Bangla Surah Bangla List of Surah
New first |
Old first |
Surah Kausar Bangla Pronunciation
সূরা কাউসার বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:- সূরা কাউসার, পবিত্র কোরআনের সব থেকে ছোট সূরা। এর আয়াত সংখ্যা তিন। এটি মাক্কী সূরার অন্তর্ভুক্ত। সূরা কাউসারে আল্লাহ তায়ালা রাসূল সা.-কে হাউজে কাউসারের সুসংবাদ দান করেছিলেন এবং তাঁর দুশমনদের শত্রুরতার জবাব দিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ছেলে কাসেম বা ইবরাহিম শৈশবেই মারা যাওয়ার পর মক্কার কাফেরেরা আল্লাহর রাসূলকে নির্বংশ বলে দোষারোপ করতে লাগলো। তাদের মধ্যে কাফির আস ইবনে ওয়ায়েলের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার সামনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোনও আলোচনা হলে সে বলতো, আরেহ, তার কথা বাদ দাও। সে তো কোনও চিন্তারই বিষয় নয়। কারণ, সে নির্বংশ। তার মৃত্যুর পর তার নাম উচ্চারণের মতো আর কেউ থাকবে না। এর প্রেক্ষিতে সূরা কাউসার নাজিল করেন আল্লাহ তায়ালা। -(ইবনে কাসির, মাযহারী) সূরা কাউসার : اِنَّاۤ اَعۡطَيۡنٰكَ الۡكَوۡثَرَؕ ١ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانۡحَرۡ ؕ ٢ اِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الۡاَبۡتَرُ সূরা কাউসারের বাংলা উচ্চারণ : ১.ইন্নাআ‘তাইনা-কাল কাওছার। ২.ফা-সালিল লিরাব্বিকা ওয়ানহার। ৩. ইন্না শা-নিআকা হুওয়াল আবতার।সূরা কাউসারের অর্থ : নিশ্চয় আমি আপনাকে আল-কাউসার দান করেছি। কাজেই তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নামায আদায় কর এবং কুরবানী কর। (তোমার নাম-চিহ্ন কোন দিন মুছবে না, বরং) তোমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীরাই নির্বংশ। (সূরা কাউসার, আয়াত : ১-৩)
Surah Kafirun Bangla Pronunciation
সূরা কাফিরুনের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:- সূরা কাফিরুন পবিত্র কোরআনের ১০৯ নম্বর সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ০৬। মক্কায় নাজিল হওয়া এই সূরাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ সূরায় তাওহিদের শিক্ষা এবং মুশরিকদের সঙ্গে সম্পর্কহীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই সূরায় কাফিরদের লোভনীয় প্রস্তাব এবং তাদের ভ্রান্ত মতবাদ বাতিল ঘোষণা করা হয়। সূরা কাফিরুন قُلۡ یٰۤاَیُّہَا الۡکٰفِرُوۡنَ ۙ ١ لَاۤ اَعۡبُدُ مَا تَعۡبُدُوۡنَ ۙ ٢ وَلَاۤ اَنۡتُمۡ عٰبِدُوۡنَ مَاۤ اَعۡبُدُ ۚ ٣ وَلَاۤ اَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدۡتُّمۡ ۙ ٤ وَلَاۤ اَنۡتُمۡ عٰبِدُوۡنَ مَاۤ اَعۡبُدُ ؕ ٥ لَکُمۡ دِیۡنُکُمۡ وَلِیَ دِیۡنِ ٪ ٦ সূরা কাফিরুনের বাংলা উচ্চারণ ১. কুল ইয়া-আইয়ুহাল কা-ফিরূন। ২. লা-আ‘বুদুমা-তা‘বুদূন। ৩. ওয়ালা-আনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ। ৪. ওয়ালা-আনা ‘আ-বিদুম মা-‘আবাত্তুম। ৫. ওয়ালা-আনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ। ৬. লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন। সূরা কাফিরুনের বাংলা অর্থ বলে দাও, হে সত্য-অস্বীকারকারীগণ!আমি সেই সব বস্তুর ইবাদত করি না, যাদের ইবাদত তোমরা কর,এবং তোমরা তাঁর ইবাদত কর না যার ইবাদত আমি করি। এবং আমি (ভবিষ্যতে) তার ইবাদতকারী নই, যার ইবাদত তোমরা কর। এবং তোমরাও তার ইবাদতকারী নও, যার ইবাদত আমি করি। তোমাদের জন্য তোমাদের দীন এবং আমার জন্য আমার দীন। (সূরা কাফিরুন, আয়াত : ১-৬)
Surah Nasor Bangla Pronunciation
সূরা নাসরের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:- সূরা নাসর পবিত্র কোরআনের ১১০ নম্বর সূরা। এর আয়াত সংখ্যা তিন। সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ। এই সূরায় মহানবী সা.-কে মক্কা বিজয়ের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। এইসঙ্গে দুনিয়ায় তার বেশি দিন হায়াত নেই তাও বুঝানো হয়েছিল। তাই তাকে আল্লাহ তায়ালার হামদ ও তাসবীহতে রত হয়ে এবং তাঁর কাছে মাগফিরাত প্রার্থনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূরা নাসর اِذَا جَآءَ نَصۡرُ اللّٰہِ وَالۡفَتۡحُ ۙ ١ وَرَاَیۡتَ النَّاسَ یَدۡخُلُوۡنَ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰہِ اَفۡوَاجًا ۙ ٢ فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّکَ وَاسۡتَغۡفِرۡہُ ؕؔ اِنَّہٗ کَانَ تَوَّابًا ٪ ٣ সূরা নাসরের বাংলা উচ্চারণ ১. ইযা-জা-আ-নাসরুল্লা-হি ওয়াল ফাতহ। ২. ওয়া-রাআই-তান্না-ছা ইয়াদ-খুলূনা ফী দীনিল্লা-হি আফওয়া-জা। ৩. ফাছাব্বিহ-বিহামদি-রাব্বিকা ওয়াছ-তাগফিরহু-ইন্নাহূকা-না তাওওয়া-বা। সূরা নাসরের বাংলা অর্থ যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে। এবং তুমি মানুষকে দেখবে দলে দলে আল্লাহর দীনে প্রবেশ করছে। তখন তুমি তোমার প্রতিপালকের প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করো ও তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল। (সূরা নাসর, আয়াত : ১-৩)
Surah Lahab Bangla Pronunciation
সূরা লাহাবের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:- সূরা লাহাব পবিত্র কোরআনের ১১১ নম্বর সূরা। এর আয়াত সংখ্যা পাঁচ। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ এবং কোরআনের ৩০ তম পারায় অবস্থিত। সূরা লাহাবের শানে নুযুল আল্লাহ তায়ালা যখন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর এই আয়াত নাজিল করলেন- (وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ) ‘আর আপনি আপনার গোত্রের নিকটাত্মীয়দেরকে ভীতি প্রদর্শন করুন।’ (সূরা আশ-শু'আরা, আয়াত, ২১৪) তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাফা পর্বতে আরোহণ করে কোরাইশ গোত্রের লোকদের ডাক দিলেন। ডাক শুনে কোরাইশ গোত্র পর্বতের পাদদেশে একত্রিত হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যদি আমি বলি যে, একটি শত্রুদল ক্রমশই এগিয়ে আসছে এবং সকাল বিকাল যে কোনো সময় তোমাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়বে, তবে তোমরা আমার কথা বিশ্বাস করবে কি? সবাই একবাক্যে বলে উঠল, হ্যাঁ, অবশ্যই বিশ্বাস করব। এরপর তিনি বললেন, আমি (শিরক ও কুফরের কারণে আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত) এক ভীষণ আজাব সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ক করছি। এ কথা শুনে আবু লাহাব বলল, ধ্বংস হও তুমি, এজন্যেই কি আমাদেরকে একত্রিত করেছ? একথা বলে সে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে পাথর মারতে উদ্যত হল। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সূরা লাহাব অবতীর্ণ হয়। (বুখারি, হাদিস, ৪৯৭১, ৪৯৭২, মুসলিম, হাদিস, ২০৮) সূরা লাহাব: بّتَبَّتۡ یَدَاۤ اَبِیۡ لَہَبٍ وَّتَبَّ ؕ ١ مَاۤ اَغۡنٰی عَنۡہُ مَالُہٗ وَمَا کَسَبَ ؕ ٢ سَیَصۡلٰی نَارًا ذَاتَ لَہَبٍ ۚۖ ٣ وَّامۡرَاَتُہٗ ؕ حَمَّالَۃَ الۡحَطَبِ ۚ ٤ فِیۡ جِیۡدِہَا حَبۡلٌ مِّنۡ مَّسَدٍ সূরা লাহাবের বাংলা উচ্চারণ : ১. তাব্বাত ইয়াদা-আবী লাহাবিওঁ ওয়া তাবব। ২. মা-আগনা-‘আনহু মা-লুহূ-ওয়ামা-কাছাব। ৩. ছা-ইয়াস-লা-না-রান যা-তা লাহাব। ৪. ওয়াম-রাআতুহূ; হাম্মা-লাতাল হাতাব। ৫. ফী জীদি-হা-হাবলুম মিম মাছাদ। সূরা লাহাবের বাংলা অর্থ : আবু লাহাবের দু’হাত ধ্বংস হোক এবং সে নিজে ধ্বংস হয়েই গেছে। তার সম্পদ ও তার উপার্জন তার কোন কাজে আসেনি। অচিরেই সে লেলিহান আগুনে প্রবেশ করবে। অচিরেই সে লেলিহান আগুনে প্রবেশ করবে। গলদেশে মুঞ্জ (তৃণ বিশেষ)-এর রশি লাগানো অবস্থায়। (সূরা লাহাব, আয়াত : ১-৫)
Surah Ikhlas Bangla Pronunciation
সূরা ইখলাসের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:- সুরা ইখলাস, পবিত্র কোরআনের অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও ছোট আয়াত বিশিষ্ট্য সূরাগুলোর একটি। এর আয়াত সংখ্যা চারটি। এটি মাক্কী সূরার অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তায়ালার সম্পর্কে কাফেরদের যথাযথ জ্ঞানের অভাব এবং আল্লাহর একত্ববাদের বর্ণনা করতে এই সূরা নাজিল হয়েছে। এই সুরার মাধ্যমে তাওহিদের আকিদাকে দৃঢ় ও প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই সুরা ফজিলত সম্পর্কে অনেকগুলো হাদিস বর্ণিত হয়েছে, তবে এখানে এতটুকু বলাই যথেষ্ট হবে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিন শুরু করতেন এই সুরা তেলাওয়াতের মাধ্যমে এবং দিন শুরু করতেন এই সুরা তেলাওয়াতের মাধ্যমে। কারণ তিনি অধিকাংশ সময় ফজরের সুন্নাত ও সালাতুল বিতরে সুরা ইখলাস ও সুরা কাফিরুন তেলাওয়াত করতেন। (তাফসির ফী যিলালিল কোরআন ৬/৪০০৫) সূরা ইখলাস : قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ - اللَّهُ الصَّمَدُ - لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ - وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ সূরা ইখলাসের বাংলা উচ্চারণ : ১. কুল হুয়াল্লাহু আহাদ। ২. আল্লাহুচ্ছামাদ। ৩.লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ৪. ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।’ সূরা ইখলাসের বাংলা অর্থ : ১. বল, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়। ২. আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন। ৩. তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও জন্ম দেয়া হয়নি। ৪. আর তার কোন সমকক্ষও নেই। (সূরা ইখলাস, আয়াত : ১-৪)
Surah Falak Bangla Pronunciation
সূরা ফালাকের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:- সূরা ফালাক পবিত্র কোরআনের ১১৩ তম সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ৫। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ। শয়তানের আক্রমণ ও জাদুটোনাসহ সব ধরনের অনষ্টিতা থেকে মুক্ত থাকতে— এ সূরার নিয়মিত আমলই মানুষের জন্য যথেষ্ট। সূরাটিতে মহান আল্লাহ তায়ালা তার কাছে আশ্রয় চাওয়ার কৌশল তুলে ধরেছেন। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় সূরাটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থসহ সুরাটির উচ্চারণ তুলে ধরা হলো— সূরা ফালাক قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ - مِن شَرِّ مَا خَلَقَ - وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ - وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ - وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ সূরা ফালাকের বাংলা উচ্চারণ : কুল আউজু বিরাব্বিল ফালাক্ব; মিন শাররি মা খালাক্ব; ওয়া মিন শাররি গাসিক্বিন ইজা ওয়াক্বাব; ওয়া মিন শাররিন নাফ্ফাছাতি ফিল উক্বাদ; ওয়া মিন শাররি হাসিদিন ইজা হাসাদ। (মাখরাজসহ বিশুদ্ধ উচ্চারণ শিখে নেয়া জরুরি) সূরা ফালাকের বাংলা অর্থ : বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে। অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়, গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে। (সূরা ফালাক, আয়াত : ১-৫)
Surah Nas Bangla Pronunciation
সূরা নাসের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:- সূরা নাস পবিত্র কোরআনের একটি ফজিলতপূর্ণ সূরা। সূরাটি কোরআনের ১১৪তম ও সর্বশেষ সূরা। এই সুরা মদিনায় অবতীর্ণ। এর আয়াত সংখ্যা ৬, রুকু ১। ফজিলত হাদিস শরিফে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তা পড়ার গুরুত্ব এসেছে। এক বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা সূরা ইখলাস ও এই দুই সূরা পড়বে সে সকল বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ২৯০৩) হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন নিজের উভয় হাত এক সঙ্গে মিলাতেন। তারপর উভয় হাতে ফুঁক দিতেন এবং সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস পড়তেন। তারপর দেহের যতটুকু অংশ সম্ভব হাত বুলিয়ে নিতেন। তিনি মাথা, মুখমণ্ডল ও শরীরের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। তিনি এরূপ তিনবার করতেন। -(সহি বুখারি, হাদিস : ৫০১৭) সূরা নাস : قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ النَّاسِ ۙ﴿۱﴾ مَلِکِ النَّاسِ ۙ﴿۲﴾﴾اِلٰهِ النَّاسِ ۙ﴿۳﴾مِنۡ شَرِّ الۡوَسۡوَاسِ ۬ۙ الۡخَنَّاسِ ۪ۙ﴿۴﴾الَّذِیۡ یُوَسۡوِسُ فِیۡ صُدُوۡرِ النَّاسِ ۙ﴿۵﴾مِنَ الۡجِنَّۃِ وَ النَّاسِ ﴿۶ সূরা নাসের বাংলা উচ্চারণ : ১.কুল আউযু বিরাব্বিন নাস। ২. মালিকিন্ নাস। ৩. ইলাহিন্ নাস। ৪. মিন্ শররিল ওয়াস্ ওয়াসিল খান্নাস। ৫. আল্লাযী ইউওযাসবিসু ফী ছুদুরিন্নাস। ৬.মিনা জিন্নাতি ওয়ান্নাস। (মাখরাজসহ বিশুদ্ধ উচ্চারণ শিখে নেয়া জরুরি) সূরা নাসের বাংলা অর্থ : ‘বলো, আমি শরণ নিচ্ছি মানুষের প্রতিপালকের, মানুষের অধীশ্বরের, মানুষের উপাস্যের, তার কুমন্ত্রণার অমঙ্গল হতে, যে সুযোগ মতো আসে ও সুযোগমতো সরে পড়ে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিন বা মানুষের মধ্য থেকে।’ (সূরা নাস, আয়াত : ১-৬)
List of Surah
Surah Nas Surah Falak Surah Ikhlas Surah Lahab Surah Nasor Surah Kafirun Surah Kausar Surah Maun Surah Kuraish Surah Fil Surah Humajah Surah Asor Surah Takasur Surah Kariah Surah Adiat Surah ZilZal Surah Baiinat Surah Kador Surah Alak 99 Surah Tin Surah Al Insirah / Nashrah Surah Duha Surah Lail Surah Ash Shams Surah Balad Surah Fajr Surah Ghashiya
Prev12Next
Surah Bayyinna Bangla Pronunciation
সূরা বায়্যিনাহর বাংলা অর্থ ও উচ্চারণ সূরা বায়্যিনাহ পবিত্র কোরআনের ৯৮ নম্বর সূরা। সূরাটি পবিত্র কোরআনের ৩০তম পারায় অবস্থিত। এর আয়াত সংখ্যা আট। এটি একটি মাদানি সূরা। সূরা বায়্যিনাহ لَمۡ یَکُنِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ وَالۡمُشۡرِکِیۡنَ مُنۡفَکِّیۡنَ حَتّٰی تَاۡتِیَہُمُ الۡبَیِّنَۃُ ۙ ١ رَسُوۡلٌ مِّنَ اللّٰہِ یَتۡلُوۡا صُحُفًا مُّطَہَّرَۃً ۙ ٢ فِیۡہَا کُتُبٌ قَیِّمَۃٌ ؕ ٣ وَمَا تَفَرَّقَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ اِلَّا مِنۡۢ بَعۡدِ مَا جَآءَتۡہُمُ الۡبَیِّنَۃُ ؕ ٤ وَمَاۤ اُمِرُوۡۤا اِلَّا لِیَعۡبُدُوا اللّٰہَ مُخۡلِصِیۡنَ لَہُ الدِّیۡنَ ۬ۙ حُنَفَآءَ وَیُقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَیُؤۡتُوا الزَّکٰوۃَ وَذٰلِکَ دِیۡنُ الۡقَیِّمَۃِ ؕ ٥ اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ وَالۡمُشۡرِکِیۡنَ فِیۡ نَارِ جَہَنَّمَ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمۡ شَرُّ الۡبَرِیَّۃِ ؕ ٦ اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ۙ اُولٰٓئِکَ ہُمۡ خَیۡرُ الۡبَرِیَّۃِ ؕ ٧ جَزَآؤُہُمۡ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ جَنّٰتُ عَدۡنٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَاۤ اَبَدًا ؕ رَضِیَ اللّٰہُ عَنۡہُمۡ وَرَضُوۡا عَنۡہُ ؕ ذٰلِکَ لِمَنۡ خَشِیَ رَبَّہٗ ٪ সূরা বায়্যিনাহর বাংলা উচ্চারণ : ১. লাম ইয়াকুনিল্লাযীনা কাফারু-মিন আহলিল কিতাবি ওয়াল মুশরিকীনা মুনফাক্কীনা হাত্তা-তা’তিয়াহুমুল বাইয়িনাহ। ২. রাছূলুম মিনাল্লাহি ইয়াতলূ-সুহুফাম মুতাহহারাহ। ৩.ফীহা-কুতুবুন কাইয়িমাহ। ৪. ওয়ামা- তাফাররাকাল্লাযীনা ঊতুলকিতাবা- ইল্লা- মিম বা‘দি মা- জাআতহুমুল বাইয়িনাহ। ৫. ওয়ামা-উমিরু-ইল্লা-লিয়া‘বুদুল্লাহা মুখলিসীনা লাহুদ্দীন, হুনাফাআ ওয়া-ইউকীমুসসালাতা ওয়া ইউ’তুঝঝাকাতা ওয়া যা-লিকা দীনুল কাইয়িমাহ। ৬.ইন্নাল্লাযীনা কাফারূ-মিন আহলিল কিতাবি ওয়াল মুশরিকীনা ফী না-রি জাহান্নামা খা-লিদীনা ফীহা- উ-লাইকা হুম শাররুল বারিইইয়াহ। ৭. ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূ-ওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি উলাইকা হুম খাইরুল বারিইইয়াহ। ৮.জাঝাউহুম ‘ইনদা রাব্বিহিম জান্না-তু‘ আদনিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহারু খা-লিদীনা ফীহাআবাদার, রাদিয়াল্লা-হু ‘আনহুম ওয়া রাদূ আনহু যা-লিকা লিমান খাশিয়া রাব্বাহ। সূরা বায়্যিনাহর বাংলা অর্থ : যারা কুফরী করেছে সেই কিতাবী ও মুশরিকগণ ততক্ষণ পর্যন্ত নিবৃত্ত হওয়ার ছিল না, যতক্ষণ না তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসে। অর্থাৎ আল্লাহর পক্ষ হতে একজন রাসূল, যে পবিত্র গ্রন্থ পড়ে শোনাবে। যাতে সরল-সঠিক বিষয় লেখা থাকবে। যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল, তারা পৃথক হয়ে গিয়েছিল তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পরই। তাদেরকে কেবল এই আদেশই করা হয়েছিল যে, তারা আল্লাহর ইবাদত করবে, আনুগত্যকে একনিষ্ঠভাবে তাঁরই জন্য খালেস রেখে এবং নামায কায়েম করবে ও যাকাত দেবে আর এটাই সরল সঠিক উম্মতের দীন। নিশ্চয়ই যারা কুফরী করেছে সেই কিতাবী ও মুশরিকগণ জাহান্নামের আগুনে যাবে, যেখানে তারা সর্বদা থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম। আর যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারাই সৃষ্টির সেরা। তাদের প্রতিপালকের কাছে তাদের পুরস্কার হল স্থায়ীবাসের জান্নাত, যার নিচে নহর প্রবাহিত থাকবে। সেখানে তারা সর্বদা থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি খুশী থাকবেন এবং তারাও আল্লাহর প্রতি খুশী থাকবে। এসব তার জন্য, যে তার প্রতিপালককে ভয় করে। (সূরা বাইয়্যিনাহ, আয়াত : ১-৮)
Surah Zilzal Bangla Pronunciation
সূরা যিলযালের বাংলা অর্থ ও উচ্চারণ সূরা যিলযাল পবিত্র কোরআনের ৯৯ নম্বর সূরা। এর আয়াত সংখ্যা আট। সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ। সূরা যিলযাল সম্পর্কে হজরত আনাস ও ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূরা যিলযালকে কোরআনের অর্ধেক বলেছেন, সূরা ইখলাসকে কোরআনের এক তৃতীয়াংশ এবং সূরা কাফিরূনকে কোরআনের এক চতুর্থাংশ বলেছেন। (মাযহারী, তাফসিরে মাআরেফুল কোরআন, ৮/৮৪৩) সূরা যিলযাল اِذَا زُلۡزِلَتِ الۡاَرۡضُ زِلۡزَالَہَا ۙ ١ وَاَخۡرَجَتِ الۡاَرۡضُ اَثۡقَالَہَا ۙ ٢ وَقَالَ الۡاِنۡسَانُ مَا لَہَا ۚ ٣ یَوۡمَئِذٍ تُحَدِّثُ اَخۡبَارَہَا ۙ ٤ بِاَنَّ رَبَّکَ اَوۡحٰی لَہَا ؕ ٥ یَوۡمَئِذٍ یَّصۡدُرُ النَّاسُ اَشۡتَاتًا ۬ۙ لِّیُرَوۡا اَعۡمَالَہُمۡ ؕ ٦ فَمَنۡ یَّعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّۃٍ خَیۡرًا یَّرَہٗ ؕ ٧ وَمَنۡ یَّعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّۃٍ شَرًّا یَّرَہٗ ٪ সূরা যিলযালের বাংলা উচ্চারণ : ১. ইযা-ঝুলঝিলাতিল আরদুঝিলঝা-লাহা। ২. ওয়া আখরাজাতিল আরদুআছকা-লাহা। ৩. ওয়া কা-লাল ইনছানু-মা-লাহা। ৪. ইয়াওমাইযিন তুহাদ্দিছু আখবা-রাহা। ৫. বিআন্না রাব্বাকা আওহা-লাহা। ৬. ইয়াওমা-ইযিইঁ ইয়াসদুরুন্নাছু-আশতা-তাল লিউউ-রাও আ‘মা-লাহুম। ৭. ফামাইঁ ইয়া‘মাল মিছকা-লা যাররাতিন খাইরাইঁ ইয়ারাহ। ৮. ওয়া মাইঁ ইয়া‘মাল মিছকা-লা যাররাতিন শাররাইঁ ইয়ারাহ। সূরা যিলযালের বাংলা অর্থ : যখন পৃথিবীকে আপন কম্পনে ঝাঁকিয়ে দেওয়া হবে। এবং ভূমি তার ভার বের করে দেবে, এবং মানুষ বলবে, তার কী হল?,সে দিন পৃথিবী তার যাবতীয় সংবাদ জানিয়ে দেবে। কেননা তোমার প্রতিপালক তাকে সেই আদেশই করবেন। সে দিন মানুষ বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে, কারণ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো হবে। সুতরাং কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করে থাকলে সে তা দেখতে পাবে। এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করে থাকলে তাও দেখতে পাবে। ( সূরা যিলযাল, আয়াত : ১-৮)
Surah Adiat Bangla Pronunciation
সূরা আদিয়াতের বাংলা অর্থ ও উচ্চারণ:- সূরা আদিয়াত পবিত্র কোরআনে ১০০ তম সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ১১। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ। এটি পবিত্র কোরআনের ৩০তম পারায় অবস্থিত। সূরা আদিয়াত وَالۡعٰدِیٰتِ ضَبۡحًا ۙ ١ فَالۡمُوۡرِیٰتِ قَدۡحًا ۙ ٢ فَالۡمُغِیۡرٰتِ صُبۡحًا ۙ ٣ فَاَثَرۡنَ بِہٖ نَقۡعًا ۙ ٤ فَوَسَطۡنَ بِہٖ جَمۡعًا ۙ ٥ اِنَّ الۡاِنۡسَانَ لِرَبِّہٖ لَکَنُوۡدٌ ۚ ٦ وَاِنَّہٗ عَلٰی ذٰلِکَ لَشَہِیۡدٌ ۚ ٧ وَاِنَّہٗ لِحُبِّ الۡخَیۡرِ لَشَدِیۡدٌ ؕ ٨ اَفَلَا یَعۡلَمُ اِذَا بُعۡثِرَ مَا فِی الۡقُبُوۡرِ ۙ ٩ وَحُصِّلَ مَا فِی الصُّدُوۡرِ ۙ ١۰ اِنَّ رَبَّہُمۡ بِہِمۡ یَوۡمَئِذٍ لَّخَبِیۡرٌ ٪ সূরা আদিয়াতের বাংলা উচ্চারণ : ১.ওয়াল আ-দিয়া-তি দাবহা। ২. ফাল মূরিয়া-তি কাদহা। ৩. ফাল মুগীরা-তি সুবহা-। ৪. ফাআছারনা বিহী নাক‘আ। ৫. ফাওয়া-ছাতানা বিহী জামআ। ৬. ইন্নাল ইনছা-না লিরাব্বিহী লাকানূদ। ৭. ওয়া ইন্নাহূ-আলা-যা-লিকা লাশাহীদ। ৮.ওয়া ইন্নাহূ-লিহুব্বিল খাইরি লাশাদীদ। ৯.আফালা-ইয়া‘লামু-ইযা-বু‘ছিরা মা-ফিল কুবূর। ১০. ওয়া হুসসিলা মা-ফিসসুদূর। ১১. ইন্না রাব্বাহুম বিহিম ইয়াওমা-ইযিল্লাখাবীর। সূরা আদিয়াতের বাংলা অর্থ : শপথ সেই ঘোড়াসমূহের, যারা ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ায়। তারপর যারা (খুরের আঘাতে) অগ্নিস্ফুলিঙ্গ উৎক্ষিপ্ত করে। তারপর প্রভাতকালে আক্রমণ চালায়। এবং তখন ধুলো উড়ায়। তারপর সেই সময়ই (শত্রু সৈন্যের) কোন ভীড়ের মাঝখানে ঢুকে পড়ে। মানুষ তার প্রতিপালকের বড়ই অকৃতজ্ঞ। এবং সে নিজেই এ বিষয়ে সাক্ষী। এবং বস্তুত সে ধন-সম্পদের ঘোর আসক্ত। তবে কি সে সেই সময় সম্পর্কে জ্ঞাত নয়, যখন কবরে যা-কিছু আছে তা বাইরে উৎক্ষিপ্ত হবে। এবং বুকের ভেতর যা-কিছু আছে, তা প্রকাশ করে দেওয়া হবে? নিশ্চয়ই তাদের প্রতিপালক সে দিন তাদের (যে অবস্থা হবে, সে) সম্পর্কে পরিপূর্ণ অবহিত। (১-১১)
Surah Qariah Bangla Pronunciation
সূরা কারিয়া বাংলা অর্থ ও উচ্চারণ:- সূরা আল কারিয়া পবিত্র কোরআনের ১০১ নম্বর সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ১১। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ। এটি পিবত্র কোরআনের ৩০ তম পারায় অবস্থিত। সূরা কারিয়ায় আল্লাহ তায়ালা কিয়ামত দিবসের বিভীষিকার আলোচনা তুলে ধরেছেন। এবং নেক আমল ও বদ আমলের ভিত্তিতে পরকালে মানুষের অবস্থানের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই সূরাতে। সূরা কারিয়া اَلۡقَارِعَۃُ ۙ ١ مَا الۡقَارِعَۃُ ۚ ٢ وَمَاۤ اَدۡرٰىکَ مَا الۡقَارِعَۃُ ؕ ٣ یَوۡمَ یَکُوۡنُ النَّاسُ کَالۡفَرَاشِ الۡمَبۡثُوۡثِ ۙ ٤ وَتَکُوۡنُ الۡجِبَالُ کَالۡعِہۡنِ الۡمَنۡفُوۡشِ ؕ ٥ فَاَمَّا مَنۡ ثَقُلَتۡ مَوَازِیۡنُہٗ ۙ ٦ فَہُوَ فِیۡ عِیۡشَۃٍ رَّاضِیَۃٍ ؕ ٧ وَاَمَّا مَنۡ خَفَّتۡ مَوَازِیۡنُہٗ ۙ ٨ فَاُمُّہٗ ہَاوِیَۃٌ ؕ ٩ وَمَاۤ اَدۡرٰىکَ مَا ہِیَہۡ ؕ ١۰ نَارٌ حَامِیَۃٌ ٪ ١١ সূরা কারিয়া বাংলা উচ্চারণ : আল-ক্বারিয়াহ। মাল-ক্বারিয়াহ। ওয়ামা-আদরাক্বামাল-ক্বারিয়াহ। ইয়াওমা ইয়াকুনু-ন্নাছুকাল-ফারাশিল-মাবছুত। ওয়াতাকুনুল-জিবালু-কাল-ইহনিল-মাংফুশ। ফা-আম্মা-মাং-ছাকুলাত মাওয়াঝিনুহ, ফাহুয়া-ফি-ইশাতিররাদ্বিয়াহ। ওয়াম্মা মাং-খাফফাত মাওয়া ঝি-নুহ। ফাউম্মুহু হা-উয়াহ। ওয়ামা আদ্বরাকামাহিয়া। নারুন-হামিয়াহ। সূরা কারিয়া বাংলা অর্থ : (স্মরণ কর) সেই ঘটনা, যা (অন্তরাত্মা) কাঁপিয়ে দেবে। (অন্তরাত্মা) প্রকম্পিতকারী সে ঘটনা কী? তুমি কি জান (অন্তরাত্মা) প্রকম্পিতকারী সে ঘটনা কী? যে দিন সমস্ত মানুষ বিক্ষিপ্ত পতঙ্গের মত হয়ে যাবে। এবং পাহাড়সমূহ হবে ধূনিত রঙ্গিন পশমের মত। তখন যার পাল্লা ভারী হবে। সে তো সন্তোষজনক জীবনে থাকবে। আর যার পাল্লা হালকা হবে। তার ঠিকানা হবে এক গভীর গর্ত। তুমি কি জান তা কী? এক উত্তপ্ত আগুন। (সূরা কারিয়াহ, আয়াত : ০১-১১)
Surah Takasur Bangla Pronunciation
সূরা তাকাসুরের বাংলা অর্থ ও উচ্চারণ:- সূরা তাকাসূর, পবিত্র কোরআনের ১০২ নম্বর সূরা। এর আয়াত সংখ্যা আট। এটি মক্কায় অবর্তীণ সূরা এবং সূরাটি পবিত্র কোরআনের ৩০তম পারায় অবস্থিত। প্রাচুর্য লাভ করার জন্য মানুষের পরস্পরের অগ্রবর্তী হওয়ার চেষ্টা করা ও প্রতিযোগিতা করা। অন্যের তুলনায় বেশি প্রাচুর্য লাভ করার কথা নিয়ে পরস্পরের মোকাবেলায় বড়াই করে বেড়ানো এবং এর পরিণতি বিষয়ে সূরাটি নাজিল হয়েছে। সূরা তাকাসূর اَلۡہٰکُمُ التَّکَاثُرُ ۙ ١ حَتّٰی زُرۡتُمُ الۡمَقَابِرَ ؕ ٢ کَلَّا سَوۡفَ تَعۡلَمُوۡنَ ۙ ٣ ثُمَّ کَلَّا سَوۡفَ تَعۡلَمُوۡنَ ؕ ٤ کَلَّا لَوۡ تَعۡلَمُوۡنَ عِلۡمَ الۡیَقِیۡنِ ؕ ٥ لَتَرَوُنَّ الۡجَحِیۡمَ ۙ ٦ ثُمَّ لَتَرَوُنَّہَا عَیۡنَ الۡیَقِیۡنِ ۙ ٧ ثُمَّ لَتُسۡـَٔلُنَّ یَوۡمَئِذٍ عَنِ النَّعِیۡمِ ٪ ٨ সূরা তাকাসূর বাংলা উচ্চারণ : আল-হাকুমু-ত্বাকাছুর। হাত্বা-ঝুরতুমুল-মাক্বাবির। কাল্লা ছাউফা-তা’লামুন। ছুম্মা-কাল্লা ছাউফা-তা’লামুন। কাল্লা-লাউতা’-লামুনা-ইলমাল-ইয়াক্বিন। লা-তারা-উন্নাল-জাহিম। ছুম্মা লাতারা-উন্নাহা-আইনাল-ইয়াক্বিন। ছুম্মা লাতুছ-আলুন্না- ইয়াওমা-ইযিন-আনি-নাঈম। সূরা তাকাসূর বাংলা অর্থ : (পার্থিব ভোগ সামগ্রীতে) একে অন্যের উপর আধিক্য লাভের প্রচেষ্টা তোমাদেরকে উদাসীন করে রাখে। যতক্ষণ না তোমরা কবরস্থানে পৌঁছ। কিছুতেই এরূপ সমীচীন নয়। শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে। আবারও (শোন), কিছুতেই এরূপ সমীচীন নয়। শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে। কক্ষণও নয়। তোমরা নিশ্চিত জ্ঞানের সাথে যদি এ কথা জানতে (তবে এরূপ করতে না)। তোমরা জাহান্নাম অবশ্যই দেখবে। তোমরা অবশ্যই তা দেখবে চাক্ষুষ প্রত্যয়ে। অতঃপর সে দিন তোমাদেরকে নিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে (যে, তোমরা তার কী হক আদায় করেছ?) (সূরা তাকাসূর, আয়াত : ১-৮)
Surah Asor Bangla Pronunciation
সূরা আসরের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ :- সূরা আল আসর পবিত্র কোরআনের ১০৩ নম্বর সূরা। এই সূরার মোট আয়াত সংখ্যা ৩ টি। আসর একটি আরবি শব্দ। আসর-এর বাংলা অর্থ-যুগ। সূরা আসর وَالۡعَصۡرِ ۙ ١ اِنَّ الۡاِنۡسَانَ لَفِیۡ خُسۡرٍ ۙ ٢ اِلَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَتَوَاصَوۡا بِالۡحَقِّ ۬ۙ وَتَوَاصَوۡا بِالصَّبۡرِ ٪ ٣ সূরা আল-আসর বাংলা উচ্চারণ : ১. ওয়াল ‘আসর। ২. ইন্নাল ইনছা-না লাফী খুছর। ৩. ইল্লাল্লাযীনা আ-মানূ -ওয়া -আমিলুসসা-লিহা-তি ওয়া তাওয়া-সাওবিল হাক্কি ওয়া তাওয়া-সাও বিসসাবরি। সূরা আল-আসর বাংলা অনুবাদ ১. কসম যুগের (সময়ের), ২. নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; ৩. কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের। (সূরা আসর, আয়াত : ১-৩)
Surah Humaza Bangla Pronunciation
সূরা হুমাযার বাংলা অর্থ ও উচ্চারণ:- সূরা হুমাযা পবিত্র কোরআনে ১০৪ নম্বর সূরা। এর অর্থ : পরনিন্দাকারী। এর আয়াত সংখ্যা ৯টি। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ ও পবিত্র কোরআনের ৩০তম পারায় অবস্থিত। সূরা হুমাযা وَیۡلٌ لِّکُلِّ ہُمَزَۃٍ لُّمَزَۃِۣ ۙ ١ الَّذِیۡ جَمَعَ مَالًا وَّعَدَّدَہٗ ۙ ٢ یَحۡسَبُ اَنَّ مَالَہٗۤ اَخۡلَدَہٗ ۚ ٣ کَلَّا لَیُنۡۢبَذَنَّ فِی الۡحُطَمَۃِ ۫ۖ ٤ وَمَاۤ اَدۡرٰىکَ مَا الۡحُطَمَۃُ ؕ ٥ نَارُ اللّٰہِ الۡمُوۡقَدَۃُ ۙ ٦ الَّتِیۡ تَطَّلِعُ عَلَی الۡاَفۡـِٕدَۃِ ؕ ٧ اِنَّہَا عَلَیۡہِمۡ مُّؤۡصَدَۃٌ ۙ ٨ فِیۡ عَمَدٍ مُّمَدَّدَۃٍ ٪ ٩ সূরা হুমাযা বাংলা উচ্চারণ : ওয়াই-লুলিলকুল্লি হুমাঝাতিল লুমাঝাহ । আল্লাযী জামা‘আ মা-লাওঁ‘ওয়া ‘আদ্দাদাহ। ইয়াহ-ছাবুআন্না মা-লাহূআখলাদাহ। কাল্লা-লাইউমবাযান্না ফিল হুতামাহ। ওয়ামাআদরা-কা মাল হুতামাহ। না-রুল্লা-হিল মূকাদাহ। আল্লাতী তাত্তালি‘উ আলাল আফইদাহ। ইন্নাহা-‘আলাইহিম মু’সাদাহ। ফী ‘আমাদিম মুমাদ্দাদাহ। সূরা হুমাযা অর্থ : বহু দুঃখ আছে প্রত্যেক এমন ব্যক্তির, যে পেছনে অন্যের বদনাম করে (এবং) মুখের উপরও নিন্দা করে। যে অর্থ সঞ্চয় করে ও তা বারবার গুণে দেখে। সে মনে করে তার সম্পদ তাকে চিরজীবি করে রাখবে। কক্ষণও নয়। তাকে তো এমন স্থানে নিক্ষেপ করা হবে, যা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলে। তুমি কি জান সেই চূর্ণ-বিচূর্ণকারী জিনিস কী? তা আল্লাহর প্রজ্বলিত আগুন। যা হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। নিশ্চয়ই তা তাদের উপর আবদ্ধ করে রাখা হবে। যখন তারা (আগুনের) লম্বা-চওড়া স্তম্ভসমূহের মধ্যে (পরিবেষ্টিত) থাকবে। (সূরা হুমাযা, আয়াত : ১-৯) এই সূরায় তিনটি জঘন্য গুনাহের শাস্তি ও তার তীব্রতা বর্ণিত হয়েছে। গুনাহ তিনটি হচ্ছে- جَمَعَ مَالًا هُمَزَة لُمَزَة (‘হুমাযাহ, লুমাযাহ ও জামাআ মালা’)। অর্থাৎ, কাউকে দোষারোপ করা, পেছনে নিন্দা করা ও সম্পদ জমা করা। এই তিন জঘন্য গুনাহের শাস্তি সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,এই অপরাধে জড়িতদের ‘হুত্বামাহ’ নামের জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। এই জাহান্নামের আগুন এমন হবে যে, তা মানুষের হৃদয়কে পর্যন্ত গ্ৰাস করবে। হৃদয় পর্যন্ত এই আগুন পৌঁছে যাবার অর্থ হচ্ছে এই যে, এই আগুন এমন জায়গায় পৌছে যাবে যেখানে মানুষের অসৎচিন্তা, ভুল আকীদা-বিশ্বাস, অপবিত্র ইচ্ছা, বাসনা, প্রবৃত্তি, আবেগ এবং দুষ্ট সংকল্প ও নিয়তের কেন্দ্র। (ফাতহুল কাদীর)
Surah Fil Bangla Pronunciation
সুরা ফিল অর্থসহ বাংলা উচ্চারণ:- সুরা ফিল পবিত্র কোরআনের ১০৫ নম্বর সুরা। সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এ সুরায় ৫টি আয়াত রয়েছে। মক্কি সুরার আলোচ্য বিষয়— ইয়েমেনের বাদশাহ আবরাহার বিশাল হস্তি-বাহিনী ধ্বংসের বিবরণ। সুরায় উল্লেখিত ফিল অর্থ হাতী। এ সুরায় হস্তীবাহিনীর ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছে। কাবাঘর ভূমিসাৎ করার উদ্দেশে তারা হস্তীবাহিনী নিয়ে মক্কায় অভিযান করেছিল। আল্লাহ তাআলা নগণ্য পাখিদের মাধ্যেমে তাদের বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে তাদের ষড়যন্ত্র ধুলোয় মিশিয়ে দেন। সুরা ফিলের আগের সুরা হলো- সুরা হুমাযাহ এবং পরবর্তী সুরা হলো- সুরা কুরাইশ। সুরা ফিল : أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ (1) أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِي تَضْلِيلٍ (2) وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْرًا أَبَابِيلَ (3) تَرْمِيهِم بِحِجَارَةٍ مِّن سِجِّيلٍ (4) فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّأْكُولٍ (5) উচ্চারণ : আলাম তারা কাইফা ফাআলা রাব্বুকা বিআসহা-বিল ফিল। (০১) আলাম ইয়াজ-আল কাইদাহুম ফি তাদলিল (০২) ওয়া আরসালা আলাইহিম তাইরান আবা-বিল। (০৩) তারমি-হিম বিহিজা-রাতিম মিন ছিজ্জিল। (০৪) ফাজাআলাহুম কাআসফিম মা’কুল। (০৫) অর্থ : তুমি কি দেখনি যে, তোমার প্রতিপালক হাতি-ওয়ালাদের সাথে কিরূপ (আচরণ) করেছিলেন? (০১) তিনি কি তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেন নি? (০২) তাদের বিরুদ্ধে তিনি ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী পাঠিয়েছিলেন। (০৩) যারা তাদের উপর পোড়া মাটির কঙ্কর নিক্ষেপ করেছিল। (০৪) অতঃপর তিনি তাদের চিবানো তৃণ-ঘাসের মতো করে দিয়েছিলেন। (০৫)
Surah Quraish Bangla Pronunciation
সূরা কুরাইশ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:- সূরা কুরাইশ পবিত্র কোরআনের ১০৬ নম্বর সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ৪। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ। কুরাইশ একটি গোত্রের নাম। নদীর ইবন কিনানার সন্তানদেরকে কুরাইশ বলা হয়। যারাই নদীর ইবনে কিনানাহ-এর বংশধর তারাই কুরাইশ নামে অভিহিত। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা ইসমাঈলের বংশধর থেকে কিনানাহকে, কিনানাহর বংশধর থেকে কুরাইশকে, কুরাইশ থেকে বনী হাশেমকে, বনী হাশেম থেকে আমাকে পছন্দ করেছেন।’ (মুসলিম, হাদিস, ২২৭৬) এই সূরায় কুরাইশদের একটি বিশেষ অবস্থার প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে তাদেরকে আল্লাহর ইবাদতের প্রতি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। সূরা কুরাইশ لِاِیۡلٰفِ قُرَیۡشٍ ۙ ١ اٖلٰفِہِمۡ رِحۡلَۃَ الشِّتَآءِ وَالصَّیۡفِ ۚ ٢ فَلۡیَعۡبُدُوۡا رَبَّ ہٰذَا الۡبَیۡتِ ۙ ٣ الَّذِیۡۤ اَطۡعَمَہُمۡ مِّنۡ جُوۡعٍ ۬ۙ وَّاٰمَنَہُمۡ مِّنۡ خَوۡفٍ ٪ ٤ সূরা কুরাইশের বাংলা উচ্চারণ ১. লি-ঈলা-ফি কুরাইশ। ২. ঈলা-ফিহিম রিহ-লাতাশ-শিতাই ওয়াস-সাঈফ। ৩. ফাল-ইয়া-বুদূ-রাব্বা হা-যাল বাঈত। ৪. আল্লাযী-আতা‘আমাহুম মিন জূ‘ইওঁ ওয়া আ-মানাহুম মিন খাওফ। সূরা কুরাইশের বাংলা অর্থ যেহেতু কুরাইশের লোকেরা অভ্যস্ত। অর্থাৎ তারা শীত ও গ্রীষ্মকালে (ইয়ামান ও শামে) সফর করতে অভ্যস্ত। তাই তারা যেন এই ঘরের মালিকের ইবাদত করে। যিনি তাদেরকে ক্ষুধার্ত অবস্থায় খাদ্য দিয়েছেন এবং ভয়-ভীতি হতে তাদেরকে নিরাপদ রেখেছেন। (সূরা কুরাইশ, আয়াত : ১-৪)
Surah Maun Bangla Pronunciation
সূরা মাউনের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:- সূরা মাউন কোরআনের ৩০ তম পারার ১০৭ নম্বর সূরা। এর আয়াত সংখ্যা সাত। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ। সূরা মাউন اَرَءَیۡتَ الَّذِیۡ یُکَذِّبُ بِالدِّیۡنِ ؕ ١ فَذٰلِکَ الَّذِیۡ یَدُعُّ الۡیَتِیۡمَ ۙ ٢ وَلَا یَحُضُّ عَلٰی طَعَامِ الۡمِسۡکِیۡنِ ؕ ٣ فَوَیۡلٌ لِّلۡمُصَلِّیۡنَ ۙ ٤ الَّذِیۡنَ ہُمۡ عَنۡ صَلَاتِہِمۡ سَاہُوۡنَ ۙ ٥ الَّذِیۡنَ ہُمۡ یُرَآءُوۡنَ ۙ ٦ وَیَمۡنَعُوۡنَ الۡمَاعُوۡنَ ٪ ٧ সূরা মাউনের বাংলা উচ্চারণ ১. আরা-আইতাল্লাযী ইউ-কাযযিবু-বিদ্দীন। ২. ফাযা-লিকাল্লাযী ইয়া-দু‘উল ইয়াতীম। ৩. ওয়ালা-ইয়া-হুদ্দু‘আলা-তা‘আ-মিল মিছকীন। ৪. ফাওয়াইঁ-লুলিলল মুসাল্লীন। ৫.আল্লাযীনা-হুম আন সালা-তিহিমি ছা-হূন। ৬. আল্লাযীনা হুম ইউরাঊন। ৭. ওয়া ইয়াম-না‘ঊনাল মা-‘ঊন। সূরা মাউনের বাংলা অর্থ তুমি কি দেখেছ তাকে, যে কর্মফলকে অস্বীকার করে? সে তো সে-ই, যে ইয়াতীমকে ধাক্কা দেয়। এবং মিসকীনকে খাদ্য দানে উৎসাহ দেয় না। সুতরাং বড় দুর্ভোগ আছে সেই নামাজিদের, যারা তাদের নামাজে গাফলতি করে। যারা মানুষকে দেখায়। এবং অন্যকে মামুলী বস্তু দিতেও অস্বীকার করে। (সূরা মাউন, আয়াত : ১-৭)
Prev1234Next