মেনে থাকেন এই জুটিই, প্রেমের ইতিহাস বা গল্পগুলোর মধ্যে সর্বাধিক প্রচারিত বা সবচেয়ে বেশী বিখ্যাত। যেন ভালোবাসার অপর নাম রোমিও-জুলিয়েট। বিশ্ববিখ্যাত ইংরেজ লেখক, William Shakespeare এর কালজয়ী ট্রাজেডি হল এই “Romeo and Juliet!” দুটি ভিন্ন পরিবারের পূর্ববর্তী রেষারেষি, বংশীয় অহংকার ভেদ করে দুজন তরুণ-তরুণীর প্রথম দর্শনে প্রেমে পড়া। পরবর্তীতে পরিবারের বাঁধা, ভয় দেখানো, নানা মানসিক সংশয়- টানাপোড়ন সব উপেক্ষা করে নানা নাটকীয়তার মাঝে তাদের বিয়ে করা। এবং সবশেষে, তথ্যগত ভুল বোঝাবুঝিজনিত কারণে বিষপানে দুজনের মৃত্যু!! সব মিলিয়েই, রোমিও- জুলিয়েট কাহিনী হয়ে গেছে অমর এক প্রেম গাথা! তাই পৃথিবীতে যখনই প্রেমের জন্য ত্যাগ- তিতিক্ষার কথা বলা হয়, সবার আগেই উঠে আসে এই যুগলের নাম! যুগে যুগে অসংখ্য নাটক, সিনেমা বানানো হয়েছে এই “timeless love” নিয়ে।
একটি মিষ্টি প্রেমের গল্প
Tumake_Chai · 8 months ago
“কাকা, ফুচকায় আর একটু ঝাল দাও তো”- বলেই হাপুস হুপুস করে চোখ নাক মুছে আবার ফুচকাটা মুখে পুরল উদিতা ।

“ঝাল খেতে গিয়ে নাকের জল, চোখের জল এক হচ্ছে তবু খাওয়া চাই”- বলেই উদিতাকে ভালবেসেই দু ঘা বসাল রাহুল । 

উদিতা , রাহুলের কথায় বিশেষ কান না দিয়ে খাওয়ায় মনোনিবেশ করল । খাওয়া শেষে ফাউ নিয়ে খানিক তর্ক বিতর্কও হলো, তারপর হাঁটা লাগল দুজন ।

রাহুল আর উদিতার এই হেদুয়া পার্কের পাশ দিয়ে হাঁটাটা নতুন কিছু নয়, দীর্ঘ বেশ কয়েক বছরের অভ্যাস, বহুদিন ধরেই এই রাস্তা, দোকান, পার্কের বসার বেদি, ফুচকাওয়ালা, কৃষ্ঞচূড়া গাছটা এরা সবাই ওদের চেনে । ঐ যেদিন রাহুল প্রথম উদিতার হাত ধরেছিল, রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতেই, আচমকা, সেদিন উদিতার সাথে সাথে লাল কৃষ্ঞচূড়াটাও লজ্জা পেয়েছিল, রাঙা হয়েছিল উদিতার কানের লতি, গালের লালাভ আভা সেদিন রাহুলের চোখ এড়ায়নি ।

অথচ, এই রাহুল আর উদিতাই কোনদিন ভাবেনি, ওদের সম্পর্কটা এতদূর গড়াবে । শুধু ওরা না, কেউই ভাবেনি । কি করে ভাবতো? দুই মেরুর দুই মানুষ একে অপরকে এতটা ভালবাসতে পারবে কোনদিন ওরা নিজেরাই ভেবেছিল? 

সেই যেবার হায়ার স্টাডিজের জন্য রাহুল অনেকটা দূরে চলে গেল, রাহুলকে প্রথমে কিছু না বললেও, নিঃশব্দে, আড়ালে কম চোখের জল ফেলেছিল উদিতা ? যা কোনদিন স্বপ্নেও ভাবেনি তাই হয়েছে , বুঝতেই পারেনি রাহুলকে কখন এতটা আপন করে নিয়েছে । ওদের রাতজাগা প্রতিটি কথোপকথন, খুব চেনা কফিশপটা, কলেজের গেটটা, টিউশন ব্যাচের চক ডাস্টার ব্ল্যাকবোর্ড ওদের বেড়ে ওঠা এই প্রেমের সাক্ষী ।

আনমনে দুজনে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এসব কথাই বারবার মনে আসছিল দুজনের ।

-“আচ্ছা, তোর মনে আছে, এই দোকানটার লস্যি তোর কত প্রিয় ছিল?”

-“হ্যাঁ, এই দ্যাখ, সেবার পুজোয় এই দোকানটাতেই খেয়েছিলাম না ? কি খারাপ ছিল বল ।।।।”

এসব বলতে বলতেই ট্রামলাইন পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে দুজন । আজ কতদিন পর আবার সেই চেনা রাস্তা, চেনা গলি, যেন অনেক না পাওয়ার মাঝে অনেকটা ফিরে পাওয়া ।

“আচ্ছা শোন, আজ তোকে কয়েকটা জরুরী কথা বলতেই এখানে ডাকা ।” রাহুলের দিকে তাকিয়েই বলল উদিতা ।

রাহুল জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালে উদিতা আবার বলল, দ্যাখ, অনেকগুলো বছর অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাড়ির সকলকে আটকে রেখেছি, এভাবে আর কতদিন? আমার বাড়ির লোকজন কিন্তু এবার সিরিয়াস আমার বিয়ে নিয়ে।।।।।” কথাটা আর শেষ করতে পারল না উদিতা ।

খুব চেনা পরিচিত ভালবাসার গল্প এটা, আমাদের সবার মতোই ।

রাহুলের বাবা রিটায়ার করেছেন আগের বছর, সরকারী কেরানি ছিলেন, বাড়ির অবস্থা নিতান্তই সাধারণ । সেই বাড়ি থেকে ঘুঁষ দিয়ে সরকারী চাকরি লাভ বা বহু টাকার বিনিময়ে পড়াশুনো কোনটাই সম্ভব নয় । সুতরাং, এই মন্দার বাজারে যা চাকরীর অবস্থা এতে এসব নতুন কিছু নয়, কত প্রেমই তো এই চাকরীর অভাবে – টাকার অভাবে জানলা দিয়ে পালায় ।

রাহুলও শুনলো শুধু চুপ করে, একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আর কিছুই শোনা গেল না, উদিতা জানে রাহুলও যথেষ্ট চেষ্টা করছে, কিন্তু তাও এখনও অবধি।।।।।

দুইপক্ষের মৌনতায় যেন অনেকগুলো কথা বলে দিচ্ছিল, যে হাতদুটো একে অপরকে সবসময় আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিল, আজ সেই হাতদুটোই কী ক্লান্ত? কে জানে।

“তুই আমার স্বপ্ন, আমার জীবনের ইচ্ছা সবই তো জানিস।।।।।”

রাহুলের মুখের কথা কেড়ে উদিতা বলল,”জানি, সবই জানি, ইনফ্যাক্ট আমিই সবথেকে ভাল জানি, কিন্তু, বাড়িতে কী বোঝাব বল তো? রোজ রোজ কী বলে বোঝাব? কী অজুহাত দেব?”

-“অজুহাত? অজুহাতটা কীসের? সবটা বুঝিয়ে বললে তাদেরও তো বোঝা উচিত? তার জন্য রোজ অজুহাতের কথা কী করে আসছে? তাও তো আমি চেষ্টা করছি ।” এটুকু বলেই থামল রাহুল । ফিরে তাকাল উদিতার দিকে, শক্ত করে ধরে রাখা হাত টার দিকে তাকাল একবার ।

উদিতা তাকিয়ে সেই চোখগুলোর দিকে, যেগুলোর দিকে তাকিয়ে আজ এতগুলো বছর বেঁচে থাকার রসদ পেয়েছে ও । রাহুলের স্বপ্ন, ওর লেখা এগুলো তো উদিতারও স্বপ্ন ছিল, ওকে জিততে দেখাটা তো উদিতারও স্বপ্ন ছিল, কিন্তু, সমাজ আর সেই সমাজের মানুষ থুড়ি জীব-এর সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে চলতে আজ উদিতারও কোথাও যেন রাহুলের জন্য অপেক্ষাটা বিরক্তিকর ঠেকছে । রাহুলের নিজের স্বপ্নকে ছোঁয়াটা আজ উদিতার কাছে কিছুটা হলেও পাগলামো ঠেকছে, যেন, ওসব পরে হবে, চাকরিটাই জরুরী, স্বপ্ন ছোঁয়া চাট্টিখানি কথা নয়, ওসব ভেবে সময় নষ্ট করে কী লাভ?

************

দিন দিন কথার ওপর কথা বাড়ছিল, তার সাথে বাড়ছিল দূরত্ব । দুই পরিবারের ইচ্ছার চাপে, ওদের মিষ্টি সতেজ নিষ্পাপ প্রেম দীর্ঘশ্বাস ফেলছিল, কী করে যেন হারিয়ে যাচ্ছিল সবটুকু, অথচ রাহুল কিছুতেই মনঃসংযোগ করতে পারছিল না, চাকরিটাও জুটছিল না, কোনদিন ১০টা -৫টা অফিসের কাজের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতে হবে স্বপ্নেও ভাবেনি, কিন্তু সবকিছু পেরিয়ে ভালবাসাটা যেন আর বেঁচে থাকছে না ।

-“দ্যাখ, আমার পক্ষে এভাবে আর সম্ভব হচ্ছে না, আমার মা বাবারও তো আমা
প্রেমের রং লাল
Tumake_Chai · 8 months ago
পরমা যেদিন ইন্টারভিউ দিতে জড়সড় পায়ে দুরুদুরু বুকে আবিরের উল্টোদিকের চেয়ারে বসে অজান্তেই ওড়নার শেষ প্রান্তটা দুহাতের তর্জনী দিয়ে গোল পাকাচ্ছিল আর "মাই নেম ইস পরমা চ্যাটার্জী" বলে ইন্ট্রোডাকশন দিচ্ছিলো, সেদিন কি জানতো এই আবির রায় ওর জীবনের একটা বড় অধ্যায় হয়ে দাঁড়াবে! প্রায় বছর তিন আগের সেই ইন্টারভিউ, আবিরের টিমেই জয়েন করা, একবছরের ট্রেনিং পিরিয়ড শেষ হবার আগেই কনফার্মেশন পাওয়া অবধি পরমার কাছে আবির রায় ছিলেন শুধুই "স্যার"। এর পর কেমন করে জানি "স্যার" থেকে বছর আটেকের বড় আবির হয়ে গেছিল "আবিরদা", আর গত দোলের পর থেকে আরও কাছের একজন!

রং, আবির, দোল... এসবই যেন পরমার কাছে ছিল আতঙ্ক, সেই আট বছর বয়স থেকেই, সেই যেবার রন্টিদা রং মাখানোর নাম করে অসভ্যতামি করলো... সারা দুপুর পেরিয়ে সারারাত শুধু ছটফট করলো বিছানায় ও... মা কে হাপুস নয়নে কাঁদতে কাঁদতে সব কিছু বলার পরেও মা বললো "ও তোর পিসতুতো দাদা রমা। এসব কথা জানাজানি হলে কেলেঙ্কারি ঘটবে। তুই বরং শুয়ে থাক চুপ করে, আমি গরমজল নিয়ে আসছি"... সেই শেষ বার পরমার রং খেলা। এর পর প্রায় গত সতেরোটা বছর দোল মানেই পরমা কাটিয়েছে একরাশ ঘৃণা ভরে দরজার ছিটকিনি তুলে নিজেকে বন্দি করে। ফলে, গতবছর যখন দোলের আগের দিন অফিসের করিডরে লাঞ্চের পর থেকেই আবির খেলা শুরু হলো, আতঙ্কিত পরমা ঢাল হিসেবে পেয়েছিল অবিরদাকেই। কিছু বলতেও হয়নি। পরমার চোখ-মুখের পরিবর্তনই হয়তো আবিরকে কিছু বুঝিয়ে দিয়েছিল সেদিন। ফলে মিটিংয়ের নাম করে সেই যে পরমাকে মিটিং রুমে নিয়ে ঢোকে, দুজনে বেরোয় যখন, তখন প্রায় সন্ধ্যে। সেই লেট আওয়ারেও, টিমের কেউ কেউ রং মেখে প্রায় ভুত হয়ে পরমার দিকে তাক করতেই আবিরের গুরুগম্ভীর গলায় বারণ - "এই, ওকে কেউ রং দেবেনা, ওর সিভিয়ার এলার্জি আছে" শুনে কেউ একটা রঙের টিপ পর্যন্ত পড়ায়নি পরমার কপালে। নিজে অবশ্য সাদা শার্ট রঙিন করতে বাধা দেয়নি।
প্রথমবার বাড়ি অবধি গাড়ি করে ছেড়ে দিয়ে যাবার সময় এক কাপ চা পর্যন্ত অফার করে ওঠা হয়নি সেদিন মানুষটাকে। তবে সেই দিনের পর থেকেই একটা অদ্ভুত অনুভূতি রাঙিয়ে দিয়ে গেছিল পরমার মনটাকে। অফিস যাওয়াটা, আবিরের সঙ্গে দেখা হওয়া, কথা বলা, সময় কাটানোটা যেন একটা ভালোলাগার জায়গায় পৌঁছে গেছিল। সূক্ষ্ম হতে শুরু করেছিল ভালোলাগা আর ভালোবাসার দূরত্ব!

অফিসের বাইরেও বাড়তে থাকে দুজনের সময় কাটানো, ঘনিষ্ঠতা। আদান-প্রদান চলতে থাকে চিন্তা, ভাবনা, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা। এর মধ্যে অফিসেও কানাঘুষো উঠেছে দুজনের মধ্যে এই সম্পর্কের ব্যাপারে কথাবার্তা। দুই বাড়ির লোকজন যখন দুজনের বিয়ের ব্যাপারেই উঠে পরে লাগেন, তখনই দুজনে নিয়ে ফেলে জীবনের চরম ডিসিশন... এক সঙ্গে পথ চলার সিদ্ধান্ত। আর আশ্চর্য ভাবে দিনটা সেই দোলের আগের দিন! এবারে অবশ্য দুজনেই অফিস যায়নি। ছুটি নিয়ে সারাটা দিন কাটিয়েছে নন্দনে। রাতে বাড়ি ছেড়ে দিয়ে যাবার আগে চায়ের কথা বললেও, ভেতরে আসেনি আবির। সামনের রবিবার তো আসবেই বাবা মাকে সঙ্গে নিয়ে। বরং কখন কিনেছে জানতোই না পরমা... একটা ছোট্ট প্লাসটিকের প্যাকেট থেকে একচিমটে লাল আবির নিয়ে পরমার দুগালে লাগিয়ে দিল আবির। একটু-আধটু লাল রং ছড়িয়ে পড়লো পরমার সাদা ওড়নায়। কিচ্ছুটি বললো না পরমা... বাধা দেওয়াতো দূরে থাক, জীবনে প্রথমবার যেন উপলব্ধি করছে আবিরের গন্ধটা! আবিরের আঙ্গুল ছুঁয়ে গাল ভেদ করে যেন সারা শরীরে রক্তের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সেই উষ্ণ আবির আজ পরমার! টলতে টলতে বাড়ি ঢুকে জামা-কাপড় না বদলেই শুয়ে পড়লো ও। শুয়েই রইলো ফোনটা না আসা অবধি। 

আবিরের বাড়ি থেকে ফোন। এক্সপ্রেস ওয়েতে গাড়িটা অ্যাক্সিডেন্ট করেছে আবিরের।



কেটে গেছে পাঁচটা বছর। সেই কম্পানি ছেড়ে নতুন অফিসে জয়েন করেছে পরমা, তাও বছর চারেক হয়ে গেল। প্রমোশন পেয়ে পরমা এখন ম্যানেজার। ইন্টারভিউ নেওয়ার আগে শর্টলিস্টেড তিনজন ক্যান্ডিডেটের সিভি গুলো একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়ার জন্য প্রিন্ট আউট হাতে নিতেই বুকটা ধক করে উঠলো ওর। প্রথম ছেলেটার নামই আবির রায়। বয়স পঁচিশ। সদ্য মাস্টার্স শেষ করে চাকরি করতে আসছে। 

যথারীতি ঠান্ডা ঘরে টেবিলের ওপ্রান্তে বসে ইন্টারভিউ দেওয়াকালীন ঘামলো আবির। হয়তো নিজস্ব টেনশনে খেয়াল করেনি, টেবিলের এপ্রান্তের যিনি ইন্টারভিউ নিচ্ছেন, তারও কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম, মাঝে মাঝেই অন্যমনস্ক হয়ে পড়ছেন ম্যাডাম। 

ইন্টারভিউ শেষ করেই ওয়াশরুমে গিয়ে হাউ হাউ করে অনেকটা কাঁদলো পরমা। বেশ অনেক্ষণ সময় নিয়ে কিউবিকলে ফিরেই কয়েকটা মেল চেক করে আর পাঠিয়ে কাঁধে ব্যাগটা তুলে নিল ও। পাশের টেবিল থেকে ব্রততী ততক্ষণে চিমটি কেটে দিয়েছে একটা "ও, কাল হোলি, ম্যাডামতো আজ আর্লি লিভ নেবেই। কেন যে তুই ব্যাপারটা এনজয় করিস না..."!

বাড়ি ফিরে সন্ধ্যেবেলা এককাপ চা নিয়ে অন্য দিনের মতোই খাটের পাশে এসে বসলো পরমা। বলে চলেছে আজকের অফিসের অভিজ্ঞতা। অন্যদিনের মতোই পরমার কথার কোনো জবাব না দিয়ে শুধু তার দিকে তাকিয়ে থাকে আবির। সেই কার অ্যাক
Aaboron
Tumake_Chai · 8 months ago
Shared contents 
আবরণ
Prem Kahini o Premer Golpo
Tumake_Chai · 8 months ago
Shared contents 
প্রেম কাহিনী ও প্রেমের গল্প
Joubon boro oshohay
Tumake_Chai · 8 months ago
Shared contents 
যৌবন বড় অসহায়
User Roles
Admin · 8 months ago
User roles example
Subscriber Contributor Author Moderator Master moderator Editor Master Editor Administrator Master Admin Super Admin
নন্দিত অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফার জন্মদিন আজ
Tumake_Chai · 8 months ago
অভিনয় জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম সুবর্ণা মুস্তাফা। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয়ের আঙিনায় মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের নাট্যজগতে তাকে আইকন মানেন অনেকেই। আশির দশকে তিনি ছিলেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী।
চলতি বছরের সুবর্ণা মুস্তাফার ক্যারিয়ারে যুক্ত হয়েছে কয়েকটি পালক। এই বছর অভিনয়ে বিশেষ অবদান রাখার জন্য একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। এরপর ঢাকা থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে হয়েছেন আওয়ামী লীগের এমপি। এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ঘোষণা হয়েছে। ‘গহীন বালুচর’ সিনেমার জন্য পার্শ্ব চরিত্রে এবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেতে যাচ্ছেন তিনি। আজ ২ ডিসেম্বর এই গুণী অভিনেত্রীর জন্মদিন। এবারে তিনি ৬০ বছরে পা রাখলেন।

বিশেষ এই দিনটিতে প্রিয় অভিনেত্রীকে নানাভাবে নানা মাধ্যমে শুভেচ্ছায় সিক্ত করছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। পাশাপাশি তার সহকর্মীরাও তাকে অভিনন্দিত করছেন। জানা গেছে, ঘরোয়া আয়োজনেই নিজের জন্মদিন পালন করবেন সুবর্ণা মুস্তাফা।

প্রখ্যাত অভিনেতা গোলাম মুস্তাফার মেয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা ১৯৫৯ সালের ২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে শিক্ষা লাভ করেছেন।
শৈশব থেকেই বাবার অনুপ্রেরণাতেই সংস্কৃতির প্রতি ঝোঁক তৈরি হয়। নিজেকে জড়িয়ে নেন মডেলিং আর অভিনয়ের সাথে। প্রথমে মঞ্চে কাজ করলেও আশির দশকে টিভিতে অভিষেক ঘটে তার। মঞ্চ ও টিভি- দুই মাধ্যমেই জনপ্রিয়তা পান সুবর্ণা। তবে আলোচনায় আসেন ১৯৯০ সালে বিটিভিতে প্রচার হওয়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে বরকত উল্লাহর পরিচালনায় ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের মাধ্যমে।
ওই নাটকে আসাদুজ্জামান নূরের করা কালজয়ী চরিত্র বাকের ভাইয়ের নায়িকা মুনা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুবর্ণা। সেই চরিত্র দিয়ে তিনি বাজিমাত করেছিলেন। তারপর নিয়মিতভাবেই তাকে হুমায়ূন আহমেদের নাটকে কাজ করতে দেখা যায়। তার মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়তা পায় ‘আজ রবিবার’ নাটকটি।
আর ১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত মুস্তাফিজুর রহমানের ‘শঙ্খনীল কারাগার’ ছবি দিয়েও দর্শকদের মনে দোলা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে আসাদুজ্জামান নূর ও ডলি জহুরের ছোট বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন সুবর্ণা।
তবে চলচ্চিত্রে সুবর্ণার অভিষেক ঘটে ১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ‘ঘুড্ডি’র মাধ্যমে। নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে সাফল্য পেলেও তিনি নিয়মিত গড়পড়তা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি। কিছু জীবন ঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্রে তার উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে মূলধারার কিছু সিনেমাতেও তার উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়।

‘নয়নের আলো’ সিনেমাতে তার অভিনয় সব শ্রেণির দর্শককে নাড়া দিয়েছিল। ১৯৮৩ সালে ‘নতুন বউ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান। সুবর্ণা মুস্তাফা ব্যক্তিজীবনে ভালোবেসে দাম্পত্য গড়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদির সাথে। সেই সংসার ২০০৮ সালে ভেঙে গেলে তিনি পুনরায় বিয়ে করেন নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার বদরুল আলম সৌদকে। সুখেই কাটছে সেই সংসার।
১৫ জুন; ইতিহাসের এইদিনে
Tumake_Chai · 8 months ago
আফরোজা সুলতানা রত্না (মঞ্চ নাম শাবানা হিসাবেই অধিক জনপ্রিয়) চিত্র পরিচালক এহতেশাম চকোরী চলচ্চিত্রে তার শাবানা নাম প্রদান করেন। তিনি একজন বাংলাদেশী জীবন্ত কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। ১৯৬২ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে নতুন সুর চলচ্চিত্রে তার চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি অভিনয়ের জন্য ৯ বার ও প্রযোজক হিসেবে ১ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০১৭ সালে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন। তার পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে। তিনি ১৯৫২ সালের এইদিনে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ঢাকার গেন্ডারিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
 
অনলাইন ডেস্ক :
ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা ভালো, যা মন্দ এবং মানবসভ্যতার জন্য অভিশাপ-আশীর্বাদ। পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণীজন। একের পর এক রচনা করেছেন এবং করছেন ইতিহাসের পাতা। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের আজকের এই দিনে কি কি ঘটেছিল। কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
 
ঘটনাবলী :
৯২৩ – ফ্রান্সের রাজা প্রথম রবার্ট যুদ্ধে নিহত।
১২১৫ – ইংল্যান্ডের রাজা জন ব্যারনদের চাপে ম্যাগনা কার্টা ( অধিকার সনদে) স্বাক্ষর করেন ।
১৭০৮ – বৃটিশ শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আন্দোলনরত স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতাকামীদেরকে কঠোরভাবে দমন করা হয়।
১৭৫২ – আমেরিকার বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ির সাহায্যে বিদ্যুতের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন।
১৭৫৯ – আওরঙ্গজেব আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রার সিংহাসনে আরোহণ করেন।
১৮০৮ – জোসেফ বোনাপার্ট স্পেনের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।
১৮৩৬ – যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস ২৫তম রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
১৮৪৮ – জার্মানীর চ্যান্সেলর বিসমার্ক বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক বার্লিন শহরকে রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করেন।
১৮৫৪ – কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে প্রেসিডেন্সি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৫৫ – ব্রিটেনে সংবাদপত্রের উপর থেকে কর তুলে দেওয়া হয়।
১৮৯৬ – জাপানে ভূমিকম্প ও জলোচ্ছ্বাসে ২৭ হাজার নিহত।
১৯০৪ – নিউইয়র্কে জাহাজ ডুবে ১২ হাজার পর্যটকের মৃত্যু।
১৯০৮ – কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ চালু হয়।
১৯৪১ – নাৎসি বাহিনীর হাতে প্যারির পতন ঘটে।
১৯৬০ – বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।
১৯৭৭ – দীর্ঘ ৪০ বছর পর স্পেনে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৭৮ – জর্ডানের বাদশা হোসেন আমেরিকান লিসা হালাবিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি নুর নাম গ্রহণ
করেন। তখন থেকেই তিনি রানি নুর হিসেবে পরিচিত।
১৯৭৯ – পরমাণু অস্ত্র সীমিতকরণ সংক্রান্ত স্ট্রাটেজিক আর্মস্‌ লিমিটেশন টকস্‌ সংক্ষেপে “সল্ট-দুই” চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৮২ – রংপুর, যশোর ও কুমিল্লায় হাইকোর্ট স্থাপন।
১৯৯৩ – বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যায়।
১৯৯৪ – ইসরায়েল এবং ভ্যাটিকান সিটির মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
 
জন্ম :
১৮৭৮ – মারগারেট অ্যাবট মার্কিন গল্ফ খেলোয়াড়, আমেরিকার প্রথম অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ান।
১৮৮৪ – তারকনাথ দাস, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা এবং একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বুদ্ধিজীবী।
১৮৯৯ – দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী, ভারতীয় ভাস্কর,চিত্রশিল্পী এবং ললিত কলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি।
১৯১৫ – নোবেলজয়ী (১৯৫৪) মার্কিন চিকিৎসক টমাস ওয়েলার।
১৯১৬ – নোবেলজয়ী (১৯৭৮) মার্কিন অর্থনীতিবিদ হার্বটি আলেকজান্ডার।
১৯৩৩ – কাজী মুতাসিম বিল্লাহ, বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত।
১৯৩৭ – লেখক শামসুজ্জামান খান।
১৯৩৮ – বিদিত লাল দাস, বাংলাদেশী বাউল গায়ক ও সুরকার।
১৯৫২ – শাবানা, বাংলাদেশি অভিনেত্রী।
১৯৭০- বাংলাদেশের টেলিভিশন জগতের একসময়ের দারুণ জনপ্রিয় অভিনেতা লিটু আনাম।
১৯৮২ – আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম খেলোয়াড়।
 
মৃত্যু :
১৩৮৯ – প্রথম মুরাদ, উসমানীয় সুলতান।
১৮৪৯ – জেমস কে. পোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি।
১৯৭০ – রবার্ট মরিসন ম্যাকাইভার, একজন স্কটীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সমাজবিজ্ঞানী।
১৯৭১ – ওয়েন্ডেল মেরেডিথ স্ট্যানলি ১৯৪৬ সালে নোবেলজয়ী মার্কিন রসায়নবিদ এবং ভাইরাসবিদ।
১৯৮৬ – ভারতে বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দলের (R.S.P.) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য তারাপদ লাহিড়ী।
১৯৮৮ – রথীন্দ্রকান্ত ঘটক চৌধুরী, প্রাবন্ধিক, রবীন্দ্র গবেষক এবং সমাজ কর্মী।
১৯৯১ – আর্থার লিউইস, অর্থনীতিবিদ।
১৯৯৫ – জন ভিনসেন্ট আটানসফ, বুলগেরীয় বংশোদ্ভুত একজন মার্কিন পদার্থবিদ।
২০০৯ – অমলেন্দু চক্রবর্তী, প্রখ্যাত বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার এবং প্রাবন্ধিক।
২০১৩ – কেনেথ জি উইলসন, মার্কিন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী।
২০১৪ – রেজাউল বারী ডিনা, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।
২০২০ – বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান, রাজনীতিবিদ, সিলেট সিটি কর্
লামায় জয়িতা নির্বাচিত হলেন হাজেরা বেগম
Tumake_Chai · 8 months ago
“জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ কার্যক্রমের আওতায় বান্দরবানের লামা উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরস্কার পেয়েছেন হাজেরা বেগম। জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় “সফল জননী” নারী ক্যাটাগরীতে উপজেলা পর্যায়ে প্রথম জয়িতা পুরস্কার প্রদান করা হয়। রত্নগর্ভা হাজেরা বেগম সফল জননীর পাশাপাশি একজন কৃষাণী।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় লামা উপজেলা পরিষদ হলরুমে বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৪ পালন অনুষ্ঠানে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হোসেন চৌধুরী জয়িতা হাজেরা বেগমের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।


তিনি লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড গগণ মাস্টার পাড়ার আবুল কালাম ও শামসুন্নাহার বেগমের মেয়ে, আবুল কালামের স্ত্রী এবং লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মামুন মিয়ার মা।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সামাজিক বিভিন্ন বাধাবিপত্তি পেরিয়ে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়া নারীদের স্বীকৃতসরূপ এ পুরস্কার দেওয়া হয়। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারাদেশের ন্যায় লামা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যৌথভাবে বেগম রোকেয়া দিবসের আয়োজন করে।
 Prev1112131415Next  
রোমিও এবং জুলিয়েট
Tumake_Chai · 8 months ago
রোমিও এবং জুলিয়েটঃ"Never was a story of love nor woe that of Juliet and her Romeo." সবাই-ই মেনে থাকেন এই জুটিই, প্রেমের ইতিহাস বা গল্পগুলোর মধ্যে সর্বাধিক প্রচারিত বা সবচেয়ে বেশী বিখ্যাত। যেন ভালোবাসার অপর নাম রোমিও-জুলিয়েট। বিশ্ববিখ্যাত ইংরেজ লেখক, William Shakespeare এর কালজয়ী ট্রাজেডি হল এই “Romeo and Juliet!” দুটি ভিন্ন পরিবারের পূর্ববর্তী রেষারেষি, বংশীয় অহংকার ভেদ করে দুজন তরুণ-তরুণীর প্রথম দর্শনে প্রেমে পড়া। পরবর্তীতে পরিবারের বাঁধা, ভয় দেখানো, নানা মানসিক সংশয়- টানাপোড়ন সব উপেক্ষা করে নানা নাটকীয়তার মাঝে তাদের বিয়ে করা। এবং সবশেষে, তথ্যগত ভুল বোঝাবুঝিজনিত কারণে বিষপানে দুজনের মৃত্যু!! সব মিলিয়েই, রোমিও- জুলিয়েট কাহিনী হয়ে গেছে অমর এক প্রেম গাথা! তাই পৃথিবীতে যখনই প্রেমের জন্য ত্যাগ- তিতিক্ষার কথা বলা হয়, সবার আগেই উঠে আসে এই যুগলের নাম! যুগে যুগে অসংখ্য নাটক, সিনেমা বানানো হয়েছে এই “timeless love” নিয়ে।
একটি মিষ্টি প্রেমের গল্প
Tumake_Chai · 8 months ago
“কাকা, ফুচকায় আর একটু ঝাল দাও তো”- বলেই হাপুস হুপুস করে চোখ নাক মুছে আবার ফুচকাটা মুখে পুরল উদিতা ।

“ঝাল খেতে গিয়ে নাকের জল, চোখের জল এক হচ্ছে তবু খাওয়া চাই”- বলেই উদিতাকে ভালবেসেই দু ঘা বসাল রাহুল । 

উদিতা , রাহুলের কথায় বিশেষ কান না দিয়ে খাওয়ায় মনোনিবেশ করল । খাওয়া শেষে ফাউ নিয়ে খানিক তর্ক বিতর্কও হলো, তারপর হাঁটা লাগল দুজন ।

রাহুল আর উদিতার এই হেদুয়া পার্কের পাশ দিয়ে হাঁটাটা নতুন কিছু নয়, দীর্ঘ বেশ কয়েক বছরের অভ্যাস, বহুদিন ধরেই এই রাস্তা, দোকান, পার্কের বসার বেদি, ফুচকাওয়ালা, কৃষ্ঞচূড়া গাছটা এরা সবাই ওদের চেনে । ঐ যেদিন রাহুল প্রথম উদিতার হাত ধরেছিল, রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতেই, আচমকা, সেদিন উদিতার সাথে সাথে লাল কৃষ্ঞচূড়াটাও লজ্জা পেয়েছিল, রাঙা হয়েছিল উদিতার কানের লতি, গালের লালাভ আভা সেদিন রাহুলের চোখ এড়ায়নি ।

অথচ, এই রাহুল আর উদিতাই কোনদিন ভাবেনি, ওদের সম্পর্কটা এতদূর গড়াবে । শুধু ওরা না, কেউই ভাবেনি । কি করে ভাবতো? দুই মেরুর দুই মানুষ একে অপরকে এতটা ভালবাসতে পারবে কোনদিন ওরা নিজেরাই ভেবেছিল? 

সেই যেবার হায়ার স্টাডিজের জন্য রাহুল অনেকটা দূরে চলে গেল, রাহুলকে প্রথমে কিছু না বললেও, নিঃশব্দে, আড়ালে কম চোখের জল ফেলেছিল উদিতা ? যা কোনদিন স্বপ্নেও ভাবেনি তাই হয়েছে , বুঝতেই পারেনি রাহুলকে কখন এতটা আপন করে নিয়েছে । ওদের রাতজাগা প্রতিটি কথোপকথন, খুব চেনা কফিশপটা, কলেজের গেটটা, টিউশন ব্যাচের চক ডাস্টার ব্ল্যাকবোর্ড ওদের বেড়ে ওঠা এই প্রেমের সাক্ষী ।

আনমনে দুজনে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এসব কথাই বারবার মনে আসছিল দুজনের ।

-“আচ্ছা, তোর মনে আছে, এই দোকানটার লস্যি তোর কত প্রিয় ছিল?”

-“হ্যাঁ, এই দ্যাখ, সেবার পুজোয় এই দোকানটাতেই খেয়েছিলাম না ? কি খারাপ ছিল বল ।।।।”

এসব বলতে বলতেই ট্রামলাইন পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে দুজন । আজ কতদিন পর আবার সেই চেনা রাস্তা, চেনা গলি, যেন অনেক না পাওয়ার মাঝে অনেকটা ফিরে পাওয়া ।

“আচ্ছা শোন, আজ তোকে কয়েকটা জরুরী কথা বলতেই এখানে ডাকা ।” রাহুলের দিকে তাকিয়েই বলল উদিতা ।

রাহুল জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালে উদিতা আবার বলল, দ্যাখ, অনেকগুলো বছর অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাড়ির সকলকে আটকে রেখেছি, এভাবে আর কতদিন? আমার বাড়ির লোকজন কিন্তু এবার সিরিয়াস আমার বিয়ে নিয়ে।।।।।” কথাটা আর শেষ করতে পারল না উদিতা ।

খুব চেনা পরিচিত ভালবাসার গল্প এটা, আমাদের সবার মতোই ।

রাহুলের বাবা রিটায়ার করেছেন আগের বছর, সরকারী কেরানি ছিলেন, বাড়ির অবস্থা নিতান্তই সাধারণ । সেই বাড়ি থেকে ঘুঁষ দিয়ে সরকারী চাকরি লাভ বা বহু টাকার বিনিময়ে পড়াশুনো কোনটাই সম্ভব নয় । সুতরাং, এই মন্দার বাজারে যা চাকরীর অবস্থা এতে এসব নতুন কিছু নয়, কত প্রেমই তো এই চাকরীর অভাবে – টাকার অভাবে জানলা দিয়ে পালায় ।

রাহুলও শুনলো শুধু চুপ করে, একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আর কিছুই শোনা গেল না, উদিতা জানে রাহুলও যথেষ্ট চেষ্টা করছে, কিন্তু তাও এখনও অবধি।।।।।

দুইপক্ষের মৌনতায় যেন অনেকগুলো কথা বলে দিচ্ছিল, যে হাতদুটো একে অপরকে সবসময় আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিল, আজ সেই হাতদুটোই কী ক্লান্ত? কে জানে।

“তুই আমার স্বপ্ন, আমার জীবনের ইচ্ছা সবই তো জানিস।।।।।”

রাহুলের মুখের কথা কেড়ে উদিতা বলল,”জানি, সবই জানি, ইনফ্যাক্ট আমিই সবথেকে ভাল জানি, কিন্তু, বাড়িতে কী বোঝাব বল তো? রোজ রোজ কী বলে বোঝাব? কী অজুহাত দেব?”

-“অজুহাত? অজুহাতটা কীসের? সবটা বুঝিয়ে বললে তাদেরও তো বোঝা উচিত? তার জন্য রোজ অজুহাতের কথা কী করে আসছে? তাও তো আমি চেষ্টা করছি ।” এটুকু বলেই থামল রাহুল । ফিরে তাকাল উদিতার দিকে, শক্ত করে ধরে রাখা হাত টার দিকে তাকাল একবার ।

উদিতা তাকিয়ে সেই চোখগুলোর দিকে, যেগুলোর দিকে তাকিয়ে আজ এতগুলো বছর বেঁচে থাকার রসদ পেয়েছে ও । রাহুলের স্বপ্ন, ওর লেখা এগুলো তো উদিতারও স্বপ্ন ছিল, ওকে জিততে দেখাটা তো উদিতারও স্বপ্ন ছিল, কিন্তু, সমাজ আর সেই সমাজের মানুষ থুড়ি জীব-এর সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে চলতে আজ উদিতারও কোথাও যেন রাহুলের জন্য অপেক্ষাটা বিরক্তিকর ঠেকছে । রাহুলের নিজের স্বপ্নকে ছোঁয়াটা আজ উদিতার কাছে কিছুটা হলেও পাগলামো ঠেকছে, যেন, ওসব পরে হবে, চাকরিটাই জরুরী, স্বপ্ন ছোঁয়া চাট্টিখানি কথা নয়, ওসব ভেবে সময় নষ্ট করে কী লাভ?

************

দিন দিন কথার ওপর কথা বাড়ছিল, তার সাথে বাড়ছিল দূরত্ব । দুই পরিবারের ইচ্ছার চাপে, ওদের মিষ্টি সতেজ নিষ্পাপ প্রেম দীর্ঘশ্বাস ফেলছিল, কী করে যেন হারিয়ে যাচ্ছিল সবটুকু, অথচ রাহুল কিছুতেই মনঃসংযোগ করতে পারছিল না, চাকরিটাও জুটছিল না, কোনদিন ১০টা -৫টা অফিসের কাজের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতে হবে স্বপ্নেও ভাবেনি, কিন্তু সবকিছু পেরিয়ে ভালবাসাটা যেন আর বেঁচে থাকছে না ।

-“দ্যাখ, আমার পক্ষে এভাবে আর সম্ভব হচ্ছে না, আমার মা বাবারও তো আমা
প্রেমের রং লাল
Tumake_Chai · 8 months ago
পরমা যেদিন ইন্টারভিউ দিতে জড়সড় পায়ে দুরুদুরু বুকে আবিরের উল্টোদিকের চেয়ারে বসে অজান্তেই ওড়নার শেষ প্রান্তটা দুহাতের তর্জনী দিয়ে গোল পাকাচ্ছিল আর "মাই নেম ইস পরমা চ্যাটার্জী" বলে ইন্ট্রোডাকশন দিচ্ছিলো, সেদিন কি জানতো এই আবির রায় ওর জীবনের একটা বড় অধ্যায় হয়ে দাঁড়াবে! প্রায় বছর তিন আগের সেই ইন্টারভিউ, আবিরের টিমেই জয়েন করা, একবছরের ট্রেনিং পিরিয়ড শেষ হবার আগেই কনফার্মেশন পাওয়া অবধি পরমার কাছে আবির রায় ছিলেন শুধুই "স্যার"। এর পর কেমন করে জানি "স্যার" থেকে বছর আটেকের বড় আবির হয়ে গেছিল "আবিরদা", আর গত দোলের পর থেকে আরও কাছের একজন!

রং, আবির, দোল... এসবই যেন পরমার কাছে ছিল আতঙ্ক, সেই আট বছর বয়স থেকেই, সেই যেবার রন্টিদা রং মাখানোর নাম করে অসভ্যতামি করলো... সারা দুপুর পেরিয়ে সারারাত শুধু ছটফট করলো বিছানায় ও... মা কে হাপুস নয়নে কাঁদতে কাঁদতে সব কিছু বলার পরেও মা বললো "ও তোর পিসতুতো দাদা রমা। এসব কথা জানাজানি হলে কেলেঙ্কারি ঘটবে। তুই বরং শুয়ে থাক চুপ করে, আমি গরমজল নিয়ে আসছি"... সেই শেষ বার পরমার রং খেলা। এর পর প্রায় গত সতেরোটা বছর দোল মানেই পরমা কাটিয়েছে একরাশ ঘৃণা ভরে দরজার ছিটকিনি তুলে নিজেকে বন্দি করে। ফলে, গতবছর যখন দোলের আগের দিন অফিসের করিডরে লাঞ্চের পর থেকেই আবির খেলা শুরু হলো, আতঙ্কিত পরমা ঢাল হিসেবে পেয়েছিল অবিরদাকেই। কিছু বলতেও হয়নি। পরমার চোখ-মুখের পরিবর্তনই হয়তো আবিরকে কিছু বুঝিয়ে দিয়েছিল সেদিন। ফলে মিটিংয়ের নাম করে সেই যে পরমাকে মিটিং রুমে নিয়ে ঢোকে, দুজনে বেরোয় যখন, তখন প্রায় সন্ধ্যে। সেই লেট আওয়ারেও, টিমের কেউ কেউ রং মেখে প্রায় ভুত হয়ে পরমার দিকে তাক করতেই আবিরের গুরুগম্ভীর গলায় বারণ - "এই, ওকে কেউ রং দেবেনা, ওর সিভিয়ার এলার্জি আছে" শুনে কেউ একটা রঙের টিপ পর্যন্ত পড়ায়নি পরমার কপালে। নিজে অবশ্য সাদা শার্ট রঙিন করতে বাধা দেয়নি।
প্রথমবার বাড়ি অবধি গাড়ি করে ছেড়ে দিয়ে যাবার সময় এক কাপ চা পর্যন্ত অফার করে ওঠা হয়নি সেদিন মানুষটাকে। তবে সেই দিনের পর থেকেই একটা অদ্ভুত অনুভূতি রাঙিয়ে দিয়ে গেছিল পরমার মনটাকে। অফিস যাওয়াটা, আবিরের সঙ্গে দেখা হওয়া, কথা বলা, সময় কাটানোটা যেন একটা ভালোলাগার জায়গায় পৌঁছে গেছিল। সূক্ষ্ম হতে শুরু করেছিল ভালোলাগা আর ভালোবাসার দূরত্ব!

অফিসের বাইরেও বাড়তে থাকে দুজনের সময় কাটানো, ঘনিষ্ঠতা। আদান-প্রদান চলতে থাকে চিন্তা, ভাবনা, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা। এর মধ্যে অফিসেও কানাঘুষো উঠেছে দুজনের মধ্যে এই সম্পর্কের ব্যাপারে কথাবার্তা। দুই বাড়ির লোকজন যখন দুজনের বিয়ের ব্যাপারেই উঠে পরে লাগেন, তখনই দুজনে নিয়ে ফেলে জীবনের চরম ডিসিশন... এক সঙ্গে পথ চলার সিদ্ধান্ত। আর আশ্চর্য ভাবে দিনটা সেই দোলের আগের দিন! এবারে অবশ্য দুজনেই অফিস যায়নি। ছুটি নিয়ে সারাটা দিন কাটিয়েছে নন্দনে। রাতে বাড়ি ছেড়ে দিয়ে যাবার আগে চায়ের কথা বললেও, ভেতরে আসেনি আবির। সামনের রবিবার তো আসবেই বাবা মাকে সঙ্গে নিয়ে। বরং কখন কিনেছে জানতোই না পরমা... একটা ছোট্ট প্লাসটিকের প্যাকেট থেকে একচিমটে লাল আবির নিয়ে পরমার দুগালে লাগিয়ে দিল আবির। একটু-আধটু লাল রং ছড়িয়ে পড়লো পরমার সাদা ওড়নায়। কিচ্ছুটি বললো না পরমা... বাধা দেওয়াতো দূরে থাক, জীবনে প্রথমবার যেন উপলব্ধি করছে আবিরের গন্ধটা! আবিরের আঙ্গুল ছুঁয়ে গাল ভেদ করে যেন সারা শরীরে রক্তের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সেই উষ্ণ আবির আজ পরমার! টলতে টলতে বাড়ি ঢুকে জামা-কাপড় না বদলেই শুয়ে পড়লো ও। শুয়েই রইলো ফোনটা না আসা অবধি। 

আবিরের বাড়ি থেকে ফোন। এক্সপ্রেস ওয়েতে গাড়িটা অ্যাক্সিডেন্ট করেছে আবিরের।



কেটে গেছে পাঁচটা বছর। সেই কম্পানি ছেড়ে নতুন অফিসে জয়েন করেছে পরমা, তাও বছর চারেক হয়ে গেল। প্রমোশন পেয়ে পরমা এখন ম্যানেজার। ইন্টারভিউ নেওয়ার আগে শর্টলিস্টেড তিনজন ক্যান্ডিডেটের সিভি গুলো একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়ার জন্য প্রিন্ট আউট হাতে নিতেই বুকটা ধক করে উঠলো ওর। প্রথম ছেলেটার নামই আবির রায়। বয়স পঁচিশ। সদ্য মাস্টার্স শেষ করে চাকরি করতে আসছে। 

যথারীতি ঠান্ডা ঘরে টেবিলের ওপ্রান্তে বসে ইন্টারভিউ দেওয়াকালীন ঘামলো আবির। হয়তো নিজস্ব টেনশনে খেয়াল করেনি, টেবিলের এপ্রান্তের যিনি ইন্টারভিউ নিচ্ছেন, তারও কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম, মাঝে মাঝেই অন্যমনস্ক হয়ে পড়ছেন ম্যাডাম। 

ইন্টারভিউ শেষ করেই ওয়াশরুমে গিয়ে হাউ হাউ করে অনেকটা কাঁদলো পরমা। বেশ অনেক্ষণ সময় নিয়ে কিউবিকলে ফিরেই কয়েকটা মেল চেক করে আর পাঠিয়ে কাঁধে ব্যাগটা তুলে নিল ও। পাশের টেবিল থেকে ব্রততী ততক্ষণে চিমটি কেটে দিয়েছে একটা "ও, কাল হোলি, ম্যাডামতো আজ আর্লি লিভ নেবেই। কেন যে তুই ব্যাপারটা এনজয় করিস না..."!

বাড়ি ফিরে সন্ধ্যেবেলা এককাপ চা নিয়ে অন্য দিনের মতোই খাটের পাশে এসে বসলো পরমা। বলে চলেছে আজকের অফিসের অভিজ্ঞতা। অন্যদিনের মতোই পরমার কথার কোনো জবাব না দিয়ে শুধু তার দিকে তাকিয়ে থাকে আবির। সেই কার অ্যাক
Aaboron
Tumake_Chai · 8 months ago
Shared contents 
আবরণ
Prem Kahini o Premer Golpo
Tumake_Chai · 8 months ago
Shared contents 
প্রেম কাহিনী ও প্রেমের গল্প
Joubon boro oshohay
Tumake_Chai · 8 months ago
Shared contents 
যৌবন বড় অসহায়
User Roles
Admin · 8 months ago
User roles example
Subscriber Contributor Author Moderator Master moderator Editor Master Editor Administrator Master Admin Super Admin
নন্দিত অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফার জন্মদিন আজ
Tumake_Chai · 8 months ago
অভিনয় জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম সুবর্ণা মুস্তাফা। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয়ের আঙিনায় মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের নাট্যজগতে তাকে আইকন মানেন অনেকেই। আশির দশকে তিনি ছিলেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী।
চলতি বছরের সুবর্ণা মুস্তাফার ক্যারিয়ারে যুক্ত হয়েছে কয়েকটি পালক। এই বছর অভিনয়ে বিশেষ অবদান রাখার জন্য একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। এরপর ঢাকা থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে হয়েছেন আওয়ামী লীগের এমপি। এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ঘোষণা হয়েছে। ‘গহীন বালুচর’ সিনেমার জন্য পার্শ্ব চরিত্রে এবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেতে যাচ্ছেন তিনি। আজ ২ ডিসেম্বর এই গুণী অভিনেত্রীর জন্মদিন। এবারে তিনি ৬০ বছরে পা রাখলেন।

বিশেষ এই দিনটিতে প্রিয় অভিনেত্রীকে নানাভাবে নানা মাধ্যমে শুভেচ্ছায় সিক্ত করছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। পাশাপাশি তার সহকর্মীরাও তাকে অভিনন্দিত করছেন। জানা গেছে, ঘরোয়া আয়োজনেই নিজের জন্মদিন পালন করবেন সুবর্ণা মুস্তাফা।

প্রখ্যাত অভিনেতা গোলাম মুস্তাফার মেয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা ১৯৫৯ সালের ২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে শিক্ষা লাভ করেছেন।
শৈশব থেকেই বাবার অনুপ্রেরণাতেই সংস্কৃতির প্রতি ঝোঁক তৈরি হয়। নিজেকে জড়িয়ে নেন মডেলিং আর অভিনয়ের সাথে। প্রথমে মঞ্চে কাজ করলেও আশির দশকে টিভিতে অভিষেক ঘটে তার। মঞ্চ ও টিভি- দুই মাধ্যমেই জনপ্রিয়তা পান সুবর্ণা। তবে আলোচনায় আসেন ১৯৯০ সালে বিটিভিতে প্রচার হওয়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে বরকত উল্লাহর পরিচালনায় ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের মাধ্যমে।
ওই নাটকে আসাদুজ্জামান নূরের করা কালজয়ী চরিত্র বাকের ভাইয়ের নায়িকা মুনা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুবর্ণা। সেই চরিত্র দিয়ে তিনি বাজিমাত করেছিলেন। তারপর নিয়মিতভাবেই তাকে হুমায়ূন আহমেদের নাটকে কাজ করতে দেখা যায়। তার মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়তা পায় ‘আজ রবিবার’ নাটকটি।
আর ১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত মুস্তাফিজুর রহমানের ‘শঙ্খনীল কারাগার’ ছবি দিয়েও দর্শকদের মনে দোলা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে আসাদুজ্জামান নূর ও ডলি জহুরের ছোট বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন সুবর্ণা।
তবে চলচ্চিত্রে সুবর্ণার অভিষেক ঘটে ১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ‘ঘুড্ডি’র মাধ্যমে। নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে সাফল্য পেলেও তিনি নিয়মিত গড়পড়তা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি। কিছু জীবন ঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্রে তার উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে মূলধারার কিছু সিনেমাতেও তার উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়।

‘নয়নের আলো’ সিনেমাতে তার অভিনয় সব শ্রেণির দর্শককে নাড়া দিয়েছিল। ১৯৮৩ সালে ‘নতুন বউ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান। সুবর্ণা মুস্তাফা ব্যক্তিজীবনে ভালোবেসে দাম্পত্য গড়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদির সাথে। সেই সংসার ২০০৮ সালে ভেঙে গেলে তিনি পুনরায় বিয়ে করেন নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার বদরুল আলম সৌদকে। সুখেই কাটছে সেই সংসার।
১৫ জুন; ইতিহাসের এইদিনে
Tumake_Chai · 8 months ago
আফরোজা সুলতানা রত্না (মঞ্চ নাম শাবানা হিসাবেই অধিক জনপ্রিয়) চিত্র পরিচালক এহতেশাম চকোরী চলচ্চিত্রে তার শাবানা নাম প্রদান করেন। তিনি একজন বাংলাদেশী জীবন্ত কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। ১৯৬২ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে নতুন সুর চলচ্চিত্রে তার চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি অভিনয়ের জন্য ৯ বার ও প্রযোজক হিসেবে ১ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০১৭ সালে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন। তার পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে। তিনি ১৯৫২ সালের এইদিনে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ঢাকার গেন্ডারিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
 
অনলাইন ডেস্ক :
ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা ভালো, যা মন্দ এবং মানবসভ্যতার জন্য অভিশাপ-আশীর্বাদ। পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণীজন। একের পর এক রচনা করেছেন এবং করছেন ইতিহাসের পাতা। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের আজকের এই দিনে কি কি ঘটেছিল। কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
 
ঘটনাবলী :
৯২৩ – ফ্রান্সের রাজা প্রথম রবার্ট যুদ্ধে নিহত।
১২১৫ – ইংল্যান্ডের রাজা জন ব্যারনদের চাপে ম্যাগনা কার্টা ( অধিকার সনদে) স্বাক্ষর করেন ।
১৭০৮ – বৃটিশ শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আন্দোলনরত স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতাকামীদেরকে কঠোরভাবে দমন করা হয়।
১৭৫২ – আমেরিকার বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ির সাহায্যে বিদ্যুতের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন।
১৭৫৯ – আওরঙ্গজেব আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রার সিংহাসনে আরোহণ করেন।
১৮০৮ – জোসেফ বোনাপার্ট স্পেনের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।
১৮৩৬ – যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস ২৫তম রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
১৮৪৮ – জার্মানীর চ্যান্সেলর বিসমার্ক বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক বার্লিন শহরকে রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করেন।
১৮৫৪ – কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে প্রেসিডেন্সি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৫৫ – ব্রিটেনে সংবাদপত্রের উপর থেকে কর তুলে দেওয়া হয়।
১৮৯৬ – জাপানে ভূমিকম্প ও জলোচ্ছ্বাসে ২৭ হাজার নিহত।
১৯০৪ – নিউইয়র্কে জাহাজ ডুবে ১২ হাজার পর্যটকের মৃত্যু।
১৯০৮ – কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ চালু হয়।
১৯৪১ – নাৎসি বাহিনীর হাতে প্যারির পতন ঘটে।
১৯৬০ – বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।
১৯৭৭ – দীর্ঘ ৪০ বছর পর স্পেনে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৭৮ – জর্ডানের বাদশা হোসেন আমেরিকান লিসা হালাবিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি নুর নাম গ্রহণ
করেন। তখন থেকেই তিনি রানি নুর হিসেবে পরিচিত।
১৯৭৯ – পরমাণু অস্ত্র সীমিতকরণ সংক্রান্ত স্ট্রাটেজিক আর্মস্‌ লিমিটেশন টকস্‌ সংক্ষেপে “সল্ট-দুই” চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৮২ – রংপুর, যশোর ও কুমিল্লায় হাইকোর্ট স্থাপন।
১৯৯৩ – বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যায়।
১৯৯৪ – ইসরায়েল এবং ভ্যাটিকান সিটির মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
 
জন্ম :
১৮৭৮ – মারগারেট অ্যাবট মার্কিন গল্ফ খেলোয়াড়, আমেরিকার প্রথম অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ান।
১৮৮৪ – তারকনাথ দাস, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা এবং একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বুদ্ধিজীবী।
১৮৯৯ – দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী, ভারতীয় ভাস্কর,চিত্রশিল্পী এবং ললিত কলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি।
১৯১৫ – নোবেলজয়ী (১৯৫৪) মার্কিন চিকিৎসক টমাস ওয়েলার।
১৯১৬ – নোবেলজয়ী (১৯৭৮) মার্কিন অর্থনীতিবিদ হার্বটি আলেকজান্ডার।
১৯৩৩ – কাজী মুতাসিম বিল্লাহ, বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত।
১৯৩৭ – লেখক শামসুজ্জামান খান।
১৯৩৮ – বিদিত লাল দাস, বাংলাদেশী বাউল গায়ক ও সুরকার।
১৯৫২ – শাবানা, বাংলাদেশি অভিনেত্রী।
১৯৭০- বাংলাদেশের টেলিভিশন জগতের একসময়ের দারুণ জনপ্রিয় অভিনেতা লিটু আনাম।
১৯৮২ – আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম খেলোয়াড়।
 
মৃত্যু :
১৩৮৯ – প্রথম মুরাদ, উসমানীয় সুলতান।
১৮৪৯ – জেমস কে. পোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি।
১৯৭০ – রবার্ট মরিসন ম্যাকাইভার, একজন স্কটীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সমাজবিজ্ঞানী।
১৯৭১ – ওয়েন্ডেল মেরেডিথ স্ট্যানলি ১৯৪৬ সালে নোবেলজয়ী মার্কিন রসায়নবিদ এবং ভাইরাসবিদ।
১৯৮৬ – ভারতে বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দলের (R.S.P.) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য তারাপদ লাহিড়ী।
১৯৮৮ – রথীন্দ্রকান্ত ঘটক চৌধুরী, প্রাবন্ধিক, রবীন্দ্র গবেষক এবং সমাজ কর্মী।
১৯৯১ – আর্থার লিউইস, অর্থনীতিবিদ।
১৯৯৫ – জন ভিনসেন্ট আটানসফ, বুলগেরীয় বংশোদ্ভুত একজন মার্কিন পদার্থবিদ।
২০০৯ – অমলেন্দু চক্রবর্তী, প্রখ্যাত বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার এবং প্রাবন্ধিক।
২০১৩ – কেনেথ জি উইলসন, মার্কিন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী।
২০১৪ – রেজাউল বারী ডিনা, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।
২০২০ – বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান, রাজনীতিবিদ, সিলেট সিটি কর্
লামায় জয়িতা নির্বাচিত হলেন হাজেরা বেগম
Tumake_Chai · 8 months ago
“জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ কার্যক্রমের আওতায় বান্দরবানের লামা উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরস্কার পেয়েছেন হাজেরা বেগম। জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় “সফল জননী” নারী ক্যাটাগরীতে উপজেলা পর্যায়ে প্রথম জয়িতা পুরস্কার প্রদান করা হয়। রত্নগর্ভা হাজেরা বেগম সফল জননীর পাশাপাশি একজন কৃষাণী।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় লামা উপজেলা পরিষদ হলরুমে বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৪ পালন অনুষ্ঠানে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হোসেন চৌধুরী জয়িতা হাজেরা বেগমের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।


তিনি লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড গগণ মাস্টার পাড়ার আবুল কালাম ও শামসুন্নাহার বেগমের মেয়ে, আবুল কালামের স্ত্রী এবং লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মামুন মিয়ার মা।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সামাজিক বিভিন্ন বাধাবিপত্তি পেরিয়ে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়া নারীদের স্বীকৃতসরূপ এ পুরস্কার দেওয়া হয়। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারাদেশের ন্যায় লামা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যৌথভাবে বেগম রোকেয়া দিবসের আয়োজন করে।
 Prev119120121122123124125...448Next  
Google search:
Forums Folders Members Messages
Login
HELP CENTER :-: GO TO TOP
tips.wapka.site
Copyright © 2025 All Rights Reserved
Powered by wapka.org