ইতিহাসের সর্বকালের সেরা প্রেমকাহিনী
New first |
Old first |
সর্বকালের সেরা প্রেমকাহিনী
প্রেম মানে না জাতি ধর্ম, প্রেম মানে না সমাজ, তাই প্রেমের টানে ইতিহাসের শুরু থেকেই পৃথিবীতে ঘটেছে অবিস্মরণীয় সব ঘটনা। প্রেমের টানে সিংহাসন ছেড়ে পথিক হয়ে গেছেন কেউ কেউ, প্রেমের টানেই কেউবা আবার আপন করে নিয়েছেন পৃথিবীর সব দুঃখ-গাথা। আসুন আজ জানি ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ১০টি প্রেমের কাহিনী- ইতিহাসের সর্বকালের সেরা প্রেমকাহিনী
স্কারলেট ও'হারা এবং রেট বাটলার
স্কারলেট ও’হারা অ্যান্ড রেথ বাটলারঃ বলা হয়ে থাকে বিখ্যাত লেখক Margaret Mitchell এর কালজয়ী ক্লাসিক “Gone with the Wind,” হল ভালোবাসা বাসি মানুষের জন্য এক বাইবেল! সিভিল ওয়ারের পটভূমি নিয়ে, এবং স্কারলেট-বাটলারের বাঁধন হারা-উন্মাতাল প্রেম, মানসিক টানাপোড়ন, চাওয়া- পাওয়ার হিসেব, দেশের অস্থির সময়—এই সব কিছু মিলিয়েই এটি হয়ে উঠেছে অমর এক সাহিত্য কর্ম। উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্কারলেট কখনোই কারও বাঁধনে নিজেকে বাঁধতে নারাজ ছিল। কিন্তু বাটলারের উন্মত্ত প্রেমকে সে কখনোই উপেক্ষা করতে পারেনি। সুখী জীবনের চিন্তায় বিভোর স্কারলেটের সুখ বেশীদিন স্থায়ী হয়নি। তাঁর মনস্তান্তিক দ্বন্দ্ব রয়েই গেল। আর তাইতো শেষে স্কারলেট বলেছিল, “Tomorrow is another day!”
পাওলো এবং ফ্রান্সেসকা
পাউলো অ্যান্ড ফ্রান্সেসকাঃ সত্য কাহিনী অবলম্বনে এই চরিত্র দুটি নেয়া হয়েছে বিশ্ববিখ্যাত লেখক Dante-এর অমর সাহিত্যকর্ম হল “Divine Comedy” থেকে। ফ্রান্সেসকার স্বামী মালাটেস্তা ছিলেন একজন ভয়ানক অপরাধী। তাঁর ছোট ভাই পাউলোর সাথে মিলে ফ্রান্সেসকা Dante এর বই পড়ে সময় কাটাতেন। পরবর্তীতে দুজনের মধ্যে প্রেম জন্মে নেয়। ঘটনা জানাজানি হবার পর খুব স্বাভাবিক ভাবেই ফ্রান্সেসকার স্বামী দুজনকেই হত্যা করে।
ওডিসিয়াস এবং পেনিলোপ
ওডিসিয়াস অ্যান্ড পেনেলোপঃ গ্রীক অন্যান্য প্রেমের গল্পের মতোই, এই জুটির প্রেমেও ছিল, ত্যাগ আর বিসর্জন। প্রেমের ক্ষেত্রে গ্রীক পুরাণের বেশীর ভাগ কাহিনীরই মূলমন্ত্র হল, “Tragedy and sacrifice.” জুটি তাঁদের মিলনের জন্য অপেক্ষা করেছিল দীর্ঘ ২০ বছর! তাঁদের বিয়ের কিছু পরেই ওডিসিয়াসকে যুদ্ধে চলে যেতে হয়েছিল। কিন্তু স্বামীর প্রত্যাবর্তননের আশায় আশায় পেনেলোপ তাঁর জন্য অপেক্ষা করেছিল ২০ বছর। এরমধ্যে তিনি ১০৮ জন রাজাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, অপরদিকে ওডিসিয়াসও স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্থ ছিলেন। তিনিও অনেক দেবীর প্রেম ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। Homer রচিত এই এপিকে তিনি প্রমাণ করেছেন, “ভালোবাসার অন্য নাম- অপেক্ষা!” তিনি বলেছেন, “remember that true love is worth waiting for!”
নেপোলিয়ন এবং জোসেফাইন
নেপোলিয়ন অ্যান্ড জোসেপাইনঃ মহাবীর নেপোলিয়ন ২৬ বছর বয়সে, বয়সে বড় তাঁর রাজ্যের এক ধনী মহিলা জোসেপাইনের প্রেমে পড়েন। তাঁরা দুজনেই তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে শ্রদ্ধাবোধ, এবং ত্যাগ বজায় রেখেছিলেন। অনেকটা রাজ্য শাসনের ভারে অনেকটা অগোচরেই ছিল এই প্রেম। যদিও তাঁরা সর্বদাই স্বীকার করতেন তাঁদের সম্পর্কের কথা। নেপোলিয়ন খুব চাইতেন জোসেপাইনের গর্ভে যেন তাঁর সন্তান হয়, কিন্তু মাতৃত্ব ধারণে অক্ষম ছিলেন জোসেপাইন। কিন্তু চিরজীবন তাঁরা তাঁদের প্রতি ভালোবাসা ধরে রেখেছিলেন।
অরফিয়াস এবং ইউরিডাইস
অরফিয়াস অ্যান্ড ইরিডাইসঃ এটিও একটি গ্রীক মিথ। সাহিত্যে তাঁদের কাহিনীকে স্বীকৃত দেয়া হয়, “tale of desperate love” বলে। গ্রীক পুরাণ মতে, স্বর্গের এক বিবাহিত পরী ইরিডাইসের প্রেমে পড়েন হারপুন নামক এক বাদ্যবাজক অরফিয়াস। কিন্তু দেবতা এরিসটেইয়াসের সাথে এই দুর্ঘটনায় অরফিয়াস, ইরিডাইসকে হারিয়ে ফেলে। তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়াহয় পাতালপুরীতে। কিন্তু অরফিয়াস তাঁর জাদুকরীএক বাদ্য মূর্ছনায় হারপুন বাজিয়ে দেব- দেবীর মন জয় করে ফেলে। তিনি তাঁর রাজ্য ফেলে ক্রমাগত হারপুনবাজিয়ে তাঁর ভালোবাসা ইরিডাইসের জন্য নানা জায়গায় অপেক্ষা করেছেন। অবশেষে সঙ্গীত দেবতা হেডস ও পারসিফোনের ক্ষমায় অরফিয়াস পাতালপুরীতে জান ইরিডাইসকে উদ্ধার করতে। কিন্তু শর্ত থাকে যে, অরফিয়াস পৃথিবীতে অবতরণের আগে ইরিডাইসকে পিছন ফিরে দেখতে পারবেন না। কিন্তু অরফিয়াস অতি আবেগে আর উৎকণ্ঠায় দেবতাদের শর্তের কথা ভুলে যায়, এবং ইরিডাইসকে দেখতে থাকে। ফলাফল, চিরতরের জন্য ইরিডাইসকে হারিয়ে ফেলে। বলা হয়ে থাকে, এই যে প্রেম কিংবা বিরহে সঙ্গীত ও মিউজিক অনেক বড় ভূমিকা থাকে, সেটা নাকি অরফিয়াস আর ইরিডাইসের প্রেমকাহিনী থেকেই অনুপ্রাণিত হওয়া।
প্যারিস এবং হেলেন
প্যারিস অ্যান্ড হেলেনঃ গ্রীক পুরাণের ফ্যাক্ট এবং ফিকশনের অপূর্ব এক সংমিশ্রণ হল, গ্রীকলেখক কালজয়ী হোমারের জগতবিখ্যাত এপিক “ইলিয়াড।” নাম করা সেই যুদ্ধের নাম হল, “Trojan War!” যে যুদ্ধে ধ্বংস হয়েছিল পুরো একটা শহর- ট্রয়! ইতিহাসে যা “war for Helen” কিংবা “Helen of troy”নামে বিখ্যাত। গ্রীক পুরাণ অনুযায়ী অনন্য এই সুন্দরী হেলেন ছিলেন, ট্রয় নগরীর পার্শ্ববর্তী, স্পার্টার রাজা মেনেলাসের স্ত্রী। ট্রয়ের ছোট রাজকুমার প্যারিস তাঁকে চুরি করে তাঁর রাজ্যে নিয়ে এসেছিলেন। এতেই বেঁধে গেল ১২ বছর ধরে চলা এক ঐতিহাসিক যুদ্ধ। স্পার্টার পক্ষে এই যুদ্ধে নেতৃত্বদেন রাজা এগামেমনন। এমনকি এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন গ্রীক দেব ও দেবীরা! ট্রয় রাজকুমার হেক্টর, প্যারিস, দেবতা অ্যাকিলিস, স্পার্টার রাজা মেনেলাস সহ অনেকেই নিহত হন। প্রেমের জন্য এত রক্তপাত আর ধ্বংস পৃথিবীর ইতিহাসে আর নেই।
ট্রিস্টান এবং আইসোল্ড
ট্রিস্টান অ্যান্ড অ্যাইসোলেইডঃ অনন্য এই প্রেমের কথা আমরা জানতে পারি, মধ্য ইংরেজিয় শাসন আমলে। আয়ারল্যান্ডের রাজকুমারী ছিলেন অ্যাইসোলেইড, তিনি ছিলেন ক্রনওয়ালের রাজা মার্কের বাগদত্তা। তিনি রাজকুমারী অ্যাইসোলেইডকে নিজ রাজ্য ক্রনওয়ালে ফিরিয়ে আনার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাঁর ভাইয়ের ছেলে ট্রিস্টানকে। কিন্তু সেই ভ্রমণে ট্রিস্টান অ্যান্ড অ্যাইসোলেইড একে অপরের প্রেমে পড়ে যান। যদিও শেষ পর্যন্ত অ্যাইসোলেইড রাজা মার্ককেই বিয়ে করতে বাধ্য হন। কিন্তু তাঁদের প্রেমের কথা রাজ্যে গোপন থাকে না। রাজা মার্ক তাঁদের দুজনকেই মাফ করে দেন, এবং বিনিমিয়ে ট্রিস্টানকে রাজ্য ছেড়ে যেতে বাধ্য করেন। পরে ট্রিস্টান, অ্যাইসোলেইডের সাথে নামের মিল থাকার কারণে ইসেউল্ট নামক এক রমণীকে বিয়ে করেন। কিন্তু, তাঁর আত্মার পুরোটা জুড়ে ছিল অ্যাইসোলেইডের প্রতি প্রেম। এক পর্যায়ে ট্রিস্টান, অ্যাইসোলেইডের বিরহে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যান। তিনি অ্যাইসোলেইডকে শেষবারের মতো দেখতে একটি জাহাজ পাঠান। তাঁর স্ত্রী ইসেউল্টকে বলেছিলেন, অ্যাইসোলেইড যদি আসে, জাহাজে যেন সাদা পতাকা লাগানো হয়। কিন্তু স্ত্রী ইসেউল্ট মিথ্যে বলে, জাহাজে কালো পাতাকা লাগিয়ে রাখেন। ট্রিস্টান ভাবলেন অ্যাইসোলেইড আর আসবেন না। পরে তিনি মারা যান। পরে তাঁর শোকে অ্যাইসোলেইড, তাঁরই রাজ্যে মারা যান।
ল্যান্সলট এবং গিনিভার
ল্যাঞ্ছলট অ্যান্ড গুইনেভারাঃ আরেকটি রাজকীয় এবং সেই সঙ্গে ট্র্যাজিক লাভ স্টোরি গুলোর মধ্যে অন্যতম হল, এই আর্থারিয়ান প্রেম কাহিনী স্যার ল্যাঞ্ছলট অ্যান্ড লেডী গুইনেভারা। ইংলিশ কিং আর্থারের স্ত্রী, রাণী গুইনেভারার প্রেমে পড়েছিলেন সেই রাজ্যের বীর একজন নাইট, স্যার ল্যাঞ্ছলট। রাজা আর্থারের অবহেলা আর অবজ্ঞার কারণে, একসময় রাণী গুইনেভারাও তাঁর প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু একদিন, রাজা আর্থারের অপর নাইট স্যার আগ্রাভেইন, স্যার মোড্রেড এবং একদল সৈন্য এই যুগলকে বদ্ধ কামরায় আবিষ্কার করে ফেলে। পরকীয়ার অপরাধে রাণী গুইনেভারাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার শাস্তি ঘোষণা করা হয়। স্যার ল্যাঞ্ছলট তাঁর প্রেমিকা লেডী গুইনেভারাকে যুদ্ধ করে বাঁচিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়, কিন্তু তাঁদের এই প্রেমের জন্য পুরো রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং অনেক মৃত্যুর জন্য তাঁরা নিজেদের দায়ী করে, নিজেদের মধ্যে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে তাঁরা দুজনেই দুটি ভিন্ন জায়গায় ধর্মের সেবক হয়ে যান।
অ্যান্টনি এবং ক্লিওপেট্রা
এন্টোনি অ্যান্ড ক্লিওপার্টাঃ অনেকের মধ্যে অন্যতম আরেকটি অমর প্রেমগাঁথার নাম, মার্ক এন্টোনি- ক্লিওপার্টা। ঐতিহাসিক এবং একই সাথে দারুণ নাটকীয় এই প্রেম হয়, অনিন্দ সুন্দরী মিসরীয় রাণী ক্লিওপার্টা আর তাঁর প্রধান সেনাপতি এন্টোনির মাঝে। শক্তিশালী এবং ঐতিহাসিক চরিত্র দুটির মাঝের এই অমর প্রেম আকর্ষণীয়ভাবে আমাদের কাছে তুলে এনেছিলেন Shakespeare তাঁর যাদুকরী লিখনির মাধ্যমে। রাজকীয় ঘাত-প্রতিঘাত, জয়-পরাজয় উপেক্ষা করে তাঁরা বিয়ে করেছিলেন। পরবর্তীতে রোমানদের সাথে যুদ্ধরত এন্টোনির মনোবল ভাঙার জন্য, তাঁকে যুদ্ধের ময়দানে মিথ্যে সংবাদ শুনিয়েছিলেন যে, শত্রুরা ক্লিওপার্টাকে হত্যা করেছে। তারপর এন্টোনি নিজ ছুরিতে মৃত্যুবরণ করেন, অন্যদিকে এন্টোনির মৃত্যুসংবাদ শুনে মিসরীয় রাণী ক্লিওপার্টাও নিজ ছুরিতে আত্মহত্যা করেন। Shakespeare তাঁদের জন্য বলেছিলেন, “great love demands great sacrifices!”
রোমিও এবং জুলিয়েট
রোমিও এবং জুলিয়েটঃ"Never was a story of love nor woe that of Juliet and her Romeo." সবাই-ই মেনে থাকেন এই জুটিই, প্রেমের ইতিহাস বা গল্পগুলোর মধ্যে সর্বাধিক প্রচারিত বা সবচেয়ে বেশী বিখ্যাত। যেন ভালোবাসার অপর নাম রোমিও-জুলিয়েট। বিশ্ববিখ্যাত ইংরেজ লেখক, William Shakespeare এর কালজয়ী ট্রাজেডি হল এই “Romeo and Juliet!” দুটি ভিন্ন পরিবারের পূর্ববর্তী রেষারেষি, বংশীয় অহংকার ভেদ করে দুজন তরুণ-তরুণীর প্রথম দর্শনে প্রেমে পড়া। পরবর্তীতে পরিবারের বাঁধা, ভয় দেখানো, নানা মানসিক সংশয়- টানাপোড়ন সব উপেক্ষা করে নানা নাটকীয়তার মাঝে তাদের বিয়ে করা। এবং সবশেষে, তথ্যগত ভুল বোঝাবুঝিজনিত কারণে বিষপানে দুজনের মৃত্যু!! সব মিলিয়েই, রোমিও- জুলিয়েট কাহিনী হয়ে গেছে অমর এক প্রেম গাথা! তাই পৃথিবীতে যখনই প্রেমের জন্য ত্যাগ- তিতিক্ষার কথা বলা হয়, সবার আগেই উঠে আসে এই যুগলের নাম! যুগে যুগে অসংখ্য নাটক, সিনেমা বানানো হয়েছে এই “timeless love” নিয়ে।
১৫ জুন; ইতিহাসের এইদিনে
আফরোজা সুলতানা রত্না (মঞ্চ নাম শাবানা হিসাবেই অধিক জনপ্রিয়) চিত্র পরিচালক এহতেশাম চকোরী চলচ্চিত্রে তার শাবানা নাম প্রদান করেন। তিনি একজন বাংলাদেশী জীবন্ত কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। ১৯৬২ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে নতুন সুর চলচ্চিত্রে তার চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি অভিনয়ের জন্য ৯ বার ও প্রযোজক হিসেবে ১ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০১৭ সালে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন। তার পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে। তিনি ১৯৫২ সালের এইদিনে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ঢাকার গেন্ডারিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। অনলাইন ডেস্ক : ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা ভালো, যা মন্দ এবং মানবসভ্যতার জন্য অভিশাপ-আশীর্বাদ। পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণীজন। একের পর এক রচনা করেছেন এবং করছেন ইতিহাসের পাতা। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের আজকের এই দিনে কি কি ঘটেছিল। কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন। ঘটনাবলী : ৯২৩ – ফ্রান্সের রাজা প্রথম রবার্ট যুদ্ধে নিহত। ১২১৫ – ইংল্যান্ডের রাজা জন ব্যারনদের চাপে ম্যাগনা কার্টা ( অধিকার সনদে) স্বাক্ষর করেন । ১৭০৮ – বৃটিশ শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আন্দোলনরত স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতাকামীদেরকে কঠোরভাবে দমন করা হয়। ১৭৫২ – আমেরিকার বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ির সাহায্যে বিদ্যুতের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন। ১৭৫৯ – আওরঙ্গজেব আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রার সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৮০৮ – জোসেফ বোনাপার্ট স্পেনের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন। ১৮৩৬ – যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস ২৫তম রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ১৮৪৮ – জার্মানীর চ্যান্সেলর বিসমার্ক বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক বার্লিন শহরকে রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করেন। ১৮৫৪ – কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে প্রেসিডেন্সি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৫৫ – ব্রিটেনে সংবাদপত্রের উপর থেকে কর তুলে দেওয়া হয়। ১৮৯৬ – জাপানে ভূমিকম্প ও জলোচ্ছ্বাসে ২৭ হাজার নিহত। ১৯০৪ – নিউইয়র্কে জাহাজ ডুবে ১২ হাজার পর্যটকের মৃত্যু। ১৯০৮ – কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ চালু হয়। ১৯৪১ – নাৎসি বাহিনীর হাতে প্যারির পতন ঘটে। ১৯৬০ – বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। ১৯৭৭ – দীর্ঘ ৪০ বছর পর স্পেনে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৮ – জর্ডানের বাদশা হোসেন আমেরিকান লিসা হালাবিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি নুর নাম গ্রহণ করেন। তখন থেকেই তিনি রানি নুর হিসেবে পরিচিত। ১৯৭৯ – পরমাণু অস্ত্র সীমিতকরণ সংক্রান্ত স্ট্রাটেজিক আর্মস্ লিমিটেশন টকস্ সংক্ষেপে “সল্ট-দুই” চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৮২ – রংপুর, যশোর ও কুমিল্লায় হাইকোর্ট স্থাপন। ১৯৯৩ – বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যায়। ১৯৯৪ – ইসরায়েল এবং ভ্যাটিকান সিটির মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। জন্ম : ১৮৭৮ – মারগারেট অ্যাবট মার্কিন গল্ফ খেলোয়াড়, আমেরিকার প্রথম অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ান। ১৮৮৪ – তারকনাথ দাস, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা এবং একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বুদ্ধিজীবী। ১৮৯৯ – দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী, ভারতীয় ভাস্কর,চিত্রশিল্পী এবং ললিত কলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি। ১৯১৫ – নোবেলজয়ী (১৯৫৪) মার্কিন চিকিৎসক টমাস ওয়েলার। ১৯১৬ – নোবেলজয়ী (১৯৭৮) মার্কিন অর্থনীতিবিদ হার্বটি আলেকজান্ডার। ১৯৩৩ – কাজী মুতাসিম বিল্লাহ, বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত। ১৯৩৭ – লেখক শামসুজ্জামান খান। ১৯৩৮ – বিদিত লাল দাস, বাংলাদেশী বাউল গায়ক ও সুরকার। ১৯৫২ – শাবানা, বাংলাদেশি অভিনেত্রী। ১৯৭০- বাংলাদেশের টেলিভিশন জগতের একসময়ের দারুণ জনপ্রিয় অভিনেতা লিটু আনাম। ১৯৮২ – আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম খেলোয়াড়। মৃত্যু : ১৩৮৯ – প্রথম মুরাদ, উসমানীয় সুলতান। ১৮৪৯ – জেমস কে. পোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি। ১৯৭০ – রবার্ট মরিসন ম্যাকাইভার, একজন স্কটীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সমাজবিজ্ঞানী। ১৯৭১ – ওয়েন্ডেল মেরেডিথ স্ট্যানলি ১৯৪৬ সালে নোবেলজয়ী মার্কিন রসায়নবিদ এবং ভাইরাসবিদ। ১৯৮৬ – ভারতে বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দলের (R.S.P.) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য তারাপদ লাহিড়ী। ১৯৮৮ – রথীন্দ্রকান্ত ঘটক চৌধুরী, প্রাবন্ধিক, রবীন্দ্র গবেষক এবং সমাজ কর্মী। ১৯৯১ – আর্থার লিউইস, অর্থনীতিবিদ। ১৯৯৫ – জন ভিনসেন্ট আটানসফ, বুলগেরীয় বংশোদ্ভুত একজন মার্কিন পদার্থবিদ। ২০০৯ – অমলেন্দু চক্রবর্তী, প্রখ্যাত বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার এবং প্রাবন্ধিক। ২০১৩ – কেনেথ জি উইলসন, মার্কিন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী। ২০১৪ – রেজাউল বারী ডিনা, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। ২০২০ – বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান, রাজনীতিবিদ, সিলেট সিটি কর্