জরায়ু (Uterus):
এটি একটি মাংসল অঙ্গ। পেটের হাইপোকন্ডিয়াক অঞ্চলে, মূত্রাশয়ের পিছে ও রেক্টামের সম্মুখে অবস্থিত। গর্ভধারণের পর জরায়ু বিশাল আকার ধারণ করে ও পাতলা হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় এর আয়তন ৩ * ২ * ১ ইঞ্চি।
এর তিনটি অংশ:
১) ফান্ডাস (Fundus),
২) বডি (Body),
৩) সার্ভিক্স (Cervix )
জরায়ুর ভিতরের আবরণী কলাকে এন্ডোমেট্রিয়াম (Endometrium) বলে, যা মাসিকের সময় ধ্বংস হয় ও পরে পুনরুজ্জীবিত হয়।
কাজ:
১) বাচ্চা ধারণ করে,
২) মাসিকের সময় এন্ডোমেট্রিয়াম ধ্বংস করে রক্তের সাথে বের করে দেয়।
যোনী (Vegina):
এটি একটি মাংসল অঙ্গ যা প্রসারিত হতে পারে। এর গায়ে অনেক গ্রন্থি আছে যা থেকে রস নিঃসরণ হয়। সঙ্গমের সময় এতে পুরুষাঙ্গ প্রবিষ্ট হয়। এটি যোনিমুখ থেকে সার্ভিক্রা পর্যন্ত বিস্তৃত। এর পিছনে পায়ুপথ ও মলাশয় থাকে।
প্রথম অংশটা এখানে দেখুন স্ত্রী লোকের অন্তঃ প্রজনন অঙ্গ সমূহ (Internal Female Genitalia)
হাতরাসের কোতোয়ালি সাসনি এলাকার রাঘনিয়া গ্রামের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে । ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে স্বামী-স্ত্রীকে একসঙ্গে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে বাতাসে গুলি ছুড়ছে। বলা হচ্ছে ঘটনাটি কয়েকদিনের পুরনো কিন্তু তা হলেও ভিডিওটি এখন ভাইরাল।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর এলাকায় চাপা উত্তেজনার পরিবেশ বিরাজ করছে। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং যারা গুলি চালিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিবাহ বা যেকোন উদযাপন উপলক্ষে বাতাসে গুলি চালানো আইনত অপরাধ এবং এতে প্রাণহানিও হতে পারে।তাই এটি একটি আইনত অপরাধ।
বিবাহবার্ষিকীতে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি-
দিল্লি মেট্রোতে (Delhi Metro) এক যুগলকে দেখা গেল চুম্বনরত (Kissing) অবস্থায়। চলন্ত মেট্রোয় বসেই চুম্বনে মেতে ওঠেন ওই যুগল। ক্যামেরার সামনেই ওই যুগলকে দেখা যায়, একে অপরের ঠোঁটে মগ্ন হতে। সামনে কোনও যাত্রী রয়েছেন, তা আন্দাজ করে এবং দেখেও, তাঁরা একে অপরকে চুম্বন করতে বিরত হননি। দিল্লি মেট্রোয় যুগলের চুম্বনের সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তে। সম্প্রতি কলকাতায় কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে এক যুগলকে চুম্বন করতে দেখে, তা নিয়ে জোরদার সমালোচনা শুরু হয়। সোশ্যাল মিডিয়া ভরে উঠতে শুরু করে মন্তব্যে। কলকাতার পর এবার দিল্লি মেট্রোতেও দেখা গেল এক যুগলকে এক নাগাড়ে চুম্বন করতে।
কলকাতা (Kolkata Metro) মেট্রো স্টেশনে যুগলের চুম্বন দেখে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে অন্তর্জালে। কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে সম্প্রতি এক যুগলকে চুম্বন করতে দেখা যায়। যা দেখে ফিসফাঁস শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তে কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে চুম্বনরত (Kissing) যুগলের ভিডিয়ো দেখে এক একজন এক একরকম মন্তব্য করেন। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। কালীঘাট মেট্রো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে যখন ওই যুগল চুম্বন করছিলেন একে অপরকে, তাঁদের পাশ দিয়ে এক মহিলাকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। অন্য একজনকে উঁকি দিয়ে দেখতেও দেখা যায়। সবকিছকু মিলিয়ে কালীঘাট মেট্রো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে যুগলের চুম্বনের ভিডিয়ো নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
বাকি অংশ এখানে দেখুন মেট্রোয় চুম্বনে মগ্ন যুগল, ক্যামেরার সামনেও ঠোঁটে ঠোঁট মিলে রইল, ভাইরাল
গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে লোকাল ট্রেনে যাত্রী নিরাপত্তা। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।
নয়াদিল্লিঃ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল(Viral) হয়েছে একটি ভিডিয়ো(Video)। যাতে দেখা যাচ্ছে, এসি লোকাল ট্রেনের(Local Train) মহিলা কামড়ায় উলঙ্গ অবস্থায় উঠে পড়েছেন এক যুবক। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের ঘাটকোপার স্টেশনে। ট্রেন ঘাটকোপার স্টেশনে পৌঁছতেই মহিলা কামড়ায় উঠে নানা অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেনে এক যুবক। আতঙ্কে চিৎকার করতে থাকেন যাত্রীরা। টিকিট চেকারের কাছে অভিযোগও জানানো হয়। এরপর রেল পুলিশেত সহায়তায় ওই ব্যক্তিকে ট্রেন থেকে নামানোর ব্যবস্থা করেন কর্তব্যরত টিকিট চেকার। গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে লোকাল ট্রেনে যাত্রী নিরাপত্তা। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।
গুমের শিকার অনেকেই হত্যার শিকার হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে গুম কমিশন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভিকটিমদের মাথায় গুলি করে মেরে ফেলা হতো এরপর মৃতদেহ সিমেন্টের ব্যাগের সাথে বেধে নদীতে ফেলে দেওয়া হতো যেন মৃতদেহ ডুবে যায়।
যেসব নদীতে এসব লাশ গুম করা হতো, তার মধ্যে রয়েছে বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদী। সেজন্য কাঞ্চন ব্রিজ ও পোস্তগোলা ব্রিজ ব্যবহার করা হতো।
এক সাক্ষীর বরাতে কমিশন জানিয়েছেন, র্যাবের একটি "ওরিয়েন্টেশন" সেশনে তাকে দুজন ভিকটিমকে গুলি করে হত্যার ঘটনা দেখানো হয়েছিল।
এক সেনা সদস্য, যিনি র্যাবের গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত ছিলেন, তার বরাতে গুম কমিশন জানিয়েছে যে এক ভুক্তভোগী নদীতে ঝাঁপিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। তাকে উদ্ধারের পর, সেখানেই গুলি করে হত্যা করা হয়।
আরেকটি ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে, এক সেনা সদস্য জানান, তাকে একটি লাশ নিয়ে ঢাকার রেললাইনের ওপরে রেখে ট্রেনের অপেক্ষা করতে বলা হয় যেন ট্রেনের চাপায় লাশটি ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এমনকি আরেক ভুক্তভোগীকে সড়কে চলন্ত গাড়ির সামনে ফেলে দেওয়ার হলেও গাড়িটি পাশ কেটে যাওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
গুমের ঘটনাগুলো বিভিন্ন বাহিনী আলাদাভাবে ও সুসংগঠিত উপায়ে পরিচালনা করতো বলে গুম কমিশনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে অর্থাৎ, এক দল অপহরণ করলে, অন্য দল আটকের কাজ করতো এবং তৃতীয় দল হত্যা বা মুক্তি দিতো।
অনেক সময় যারা এসব কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন তারা জানতেনও না তারা কাকে এবং কেন হত্যা বা নির্যাতন করছে।
বীর মুজাহিদ তিতুমীর
এ.কে.এম .রেদওয়ানূল হক নাসিফ
হয়েছে অত্যাচারিত , লাঞ্ছিত, অবহেলিত জমিদার
কর্তৃক এই বাংলার জনগণ ;
আসলো না কেউ দিতে তাদের যোগ্য প্রতিদান
করতো শুধু তাদের অপমান ।
যখন ই চাওয়া হতো বাংলার মানুষের অধিকার
তাদের কার্যের যোগ্য সম্মান ;
তখন তাদের কপালে জুটতো অপমান , করতো শাসক
শ্রেণির ব্যক্তিবর্গ তাদের অসম্মান !
হতো সমাজের নিকৃষ্ট শ্রেণীর মানুষ ওরা ,পেতো
ওরা শাসক শ্রেণীর কাছে তিরষ্কার
ভাবতো ওরা এই বাংলার মানুষের দু'দিনে কে আসবে
উদ্ধার করতে আনতে এই বাংলার সংস্কার
অত্যাচার যখন গেলো বেড়ে , ব্রিটিশ রা যখন শুরু
করলো তাদের হিংস্র নীতির প্রয়োগ ;
তখন আশার আলো নিয়ে, বাংলার খেটে খাওয়া জনগনের
পাশে এসে দাঁড়ালেন এক মহা নায়ক !
তিনি আহ্বান করলেন এই বাংলার জনগণ , মনোবল হেরে;
যেও না, সুদিন আমাদের খুব নিকটে ;
তিনি করলেন বাংলার সাধারণ মানুষদের আবদ্ধ ,দিলেন
তাদের মুক্তির আশ্বাস এই মহা বিপদে !
তিনি বললেন অন্যায় রা করতে পারে না রাজ
কখনো তাদের বানানো কতগুলো নিয়মে
আমরা বাংলার জনগণ মানি না ওদের নীতি ,
বাধ্য নই মানতে ওদের ভয় করি না মরণে ।
তিনি করলেন নির্মাণ বাঁশের দূর্গের দিতে বাংলার
জনগণকে বিট্রিশদের হাত থেকে সুরক্ষা
তৈরী করলেন তিনি বীরতপ্ত সেনানী যারা অন্যায়ের
বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে সংগ্রাম করলো সর্বদা
তিনি নন কেউ নন কোনো , অসাধারণ কেনো
মহান গুণের অধিকারী ;
তার মধ্যে ছিলো ইচ্ছে আগ্রহ অন্যায় কে
প্রশ্রয় দিতেন না তিনি !
করলেন প্রাণপণ সংগ্রাম , চেষ্টা অব্যাহত রাখলেন
ফিরিয়ে দিতে বাংলার মানুষের প্রাণের দাবী
পারলেন না পুরো করতে সংস্কার , দিতে হলো
তাকে ব্রিটিশদের সম্মুখে জীবন বাজি ।
হলেন তিনি শহীদ ব্রিটিশদের করা বুলেটে , রয়ে গেলেন
বীর নায়ক হয়ে তিনি বাংলার মানুষের মনে ;
আজ ও বাংলার জনগণ এই বীর কে স্মরণ করে অন্যায় এর
বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে অবিরত লড়ে !
তিনি নন তো আর কেউ তিনি হলেন বাংলা মায়ের গর্ব
থেকে বেড়ে উঠা লড়াকু এক ছেলে ;
এই বাংলা তাকে বীর মুজাহিদ নিসার আলী হরফে
তিতুমীর বলেই অভিহিত করে !
গত ৫ মাসের ভেতরে ২টি মুসলিম দেশের সরকার পতন ঘটেছে, একই সময়ে ৫টি মুসলিম দেশে বড় ধরণের হত্যাকান্ড ঘটেছে ও ২ দেশে হত্যাকান্ড চলমান। সরকার পতন ঘটেছে সুদান, বাংলাদেশ ও সিরিয়ায়; হত্যাকন্ড ঘটেছে ফিলিস্তিন, লেবানন, বাংলাদেশ, সিরিয়া ও সুদানে।
বাংলাদেশ ও সিরিয়ায় সরকার পতনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিলো বেশ কয়েক বছর থেকেই; এসব সরকারের লোকেরা কি নিজেদের পতন সম্পরকে জানতো, দেশ ২টি'র সাধারণ মানুষ জানতো? সরকার পতনের ফলে দেশ ২টি'র মানুষ কি উপকৃত হচ্ছে, নাকি অনিশ্চয়তা ও এনার্কীর মাঝে প্রবেশ করে জনজীবনকে কষ্টকর করে তুলেছে? সামনে সুদিন আসছে, নাকি আগের চেয় বড় সমস্যার দিকে যাচ্ছে?
১৫ই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় , নিউইয়র্কের ১টি হলে চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ছাত্ররা দেশের ৫৪তম বিজয় দিবস পালন করেছেন, আমি ওখানে উপস্হিত ছিলাম। শুরতে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়েছে, ও ১ মিনিট করে সময় দেয়া হয়েছে "কিছু বলার জন্য"। তাঁদের "কিছু" শুনে মনে হলো, ১ জন মুক্তিযোদ্ধা, বাকী ৩ মুক্তিযোদ্ধা নন।
আমার জন্য এবারের বিজয় দিবসটা একটি "ভয়ংকর বিজয় দিবস", বাংলাদেশে দিবসটি সরকারীভাবে পালন করেছে তারা, যারা গত ৫৩ বছর এইদিনে "পরাজয়ের দিবস" পালন করে আসছিলো। ফলে, আমি নিউইয়র্কের বিজয় দিবসে ভয়ংকর সব আলোচনা শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু সেই ধরণের কোন কিছু ঘটেনি।
অনুষ্ঠানটি থেকে বুঝা যাচ্ছিলো না যে, দেশ ভয়ংকর অবস্হার মাঝ দিয়ে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানের মুল অংশ ছিলো গান ও কবিতা আবৃত্তি। যাক, এক সময় ১ জন প্রাক্তন প্রফেসর বক্তব্য রাখলেন, তিনি সমাজবিজ্ঞানে পিএইচডি। আমি আশা করেছিলাম যে, তিনি দেশের বর্তামন পরিস্হিতি নিয়ে আলোচনা করবেন; কিন্তু তিনি শুরু করলেন শেখ সাহেব ও মওলানাকে নিয়ে আলোচনা; উনার ১০ মিনিট আলোচনা শুনে মনে হলো কোন আদুভাই ৮ম শ্রেণীর ইতিহাসের পরীক্ষায় ১টি প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন, যা কমন পড়েনি।
উপরে একটি পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। তাতে ভারত যে কি রকম সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র তা উঠে এসেছে। ১৯৬৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত, ভারতের ৪৭টি জায়গায় ৫৮টি বড় বড় দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। এর মাঝে আহমেদাবাদে সর্বোচ্চ ৫টি, এবং হায়দ্রাবাদে ৪টি রায়ট হয়।
ভারতের কিছু মিডিয়া তাদের দেশের মতো বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঘটানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের ক্রমাগত উস্কানিতে বাংলাদেশের কতিপয় মানুষ উত্তেজিত হলেও, আমাদের ভূমির বেশিরভাগ মানুষ শান্তিপ্রিয় হওয়ায় তাঁরা উত্তেজনায় গা ভাসান নাই।
ভারতে ১৯৬৭ সাল থেকে যেসব সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঘটে, তার ফলে ১২,৮২৮-জন ভারতীয় মারা যান। এখন পর্যন্ত যেসব রায়ট হয়েছে, সেগুলোর মাঝে ১০টি হয়েছে কংগ্রসের শান্সনামলে, ৩টি হয় প্রেসিডেন্ট শাসনামলে, ১টি হয় বিজেপি'র সময়ে। নেহেরুর শাসনামলে ১৬টি রাজ্যে ২৪৩টি দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। আর, ইন্দিতা গান্ধির শানামলে ১৫টি রাজ্যে ৩৩৭টি দাঙ্গা হয়! রাজীব গান্ধির সময়ে ২৬৭টি দাঙ্গা হয় ১৬টি রাজ্যে।
ভারতের মিডিয়াগুলো কি এগুলো জানে না! তাদের কি এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাগুলোর কথা মনে করিয়ে দেওয়া লাগবে? যদি তারা জানে, তাহলে বলতে হয়, হয় তারা অতীত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে জানেন না, অথবা, তারা তাদের দাঙ্গাবাজ স্বভাব বাংলাদেশের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন! আমার মন হয়, তাদের স্বভাব বদলানো উচিৎ।
প্রেম মানে না জাতি ধর্ম, প্রেম মানে না সমাজ, তাই প্রেমের টানে ইতিহাসের শুরু থেকেই পৃথিবীতে ঘটেছে অবিস্মরণীয় সব ঘটনা। প্রেমের টানে সিংহাসন ছেড়ে পথিক হয়ে গেছেন কেউ কেউ, প্রেমের টানেই কেউবা আবার আপন করে নিয়েছেন পৃথিবীর সব দুঃখ-গাথা। আসুন আজ জানি ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ১০টি প্রেমের কাহিনী-
ইতিহাসের সর্বকালের সেরা প্রেমকাহিনী
স্কারলেট ও’হারা অ্যান্ড রেথ বাটলারঃ বলা হয়ে থাকে বিখ্যাত লেখক Margaret Mitchell এর কালজয়ী ক্লাসিক “Gone with the Wind,” হল ভালোবাসা বাসি মানুষের জন্য এক বাইবেল! সিভিল ওয়ারের পটভূমি নিয়ে, এবং স্কারলেট-বাটলারের বাঁধন হারা-উন্মাতাল প্রেম, মানসিক টানাপোড়ন, চাওয়া- পাওয়ার হিসেব, দেশের অস্থির সময়—এই সব কিছু মিলিয়েই এটি হয়ে উঠেছে অমর এক সাহিত্য কর্ম। উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্কারলেট কখনোই কারও বাঁধনে নিজেকে বাঁধতে নারাজ ছিল। কিন্তু বাটলারের উন্মত্ত প্রেমকে সে কখনোই উপেক্ষা করতে পারেনি। সুখী জীবনের চিন্তায় বিভোর স্কারলেটের সুখ বেশীদিন স্থায়ী হয়নি। তাঁর মনস্তান্তিক দ্বন্দ্ব রয়েই গেল। আর তাইতো শেষে স্কারলেট বলেছিল, “Tomorrow is another day!”
পাউলো অ্যান্ড ফ্রান্সেসকাঃ সত্য কাহিনী অবলম্বনে এই চরিত্র দুটি নেয়া হয়েছে বিশ্ববিখ্যাত লেখক Dante-এর অমর সাহিত্যকর্ম হল “Divine Comedy” থেকে। ফ্রান্সেসকার স্বামী মালাটেস্তা ছিলেন একজন ভয়ানক অপরাধী। তাঁর ছোট ভাই পাউলোর সাথে মিলে ফ্রান্সেসকা Dante এর বই পড়ে সময় কাটাতেন। পরবর্তীতে দুজনের মধ্যে প্রেম জন্মে নেয়। ঘটনা জানাজানি হবার পর খুব স্বাভাবিক ভাবেই ফ্রান্সেসকার স্বামী দুজনকেই হত্যা করে।
ওডিসিয়াস অ্যান্ড পেনেলোপঃ গ্রীক অন্যান্য প্রেমের গল্পের মতোই, এই জুটির প্রেমেও ছিল, ত্যাগ আর বিসর্জন। প্রেমের ক্ষেত্রে গ্রীক পুরাণের বেশীর ভাগ কাহিনীরই মূলমন্ত্র হল, “Tragedy and sacrifice.” জুটি তাঁদের মিলনের জন্য অপেক্ষা করেছিল দীর্ঘ ২০ বছর! তাঁদের বিয়ের কিছু পরেই ওডিসিয়াসকে যুদ্ধে চলে যেতে হয়েছিল। কিন্তু স্বামীর প্রত্যাবর্তননের আশায় আশায় পেনেলোপ তাঁর জন্য অপেক্ষা করেছিল ২০ বছর। এরমধ্যে তিনি ১০৮ জন রাজাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, অপরদিকে ওডিসিয়াসও স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্থ ছিলেন। তিনিও অনেক দেবীর প্রেম ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। Homer রচিত এই এপিকে তিনি প্রমাণ করেছেন, “ভালোবাসার অন্য নাম- অপেক্ষা!” তিনি বলেছেন, “remember that true love is worth waiting for!”
নেপোলিয়ন অ্যান্ড জোসেপাইনঃ মহাবীর নেপোলিয়ন ২৬ বছর বয়সে, বয়সে বড় তাঁর রাজ্যের এক ধনী মহিলা জোসেপাইনের প্রেমে পড়েন। তাঁরা দুজনেই তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে শ্রদ্ধাবোধ, এবং ত্যাগ বজায় রেখেছিলেন। অনেকটা রাজ্য শাসনের ভারে অনেকটা অগোচরেই ছিল এই প্রেম। যদিও তাঁরা সর্বদাই স্বীকার করতেন তাঁদের সম্পর্কের কথা। নেপোলিয়ন খুব চাইতেন জোসেপাইনের গর্ভে যেন তাঁর সন্তান হয়, কিন্তু মাতৃত্ব ধারণে অক্ষম ছিলেন জোসেপাইন। কিন্তু চিরজীবন তাঁরা তাঁদের প্রতি ভালোবাসা ধরে রেখেছিলেন।
অরফিয়াস অ্যান্ড ইরিডাইসঃ এটিও একটি গ্রীক মিথ। সাহিত্যে তাঁদের কাহিনীকে স্বীকৃত দেয়া হয়, “tale of desperate love” বলে। গ্রীক পুরাণ মতে, স্বর্গের এক বিবাহিত পরী ইরিডাইসের প্রেমে পড়েন হারপুন নামক এক বাদ্যবাজক অরফিয়াস। কিন্তু দেবতা এরিসটেইয়াসের সাথে এই দুর্ঘটনায় অরফিয়াস, ইরিডাইসকে হারিয়ে ফেলে। তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়াহয় পাতালপুরীতে। কিন্তু অরফিয়াস তাঁর জাদুকরীএক বাদ্য মূর্ছনায় হারপুন বাজিয়ে দেব- দেবীর মন জয় করে ফেলে। তিনি তাঁর রাজ্য ফেলে ক্রমাগত হারপুনবাজিয়ে তাঁর ভালোবাসা ইরিডাইসের জন্য নানা জায়গায় অপেক্ষা করেছেন। অবশেষে সঙ্গীত দেবতা হেডস ও পারসিফোনের ক্ষমায় অরফিয়াস পাতালপুরীতে জান ইরিডাইসকে উদ্ধার করতে। কিন্তু শর্ত থাকে যে, অরফিয়াস পৃথিবীতে অবতরণের আগে ইরিডাইসকে পিছন ফিরে দেখতে পারবেন না। কিন্তু অরফিয়াস অতি আবেগে আর উৎকণ্ঠায় দেবতাদের শর্তের কথা ভুলে যায়, এবং ইরিডাইসকে দেখতে থাকে। ফলাফল, চিরতরের জন্য ইরিডাইসকে হারিয়ে ফেলে। বলা হয়ে থাকে, এই যে প্রেম কিংবা বিরহে সঙ্গীত ও মিউজিক অনেক বড় ভূমিকা থাকে, সেটা নাকি অরফিয়াস আর ইরিডাইসের প্রেমকাহিনী থেকেই অনুপ্রাণিত হওয়া।
প্যারিস অ্যান্ড হেলেনঃ গ্রীক পুরাণের ফ্যাক্ট এবং ফিকশনের অপূর্ব এক সংমিশ্রণ হল, গ্রীকলেখক কালজয়ী হোমারের জগতবিখ্যাত এপিক “ইলিয়াড।” নাম করা সেই যুদ্ধের নাম হল, “Trojan War!” যে যুদ্ধে ধ্বংস হয়েছিল পুরো একটা শহর- ট্রয়! ইতিহাসে যা “war for Helen” কিংবা “Helen of troy”নামে বিখ্যাত। গ্রীক পুরাণ অনুযায়ী অনন্য এই সুন্দরী হেলেন ছিলেন, ট্রয় নগরীর পার্শ্ববর্তী, স্পার্টার রাজা মেনেলাসের স্ত্রী। ট্রয়ের ছোট রাজকুমার প্যারিস তাঁকে চুরি করে তাঁর রাজ্যে নিয়ে এসেছিলেন। এতেই বেঁধে গেল ১২ বছর ধরে চলা এক ঐতিহাসিক যুদ্ধ। স্পার্টার পক্ষে এই যুদ্ধে নেতৃত্বদেন রাজা এগামেমনন। এমনকি এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন গ্রীক দেব ও দেবীরা! ট্রয় রাজকুমার হেক্টর, প্যারিস, দেবতা অ্যাকিলিস, স্পার্টার রাজা মেনেলাস সহ অনেকেই নিহত হন। প্রেমের জন্য এত রক্তপাত আর ধ্বংস পৃথিবীর ইতিহাসে আর নেই।
ট্রিস্টান অ্যান্ড অ্যাইসোলেইডঃ অনন্য এই প্রেমের কথা আমরা জানতে পারি, মধ্য ইংরেজিয় শাসন আমলে। আয়ারল্যান্ডের রাজকুমারী ছিলেন অ্যাইসোলেইড, তিনি ছিলেন ক্রনওয়ালের রাজা মার্কের বাগদত্তা। তিনি রাজকুমারী অ্যাইসোলেইডকে নিজ রাজ্য ক্রনওয়ালে ফিরিয়ে আনার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাঁর ভাইয়ের ছেলে ট্রিস্টানকে। কিন্তু সেই ভ্রমণে ট্রিস্টান অ্যান্ড অ্যাইসোলেইড একে অপরের প্রেমে পড়ে যান। যদিও শেষ পর্যন্ত অ্যাইসোলেইড রাজা মার্ককেই বিয়ে করতে বাধ্য হন। কিন্তু তাঁদের প্রেমের কথা রাজ্যে গোপন থাকে না। রাজা মার্ক তাঁদের দুজনকেই মাফ করে দেন, এবং বিনিমিয়ে ট্রিস্টানকে রাজ্য ছেড়ে যেতে বাধ্য করেন। পরে ট্রিস্টান, অ্যাইসোলেইডের সাথে নামের মিল থাকার কারণে ইসেউল্ট নামক এক রমণীকে বিয়ে করেন। কিন্তু, তাঁর আত্মার পুরোটা জুড়ে ছিল অ্যাইসোলেইডের প্রতি প্রেম। এক পর্যায়ে ট্রিস্টান, অ্যাইসোলেইডের বিরহে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যান। তিনি অ্যাইসোলেইডকে শেষবারের মতো দেখতে একটি জাহাজ পাঠান। তাঁর স্ত্রী ইসেউল্টকে বলেছিলেন, অ্যাইসোলেইড যদি আসে, জাহাজে যেন সাদা পতাকা লাগানো হয়। কিন্তু স্ত্রী ইসেউল্ট মিথ্যে বলে, জাহাজে কালো পাতাকা লাগিয়ে রাখেন। ট্রিস্টান ভাবলেন অ্যাইসোলেইড আর আসবেন না। পরে তিনি মারা যান। পরে তাঁর শোকে অ্যাইসোলেইড, তাঁরই রাজ্যে মারা যান।
ল্যাঞ্ছলট অ্যান্ড গুইনেভারাঃ আরেকটি রাজকীয় এবং সেই সঙ্গে ট্র্যাজিক লাভ স্টোরি গুলোর মধ্যে অন্যতম হল, এই আর্থারিয়ান প্রেম কাহিনী স্যার ল্যাঞ্ছলট অ্যান্ড লেডী গুইনেভারা। ইংলিশ কিং আর্থারের স্ত্রী, রাণী গুইনেভারার প্রেমে পড়েছিলেন সেই রাজ্যের বীর একজন নাইট, স্যার ল্যাঞ্ছলট। রাজা আর্থারের অবহেলা আর অবজ্ঞার কারণে, একসময় রাণী গুইনেভারাও তাঁর প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু একদিন, রাজা আর্থারের অপর নাইট স্যার আগ্রাভেইন, স্যার মোড্রেড এবং একদল সৈন্য এই যুগলকে বদ্ধ কামরায় আবিষ্কার করে ফেলে। পরকীয়ার অপরাধে রাণী গুইনেভারাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার শাস্তি ঘোষণা করা হয়। স্যার ল্যাঞ্ছলট তাঁর প্রেমিকা লেডী গুইনেভারাকে যুদ্ধ করে বাঁচিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়, কিন্তু তাঁদের এই প্রেমের জন্য পুরো রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং অনেক মৃত্যুর জন্য তাঁরা নিজেদের দায়ী করে, নিজেদের মধ্যে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে তাঁরা দুজনেই দুটি ভিন্ন জায়গায় ধর্মের সেবক হয়ে যান।
এন্টোনি অ্যান্ড ক্লিওপার্টাঃ অনেকের মধ্যে অন্যতম আরেকটি অমর প্রেমগাঁথার নাম, মার্ক এন্টোনি- ক্লিওপার্টা। ঐতিহাসিক এবং একই সাথে দারুণ নাটকীয় এই প্রেম হয়, অনিন্দ সুন্দরী মিসরীয় রাণী ক্লিওপার্টা আর তাঁর প্রধান সেনাপতি এন্টোনির মাঝে। শক্তিশালী এবং ঐতিহাসিক চরিত্র দুটির মাঝের এই অমর প্রেম আকর্ষণীয়ভাবে আমাদের কাছে তুলে এনেছিলেন Shakespeare তাঁর যাদুকরী লিখনির মাধ্যমে। রাজকীয় ঘাত-প্রতিঘাত, জয়-পরাজয় উপেক্ষা করে তাঁরা বিয়ে করেছিলেন। পরবর্তীতে রোমানদের সাথে যুদ্ধরত এন্টোনির মনোবল ভাঙার জন্য, তাঁকে যুদ্ধের ময়দানে মিথ্যে সংবাদ শুনিয়েছিলেন যে, শত্রুরা ক্লিওপার্টাকে হত্যা করেছে। তারপর এন্টোনি নিজ ছুরিতে মৃত্যুবরণ করেন, অন্যদিকে এন্টোনির মৃত্যুসংবাদ শুনে মিসরীয় রাণী ক্লিওপার্টাও নিজ ছুরিতে আত্মহত্যা করেন। Shakespeare তাঁদের জন্য বলেছিলেন, “great love demands great sacrifices!”