আবরণ
New first |
Old first |
যে কারনে মেয়েদের যৌবন শেষ হয়েও শেষ হয় না
মেয়েদের গড়ে ১২ বছর বয়সের পর থেকেই স্বাভাবিক ঋতুচক্র শুরু হয়৷আবার একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর এটি বন্ধও হয়ে যায়৷ মহিলাদের ঋতুচক্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরবর্তী সময়কে মেনোপজ বলা হয়৷ মেনোপজের সময় বা সময় চলাকালীন মহিলাদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়৷ এটি হলেও মেয়েদের যৌবন শেষ হয় না। এর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভারতের একটি গণমাধ্যমে জানিয়েছেন বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দীপান্বিতা হাজারী। মেনোপজ কী? একটা বয়সের পরে মেয়েদের ঋতুচক্র বরাবরের মতো বন্ধ হয়ে যায়৷ ঋতুচক্রের বন্ধ হয়ে যাওয়াকেই মেনোপজ বলা হয়৷ মহিলাদের স্বাভাবিক ঋতুচক্র যে বয়সে বন্ধ হয় আমাদের দেশের আবহাওয়া ও পরিমণ্ডল অনুযায়ী মহিলাদের ঋতুচক্র সাধারণত ৪৮ বছর থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে বন্ধ হতে পারে৷ সেই হিসেবের গড় করলে ৫১ বছর বয়সকে মেনোপজের বয়স বলা যেতে পারে৷ মেনোপজ হওয়ার আগে উপসর্গ মেনোপজের প্রধান উপসর্গ হলো অনিয়মিত পিরিয়ড৷ অর্থাত্ প্রথমেই যে একেবারেই পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাবে তা কিন্তু নয়৷ দেখা যেতে পারে প্রথমে একমাসে দুইবার পিরিয়ড হলো৷ এরপর তিন মাস পিরিয়ড বন্ধ থাকল৷ আবার ফের চার মাস নিয়মিত পিরিয়ড হওয়ার পর আবার বন্ধ হলো৷এছাড়া অন্যান্য উপসর্গগুলো হলো কান-মাথা ঝাঁ ঝাঁ করা বা হট ফ্ল্যাশ, জয়েন্ট পেইন ইত্যাদি মেনোপজের সাধারণ উপসর্গ৷ নির্দিষ্ট বয়সের অনেক আগেই পিরিয়ড বন্ধ নির্দিষ্ট বয়সের অনেক আগে মেনোপজ হতেই পারে৷একে আর্লি মেনোপজ বলা হয়৷ কিন্তু এটা একেবারেই কম৷ এটা খুব বিরল, যা হয়ত পরিসংখ্যানেও আসে না৷ যাদের আর্লি মেনোপজ হয় যেহেতু সময়ের অনেক আগেই মেনোপজ হয়ে যায়, ফলে শারীরিক সমস্যা দেখা তো দিতেই পারে৷মেয়েদের শরীরে মূলত দু’টি হরমোন থাকে ইস্ট্রোজেন আর প্রোজেস্টেরন৷ মেনোপজ হওয়া মানে ইস্ট্রোজেন ক্ষরণ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়া৷ এর ফলে পরবর্তী ক্ষেত্রে সন্তানধারণ তো আর সম্ভব হবেই না, তার সঙ্গে খিটখিটে স্বভাব, জয়েন্ট পেইন, মুড ফ্ল্যাশ হতে পারে৷ যাদের অল্প বয়সেই মেনোপজ হয়, তাদের মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকে না বলেই পারিবারিক জীবনে বা স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে এর ছাপ পড়তে পারে৷ আর্লি মেনোপজের কারণ সেইভাবে নির্দিষ্ট করে আর্লি মেনোপজের কোন কারণ নেই৷বলা যেতে পারে সবই প্রকৃতির খেয়াল৷আর একটা কারণ রয়েছে৷ যদিও সেটাও নির্দিষ্ট নয় সেটা হলো হেরিডিটি বা বংশগত৷কোন মহিলার মা, মাসি বা পারিবারের অন্য কারোর আর্লি মেনোপজ হলে জিনগতভাবে এটি হতে পারে৷ মেনোপজের ফলে স্বাভাবিক জীবনে পরিবর্তন মেয়েদের যৌবন আসারপর জীবনে চারটি পর্যায় রয়েছে৷ঋতুচক্রের শুরু, সন্তানের জন্ম, ব্রেস্ট ফিডিং ও মেনোপজ৷ এগুলো সবই হরমোনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত৷ মেনোপজ হওয়া মানেই হরমোনের ক্ষরণ বন্ধ হয়ে যাওয়া৷ফলে শরীরে কিছু পরিবর্তন আসতেই পারে৷ মেজাজ ঠিক না থাকা জয়েন্ট পেইন ইত্যাদি৷তবে এটা যেহেতু পুরো বিষয়টাই প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। তাই ধীরে ধীরে পাঁচ-দশ বছর পর শরীর আপনা থেকে এটি মেনে নেয়৷ফলে তেমন কোনও সমস্যা দেখা যায় না৷ অনেকেই মনে করেন, মেনোপজ হওয়া মানেই হয়তো মেয়েদের যৌবন শেষ হয়ে গেল তা কিন্তু একেবারেই নয়৷ এসময় নির্দ্বিধায় তারা যৌনতা উপভোগ করতে পারেন৷ কন্ট্রাসেপশনের ভয়ও থাকে না৷স্বামীর সঙ্গে খোলামেলা সম্পর্কে কোন সমস্যা হয় না৷ কিন্তু এগুলো ছাড়া যদি অন্য কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, তবে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে৷ বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের চিকিত্সা পদ্ধতি ও মেডিসিন রয়েছে৷ ফলে তেমন কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়৷ মেনোপজের সঙ্গে মানসিক স্থিতি মেনোপজের ফলে ত্বক খারাপ হয়ে যেতে পারে৷ অনেকে খুব মোটা হয়ে যান বা রোগা হয়ে যান৷সেই কারণে অনেকে মানসিক অবসাদে ভুগতে পারেন৷অনেকে মনে করেন, পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া মানেই হয়ত মেয়েদের যৌবন চলে যাওয়া৷ সেই কারণে মহিলাদের অবসাদ দেখা যায়৷তবে এটা পুরোটাই কল্পিত৷ এছাড়া হরমোনের ক্ষরণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে মেজাজ খারাপ থাকা, হঠাত্ রাগ হওয়া ইত্যাদি হতেই পারে৷ অনেক সময় দেখা যায়, মহিলা যে কথাগুরো বলতে চান না সেগুলোও বলে ফেলছেন৷ এটাও মানসিক ভারসাম্য হারানোর একটি লক্ষণ৷ এসময় মন ভারো রাখতে মেনোপজের সময় মন ভালো রাখার জন্য মেয়েদের নিজেদেরই সচেতন হতে হবে৷ নিজের সঠিক খেয়াল নিতে হবে৷ সবচেয়ে যেটা জরুরি সেটা হলো মেয়েদের নিজের কর্মজগত্৷ বিভিন্ন কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখলে মানসিক অবসাদের সম্ভাবনা থাকবে না৷ মেনোপজ চলাকালীন ডায়েট মেয়েরা সারাজীবনই স্বামী বা পরিবারের বাইরে নিজের খেয়াল রাখার কথা ভুলে যান৷ অনেক সময় ঠিক মতো খাওয়া দাওয়াও করেন না৷ কিন্তু মেনোপজের সময় কিন্তু বিশেষ যত্ন দরকার৷ কারণ মেয়েদের মধ্যে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা যায়৷ তাই, এই সময় একেবারে ব্যালেন্স ডায়েট প্রয়োজন৷ অর্থাত্ খুব বেশি খাবারও নয় আবার খুব কম খাবারও নয়৷ ফল অবশ্যই খেতে হবে৷ এছাড়া দু’বেলা টক দইয়
স্বামী-স্ত্রীর যে ১০ ভুলে সন্তান হয়না সারাজীবন
বয়স বাড়ার সঙ্গে নারীর সন্তান ধারণ ক্ষমতা প্রাকৃতিকভাবেই খানিকটা কমে আসে। শুধু তা-ই নয়, জীবনযাপনের আরো কিছু বিষয় সন্তান ধারণক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। চলুন বিস্তারিত জেনে নিন- ১. অতিরিক্ত ওজন অতিরিক্ত ওজন সন্তান না হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। এটি শরীরের হরমোনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে এবং নারীর সন্তান ধারণ ক্ষমতাকে অত্যন্ত জটিল করে তোলে। এর ফলে নারীর জরায়ুর কার্যক্ষমতাও হ্রাস পায়। ২০০৯ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, ১৮ বছর বয়সের যেসব নারী ওজনাধিক্যের সমস্যায় রয়েছেন, তাঁরা জরায়ুর বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হন এবং তাঁদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমে যায়। ২. রুগ্ন শরীর অতিরিক্ত ওজন যেমন সন্তান ধারণ ক্ষমতা হ্রাস করে, তেমনি খুব বেশি পাতলা হওয়াও ক্ষতিকর। বেশি চিকন হলে নারীর দেহে ল্যাপটিন হরমোনের অভাব হয়। এই হরমোন ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরে এই হরমোনের ঘাটতি হলে ঋতুচক্রের সমস্যা হয়। তাই গবেষকদের মতে, উচ্চতা এবং ওজনের সামঞ্জস্য বজায় রাখুন। সুষম খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন ঠিক রাখুন। এটি নারীর বন্ধ্যত্ব দূর করতে সাহায্য করে। ৩. বয়স বেশি হওয়া যখন নারীর ঋতুচক্র স্বাভাবিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়, তখন সে আর সন্তান ধারণ Child capacity করতে পারে না। ঋতুচক্র একবারে বন্ধ হয়ে যাওয়াকে মেনোপজ বলে। তবে যদি মেনোপজের ঠিক আগের পর্যায়ে শরীরে ইসট্রোজেন বা প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যায় বা একদমই নিঃসৃত না হয়, তখন তাকে পেরিমেনোপজ বলা হয়। মেনোপজ হয় সাধারণত ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। ৪৫ বছরের আগেই পেরিমেনোপজ হতে পারে। তাই অধিকাংশ চিকিত্সকের মতে, ৩৫ বছরের আগে সন্তান নেওয়া উচিত। এর পরে সন্তান ধারণক্ষমতা কঠিন হয়ে পড়ে। ৪. বংশগত কারণ যদি আপনার মায়ের মেনোপজ আগে হয়, তবে আপনারও আগে থেকেই মেনোপোজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। নারীরা জন্মায় কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক ডিম্বাণু নিয়ে এবং এই জিনিসটি বেশি হওয়া বা কম হওয়ার পেছনে জিনগত কারণও কাজ করে। এ রকম অনেক কিছুই নির্ভর করে বংশগত কারণে। গবেষকদের মতে, যদি পরিবারে দেরিতে সন্তান ধারণের ইতিহাস থাকে, তবে আপনারও দেরিতে সন্তান হতে পারে। ৬. মানসিক চাপ গবেষণায় বলা হয়, যেসব নারী দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকেন, তাঁদের সন্তান ধারণ ক্ষমতা Child capacity অনেক কমে যায়। কারণ, চাপ শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটায়। তবে চাপই এর একমাত্র কারণ নয়। গবেষকদের পরামর্শ, যেসব নারী সন্তান নিতে চাইছেন, তাঁদের চাপ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি শেখা খুব জরুরি। ৫. মদ্যপান মদ্যপানে অভ্যস্ত নারীদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি থাকে অনেক। ২০০৪ সালে সুইডিশ বিজ্ঞানীরা ১৮ বছর ধরে মদ্যপান করেন—এমন সাত হাজার নারীর ওপর গবেষণা করে দেখেন, তাঁদের সন্তান ধারণক্ষমতা অনেক কমে গেছে। তাই গবেষকদের পরামর্শ, যদি আপনি সন্তান নিতে চান, তবে অবশ্যই মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন। ৬. বেশি ব্যায়াম ব্যায়াম করা আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং শক্তি দেয়। যখন আপনি সন্তান নিতে চাইবেন, এটি খুব জরুরি। তবে আপনি যদি অতিরিক্ত ব্যায়াম করেন, এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যাঁরা দিনে পাঁচ ঘণ্টার বেশি ব্যায়াম করেন, তাঁদের এ আশঙ্কা থাকে। ৭. থাইরয়েড সমস্যা থাইরয়েড সমস্যা গর্ভধারণকে ব্যাহত করে। থাইরয়েড হলো এমন একটি গ্রন্থি, যা ঘাড়ের সামনের দিকে নিচের অংশে থাকে। এই থাইরয়েড থেকে অনেক হরমোন নিঃসৃত হয়। থাইরয়েডজনিত কোনো সমস্যা হলেও সন্তান ধারণ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। ৮. ক্যাফেইন আপনি যদি প্রচুর পরিমাণ ক্যাফেইন জাতীয় জিনিস খান, এটি আপনার গর্ভধারণকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। গবেষণায় বলা হয়, যাঁরা দিনে পাঁচ কাপের বেশি কফি পান করেন, তাঁদের এ সমস্যা হয়। তাই সন্তান নিতে চাইলে কফিপান কমিয়ে দেওয়ার পক্ষেই মতামত গবেষকদের। ৯. যৌন সমস্যা যৌন বাহিত রোগের কারণেও সন্তান ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। যেমন : সিফিলিস, গনোরিয়া, প্রদাহ ইত্যাদি। ১০. স্বাস্থ্যগত সমস্যা বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যার ফলে বন্ধ্যত্ব হতে পারে। পলিসাইটিক ওভারি সিনড্রোম, সিস্ট, এনডোমিটট্রিওসিস—এসব বিষয় অনেক সময় নারীর বন্ধ্যত্বের জন্য দায়ী। এছাড়া রিউমাটোয়েড আর্থ্রাইটিস অনেক সময় এর কারণ হয়। তাই এসব সমস্যা হলে আগে থেকে চিকিত্সা করাতে হবে, নয়তো সন্তান ধারণ করতে সমস্যা হতে পারে।
একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম
পোল্যান্ডে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দিলেন এক নারী। ছয় সন্তানের মধ্যে চারটি মেয়ে আর দুটি ছেলে। ওই নারীকে টুইটারে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রেজ দুদা। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একসঙ্গে ছয়টি বাচ্চার জন্ম দেওয়ার ঘটনাকে বলা হয় ‘সেক্সটুপলেটস’। পোল্যান্ডে এমন ঘটনা এবারই প্রথম। পৃথিবীতে প্রতি ৫০০ কোটি গর্ভধারণে একবার এমনটা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, সোমবার পোল্যান্ডের ক্রাকউ শহরের ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ২৯ বছর বয়সী এক নারী। মা এবং সদ্যজাত সন্তানরা সবাই ভাল আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের মুখপাত্র রিজজার্ড লুটারব্যাচ বলেছেন, ছ’টি বাচ্চার জন্ম দেওয়া ওই নারীর বয়স ২৯ বছর।’ মা ও তার বাচ্চারা সুস্থ আছেন। জানা গেছে, ছয় সদ্যজাত শিশুর মধ্যে দু’টি ছেলে এবং চারটি মেয়ে। তাদের ওজন ৮৯০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ৩০০ গ্রামের মধ্যে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গর্ভাবস্থার ২৯ সপ্তাহে ছ’টি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই নারী। এর আগে ওই নারীর দুই বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। সেক্সটুপলেট-এর পর ওই নারীকে টুইটারে অভিনন্দন জানিয়েছেন পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রেজ দুদা।
লামায় জয়িতা নির্বাচিত হলেন হাজেরা বেগম
“জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ কার্যক্রমের আওতায় বান্দরবানের লামা উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরস্কার পেয়েছেন হাজেরা বেগম। জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় “সফল জননী” নারী ক্যাটাগরীতে উপজেলা পর্যায়ে প্রথম জয়িতা পুরস্কার প্রদান করা হয়। রত্নগর্ভা হাজেরা বেগম সফল জননীর পাশাপাশি একজন কৃষাণী। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় লামা উপজেলা পরিষদ হলরুমে বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৪ পালন অনুষ্ঠানে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হোসেন চৌধুরী জয়িতা হাজেরা বেগমের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। তিনি লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড গগণ মাস্টার পাড়ার আবুল কালাম ও শামসুন্নাহার বেগমের মেয়ে, আবুল কালামের স্ত্রী এবং লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মামুন মিয়ার মা। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সামাজিক বিভিন্ন বাধাবিপত্তি পেরিয়ে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়া নারীদের স্বীকৃতসরূপ এ পুরস্কার দেওয়া হয়। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারাদেশের ন্যায় লামা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যৌথভাবে বেগম রোকেয়া দিবসের আয়োজন করে।
১৫ জুন; ইতিহাসের এইদিনে
আফরোজা সুলতানা রত্না (মঞ্চ নাম শাবানা হিসাবেই অধিক জনপ্রিয়) চিত্র পরিচালক এহতেশাম চকোরী চলচ্চিত্রে তার শাবানা নাম প্রদান করেন। তিনি একজন বাংলাদেশী জীবন্ত কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। ১৯৬২ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে নতুন সুর চলচ্চিত্রে তার চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি অভিনয়ের জন্য ৯ বার ও প্রযোজক হিসেবে ১ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০১৭ সালে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন। তার পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে। তিনি ১৯৫২ সালের এইদিনে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ঢাকার গেন্ডারিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। অনলাইন ডেস্ক : ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা ভালো, যা মন্দ এবং মানবসভ্যতার জন্য অভিশাপ-আশীর্বাদ। পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণীজন। একের পর এক রচনা করেছেন এবং করছেন ইতিহাসের পাতা। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের আজকের এই দিনে কি কি ঘটেছিল। কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন। ঘটনাবলী : ৯২৩ – ফ্রান্সের রাজা প্রথম রবার্ট যুদ্ধে নিহত। ১২১৫ – ইংল্যান্ডের রাজা জন ব্যারনদের চাপে ম্যাগনা কার্টা ( অধিকার সনদে) স্বাক্ষর করেন । ১৭০৮ – বৃটিশ শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আন্দোলনরত স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতাকামীদেরকে কঠোরভাবে দমন করা হয়। ১৭৫২ – আমেরিকার বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ির সাহায্যে বিদ্যুতের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন। ১৭৫৯ – আওরঙ্গজেব আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রার সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৮০৮ – জোসেফ বোনাপার্ট স্পেনের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন। ১৮৩৬ – যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস ২৫তম রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ১৮৪৮ – জার্মানীর চ্যান্সেলর বিসমার্ক বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক বার্লিন শহরকে রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করেন। ১৮৫৪ – কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে প্রেসিডেন্সি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৫৫ – ব্রিটেনে সংবাদপত্রের উপর থেকে কর তুলে দেওয়া হয়। ১৮৯৬ – জাপানে ভূমিকম্প ও জলোচ্ছ্বাসে ২৭ হাজার নিহত। ১৯০৪ – নিউইয়র্কে জাহাজ ডুবে ১২ হাজার পর্যটকের মৃত্যু। ১৯০৮ – কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ চালু হয়। ১৯৪১ – নাৎসি বাহিনীর হাতে প্যারির পতন ঘটে। ১৯৬০ – বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। ১৯৭৭ – দীর্ঘ ৪০ বছর পর স্পেনে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৮ – জর্ডানের বাদশা হোসেন আমেরিকান লিসা হালাবিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি নুর নাম গ্রহণ করেন। তখন থেকেই তিনি রানি নুর হিসেবে পরিচিত। ১৯৭৯ – পরমাণু অস্ত্র সীমিতকরণ সংক্রান্ত স্ট্রাটেজিক আর্মস্ লিমিটেশন টকস্ সংক্ষেপে “সল্ট-দুই” চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৮২ – রংপুর, যশোর ও কুমিল্লায় হাইকোর্ট স্থাপন। ১৯৯৩ – বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যায়। ১৯৯৪ – ইসরায়েল এবং ভ্যাটিকান সিটির মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। জন্ম : ১৮৭৮ – মারগারেট অ্যাবট মার্কিন গল্ফ খেলোয়াড়, আমেরিকার প্রথম অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ান। ১৮৮৪ – তারকনাথ দাস, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা এবং একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বুদ্ধিজীবী। ১৮৯৯ – দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী, ভারতীয় ভাস্কর,চিত্রশিল্পী এবং ললিত কলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি। ১৯১৫ – নোবেলজয়ী (১৯৫৪) মার্কিন চিকিৎসক টমাস ওয়েলার। ১৯১৬ – নোবেলজয়ী (১৯৭৮) মার্কিন অর্থনীতিবিদ হার্বটি আলেকজান্ডার। ১৯৩৩ – কাজী মুতাসিম বিল্লাহ, বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত। ১৯৩৭ – লেখক শামসুজ্জামান খান। ১৯৩৮ – বিদিত লাল দাস, বাংলাদেশী বাউল গায়ক ও সুরকার। ১৯৫২ – শাবানা, বাংলাদেশি অভিনেত্রী। ১৯৭০- বাংলাদেশের টেলিভিশন জগতের একসময়ের দারুণ জনপ্রিয় অভিনেতা লিটু আনাম। ১৯৮২ – আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম খেলোয়াড়। মৃত্যু : ১৩৮৯ – প্রথম মুরাদ, উসমানীয় সুলতান। ১৮৪৯ – জেমস কে. পোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি। ১৯৭০ – রবার্ট মরিসন ম্যাকাইভার, একজন স্কটীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সমাজবিজ্ঞানী। ১৯৭১ – ওয়েন্ডেল মেরেডিথ স্ট্যানলি ১৯৪৬ সালে নোবেলজয়ী মার্কিন রসায়নবিদ এবং ভাইরাসবিদ। ১৯৮৬ – ভারতে বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দলের (R.S.P.) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য তারাপদ লাহিড়ী। ১৯৮৮ – রথীন্দ্রকান্ত ঘটক চৌধুরী, প্রাবন্ধিক, রবীন্দ্র গবেষক এবং সমাজ কর্মী। ১৯৯১ – আর্থার লিউইস, অর্থনীতিবিদ। ১৯৯৫ – জন ভিনসেন্ট আটানসফ, বুলগেরীয় বংশোদ্ভুত একজন মার্কিন পদার্থবিদ। ২০০৯ – অমলেন্দু চক্রবর্তী, প্রখ্যাত বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার এবং প্রাবন্ধিক। ২০১৩ – কেনেথ জি উইলসন, মার্কিন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী। ২০১৪ – রেজাউল বারী ডিনা, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। ২০২০ – বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান, রাজনীতিবিদ, সিলেট সিটি কর্
নন্দিত অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফার জন্মদিন আজ
অভিনয় জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম সুবর্ণা মুস্তাফা। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয়ের আঙিনায় মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের নাট্যজগতে তাকে আইকন মানেন অনেকেই। আশির দশকে তিনি ছিলেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী। চলতি বছরের সুবর্ণা মুস্তাফার ক্যারিয়ারে যুক্ত হয়েছে কয়েকটি পালক। এই বছর অভিনয়ে বিশেষ অবদান রাখার জন্য একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। এরপর ঢাকা থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে হয়েছেন আওয়ামী লীগের এমপি। এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ঘোষণা হয়েছে। ‘গহীন বালুচর’ সিনেমার জন্য পার্শ্ব চরিত্রে এবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেতে যাচ্ছেন তিনি। আজ ২ ডিসেম্বর এই গুণী অভিনেত্রীর জন্মদিন। এবারে তিনি ৬০ বছরে পা রাখলেন। বিশেষ এই দিনটিতে প্রিয় অভিনেত্রীকে নানাভাবে নানা মাধ্যমে শুভেচ্ছায় সিক্ত করছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। পাশাপাশি তার সহকর্মীরাও তাকে অভিনন্দিত করছেন। জানা গেছে, ঘরোয়া আয়োজনেই নিজের জন্মদিন পালন করবেন সুবর্ণা মুস্তাফা। প্রখ্যাত অভিনেতা গোলাম মুস্তাফার মেয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা ১৯৫৯ সালের ২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে শিক্ষা লাভ করেছেন। শৈশব থেকেই বাবার অনুপ্রেরণাতেই সংস্কৃতির প্রতি ঝোঁক তৈরি হয়। নিজেকে জড়িয়ে নেন মডেলিং আর অভিনয়ের সাথে। প্রথমে মঞ্চে কাজ করলেও আশির দশকে টিভিতে অভিষেক ঘটে তার। মঞ্চ ও টিভি- দুই মাধ্যমেই জনপ্রিয়তা পান সুবর্ণা। তবে আলোচনায় আসেন ১৯৯০ সালে বিটিভিতে প্রচার হওয়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে বরকত উল্লাহর পরিচালনায় ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের মাধ্যমে। ওই নাটকে আসাদুজ্জামান নূরের করা কালজয়ী চরিত্র বাকের ভাইয়ের নায়িকা মুনা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুবর্ণা। সেই চরিত্র দিয়ে তিনি বাজিমাত করেছিলেন। তারপর নিয়মিতভাবেই তাকে হুমায়ূন আহমেদের নাটকে কাজ করতে দেখা যায়। তার মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়তা পায় ‘আজ রবিবার’ নাটকটি। আর ১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত মুস্তাফিজুর রহমানের ‘শঙ্খনীল কারাগার’ ছবি দিয়েও দর্শকদের মনে দোলা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে আসাদুজ্জামান নূর ও ডলি জহুরের ছোট বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন সুবর্ণা। তবে চলচ্চিত্রে সুবর্ণার অভিষেক ঘটে ১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ‘ঘুড্ডি’র মাধ্যমে। নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে সাফল্য পেলেও তিনি নিয়মিত গড়পড়তা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি। কিছু জীবন ঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্রে তার উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে মূলধারার কিছু সিনেমাতেও তার উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। ‘নয়নের আলো’ সিনেমাতে তার অভিনয় সব শ্রেণির দর্শককে নাড়া দিয়েছিল। ১৯৮৩ সালে ‘নতুন বউ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান। সুবর্ণা মুস্তাফা ব্যক্তিজীবনে ভালোবেসে দাম্পত্য গড়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদির সাথে। সেই সংসার ২০০৮ সালে ভেঙে গেলে তিনি পুনরায় বিয়ে করেন নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার বদরুল আলম সৌদকে। সুখেই কাটছে সেই সংসার।